সুনীল রাস্তোগী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুনীল রাস্তোগী
জন্মআনুমানিক ১৯৭৯
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাদর্জি
কর্মজীবন২০০৪ - ২০১৭
পরিচিতির কারণধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি
অপরাধের অভিযোগধর্ষণ
হত্যাকাণ্ড
আক্রান্ত ব্যক্তি৬০+ মেয়ে (বয়স ৭-১০)
রাষ্ট্রউত্তরাখণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ
উদ্দিষ্ট তারিখ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

সুনীল রাস্তোগী (জন্ম ১৯৭৯) একজন ধারাবাহিক ধর্ষক যে অসংখ্য নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালের ১৫ই জানুয়ারী গ্রেপ্তার হয়েছিল।[১] ২০১৭ সালে তার গ্রেফতারের আগে রাস্তোগী কমপক্ষে ১৩ বছর ধরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা মেয়েদের লক্ষ্য করে আসছিল।[২] রাস্তোগী, পেশায় দর্জি। সে উত্তরপ্রদেশের রামপুর অঞ্চলের লোক।

অপরাধ[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের নাবালিকা ছাত্রীরা যখন বাড়ি ফিরত, তখন রাস্তোগী তাদের প্রলুব্ধ করত। সে নাবালিকাটিকে তার বাবার বন্ধু বলে মিথ্যা পরিচয় দিত এবং তাদের কাপড় ও খাবার দিয়ে লোভ দেখাত। প্রতি শিশুর জন্য, সে একটি নতুন পোশাক সেলাই করে আনত এবং একটি নতুন মোড়কে উপহার নিত। হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, রাস্তোগী "দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৪টের মধ্যে স্কুল থেকে স্কুলে শিকারের সন্ধানে ঘুরঘুর করত" এবং সে তার সাথে মেয়েদের স্কুলের তালিকাও বহন করত।[৩] রাস্তোগী এমন শিকারদের বাছাই করত যারা তাদের দল থেকে আলাদা হয়ে বাড়ি ফিরছে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে সে শত শত স্কুল ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছিল বলে জানা গেছে।[৪] রাস্তোগির একটা কুসংস্কার ছিল, সে অপরাধের চেষ্টা করার আগে লাল এবং নীল রঙের পোশাক পরত এবং বিশ্বাস করত যে সে এইভাবে চললে ধরা পড়বে না। সূত্র মতে, রাস্তোগি বিবাহিত ছিল এবং তার পাঁচটি সন্তান ছিল। রাস্তোগী, তার অপরাধের ধারা অনুযায়ী নাবালিকা স্কুলের মেয়েদের উপর হামলা করত, অপরাধ কার্যকর করার জন্য। সে কেবলমাত্র বিজোড় তারিখেই সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ধরত এবং শিকারের খোঁজে দিল্লি পৌঁছাত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০০৪ সালে রাস্তোগি তার পরিবারসহ ময়ূর বিহার ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল, সে সেইসময় প্রতিবেশীর মেয়েকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে ধরা পড়ে গিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে, রাস্তোগি ২০০৪ সাল থেকে অপরাধ করার কথা স্বীকার করে এবং বলে যে সে কিছু মিথ্যা অজুহাতে মেয়েদের প্রলোভন দেখাত, তারপর তাদের নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত।[৩]

গ্রেফতার[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি পুলিশ যখন রাস্তোগিকে গ্রেফতার করেছিল, সে তখন তার পরিবারের সাথে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে অবস্থান করছিল এবং সুযোগ মত দিল্লি আসছিল। এর আগে, এক নাবালিকাকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাস্তোগী উত্তরাখণ্ডের হালদোয়ানিতে জেল খেটেছিল। ২০০৮ সাল থেকে, সে মাদক বহন এবং অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৫ই জানুয়ারী রাস্তোগী পূর্ব দিল্লির নিউ অশোক নগরের কাছে ধরা পড়ে। নিউ অশোক নগরে পুলিশ ৭ বছর বয়সী এক নাবালিকার ধর্ষণ মামলার তদন্ত করছিল। সেখানে একটি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনে রাস্তোগীকে দেখা গিয়েছিল, ৭ বছরের নির্যাতিতা নাবালিকাটির সাথে কথা বলতে। সেখান থেকেই রাস্তোগীর পরিচয় জানা গিয়েছিল।[৫]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

অভিযুক্ত শিশু ধর্ষক (পেডোফাইল) সুনীল রাস্তোগীর স্ত্রী তাকে আর দেখতে চান না।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Serial Rapist of minors"Indian Express। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। 
  2. "Sunil Rastogi, confessed his crimes during interrogation"Mirror UK। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। 
  3. "Sunil Rastogi confesses to sexually abusing over 500 girls in 12 years: How the tailor was nabbed"। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  4. "Hundreds of girls were abused"The Times of India। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। 
  5. "Police arrest serial paedophile"India Today। ১৫ জানুয়ারি ২০১৭। 
  6. "'Good that he was caught' : Wife of Delhi 'serial rapist' doesn't want to lament"। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১