নায় এল রাহি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নায় এল রাহি
ناي الراعي
জন্ম
বৈরুত, লেবানন (১৯৮৫-এর আগে)
জাতীয়তালেবাননি
শিক্ষালেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয়, এসওএএস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন
পেশা
  • Journalist
  • researcher
  • activist
  • gender advocacy professional

নায় এল রাহি বা নায় আর-রাহি (আরবি: ناي الراعي  ; জন্ম ১৯৮৫/১৯৮৬ (৩৭–৩৮ বছর)) হচ্ছেন লেবাননের একজন লেবাননের সাংবাদিক, গবেষক, কর্মী এবং বৈরুত, লেবাননের একজন জেন্ডার এডভোকেসি পেশাজীবী।

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

নায় এল রাহি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে লন্ডনে অবস্থিত গ্লোবাল মিডিয়া অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। [১] গবেষণার তার আগ্রহের বিষয়গুলো ছিল গণমাধ্যমে নারীর অধিকার, লিঙ্গ গতিশীলতা এবং লেবাননের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি।[২]

ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে তিনি অক্সফাম জিবিতে জেন্ডার হাবের কমিউনিকেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ অফিসার এবং তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অক্সফামের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় আঞ্চলিক লিঙ্গ বিচার কর্মসূচির যোগাযোগ ও অংশীদারত্ব কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। [৩] ২০১৫ সাল থেকে কাফা (এনাফ) সহিংসতা ও শোষণে কাজ করছে যাচ্ছেন। এটি একটি নারীবাদী বেসরকারী সংস্থা বা এনজিও যা লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার উপর মনোনিবেশ করে এবং এর প্রতিরোধে কাজ করে। [৪]

একজন সাংবাদিক হিসেবে তিনি দার আল হায়াতের (২০০৭-২০০৮) মতো বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে অবদানকারী প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া আসাফির সংবাদপত্রে (২০০৬-২০১৩) একজন অবদানকারী প্রতিবেদক হিসেবে এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ বৈরুতে যোগাযোগ ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগে (২০১২-২০১৪) একজন কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেন। ২০১৪ সাল থেকে আল মোডন ইলেকট্রনিক সংবাদপত্রে অবদানকারী লেখক হিসেবে কাজ করছেন।

২০১৪ সালে তিনি নারীবাদী সংঘটন নাসাওয়াইয়ার একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। [৫] এবং পরের বছর কাফা (এনাফ) সহিংসতা ও শোষণে অভিবাসী গৃহকর্মী প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে মাইরা এল-মীর এবং সান্ড্রা হাসানের সাথে ২০১০ সালে মিশরে হারাসম্যাপ [৬] (হয়রানি মানচিত্র) চালু হওয়ার মাধ্যমে লেবাননে হয়রানির ঘটনা খুঁজে বের করার জন্য HarassTracker.org নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়।এল রাহি ১৩ জন আরবদের মধ্যে একজন, যাকে বিবিসি তাদের ১০০ জন নারীর তালিকায় রাখার জন্য বেছে নেয়। হয়রানি ট্র্যাকিং ওয়েব সাইট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার "অবাধ্যতার" কারণে তাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। [৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

 

  1. "Nay El Rahi"LinkedIn। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "Nay El Rahi"the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. "Nay el Rahi"Policy & Practice। Oxfam GB। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. "Nay El Rahi | Facebook"www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. Neumann, Jeff (১৩ জানুয়ারি ২০১২)। "Violence Against Women in Lebanon: A Debate That's Not Going Away"। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  6. Massena, Florence (১০ মার্চ ২০১৬)। "How a new website is helping Lebanese women avoid sexual harassment"Al-Monitor। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  7. "13 Arab women are in BBC's '100 Women 2016', get to know them"stepfeed.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১৮