গার্হস্থ্যকরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুকুরভেড়া হল সেই প্রাণী যাদের প্রথম পোষ মানানো হয়েছিল।

গার্হস্থ্যকরণ একটি টেকসই ও বহু-প্রাজন্মিক সম্পর্ক যেখানে একটি জীব গোষ্ঠী অপর একটি জীব গোষ্ঠী থেকে সম্পদের একটি সম্ভাব্য সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেই দ্বিতীয় গোষ্ঠির প্রজনন ও লালন-পালনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাব বজায় রাখে এবং এই গোষ্ঠীসমূহ উদ্ভিদ বা প্রাণী বা এককোষী যেকোন প্রকারের হতে পারে।[১] আগুণের উপর আধিপত্য অর্জন, যন্ত্রপাতি তৈরি এবং মৌখিক ভাষার উন্নয়নের মতো উদ্ভিদ ও প্রাণীর গার্হস্থ্যকরণও মানব জাতির ইতিহাসে বৃহৎ একটি সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন।[২]

চার্লস ডারউইন পোষ্য প্রজাতির প্রাণীদের স্বল্প সংখ্যক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছিলেন যেগুলো এদেরকে এদের বন্য পূর্বপুরুষদের থেকে আলাদা করে তোলে। তিনি সর্বপ্রথম সচেতন কৃত্রিম নির্বাচন মধ্যে পার্থক্যটি শনাক্ত করেন যার মধ্যে মানুষের সরাসরি পছন্দসই বৈশিষ্ট্যের জন্য এবং অচেতন নির্বাচন, যেখানে প্রাকৃতিক নির্বাচনের উপজাতি বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের উপর নির্বাচন থেকে বৈশিষ্ট্যগুলি বাছাই করে।[৩][৩][৩] পোষ্য এবং বন্য প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে একটি জিনগত পার্থক্য রয়েছে। গৃহপালিত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে এমন পার্থক্য রয়েছে যে গবেষকরা ডোমেস্টিকেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে অপরিহার্য ছিল এবং বন্য ও গার্হস্থ্য জনসংখ্যার মধ্যে বিভক্তির পরে যে উন্নতি বৈশিষ্ট্যগুলি আবির্ভূত হয়েছিল তা বিশ্বাস করে।[৩][৩][৩] গৃহপালিত বৈশিষ্ট্য সাধারণত সমস্ত গার্হস্থ্যদের মধ্যে স্থির করা হয় এবং পশু বা উদ্ভিদের পশুর প্রাথমিক পর্বের সময় নির্বাচন করা হয়, তবে উন্নত বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র গার্হস্থ্য অনুপাতের মধ্যে উপস্থিত থাকে, যদিও তারা পৃথক প্রজাতির বা আঞ্চলিক জনসংখ্যাগুলিতে সংশোধন করা যেতে পারে।[৩][৩][৩]

পাখি[সম্পাদনা]

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লাল বনমোরগকে প্রায় 7,000 বছর আগে মোরগ লড়াইয়ের জন্য পোষ মানানো হয়েছিল।

গৃহপালিত পাখি প্রধানত পোল্ট্রি যাদেরকে মাংস এবং ডিমের জন্য পালন করা হয়।[৪] এদের মধ্যে কিছু গ্যালিফর্মিস ( মুরগি, টার্কি, গিনিফাউল ) এবং অন্যগুলো আনসারিফর্মিস (ওয়াটারফাউল: হাঁস, রাজহাঁস, মরাল )। এছাড়াও বিনোদন এবং গবেষণায় ব্যবহারের জন্য খাঁচায় ব্যাপকভাবে গানের পাখি এবং তোতাপাখি পালন করা হয়।[৫] পোষা কবুতর বার্তাবাহক হিসাবে পরিচিত, গবেষণায় জানা যায় যে এটি ১০,০০০ বছর আগে থেকে গৃহপালিত ছিল।[৬] চীনে ৫,৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের জীবাশ্ম থেকে জানা যায় যে সেখানে অন্তত ৭,০০০ বছর আগে থেকে মুরগী পোষা হত। মুরগীর বন্য পূর্বপুরুষ গ্যালাস গ্যালাস বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাল বনমোরগ। ধারণা করা হয়, খাদ্যের বদলে মোরগ লড়াইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে এটি পোষা হত।[৭]

বন্য উদ্ভিদের সাথে পার্থক্য[সম্পাদনা]

পোষ্য উদ্ভিদ বিভিন্নভাবে তাদের বন্য প্রজাতিদের থেকে পৃথক হতে পারে, যেমনঃ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; zeder2015 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. McHugo, Gillian P.; Dover, Michael J.; Machugh, David E. (২০১৯)। "Unlocking the origins and biology of domestic animals using ancient DNA and paleogenomics"BMC Biology17 (1): 98। ডিওআই:10.1186/s12915-019-0724-7পিএমআইডি 31791340পিএমসি 6889691অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  3.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  4. "Avicultural Society of America"। Avicultural Society of America। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৫, ২০১৭ 
  5. Blechman, Andrew (২০০৭)। Pigeons – The fascinating saga of the world's most revered and reviled bird.। University of Queensland Press। আইএসবিএন 978-0-7022-3641-9 
  6. Lawler, Andrew; Adler, Jerry (জুন ২০১২)। "How the Chicken Conquered the World"