মাহমুদ হোসেন (অধ্যাপক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অধ্যাপক ড.
মাহমুদ হোসেন
১২তম উপাচার্য
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৫ মে ২০২১
পূর্বসূরীমোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1972-08-22) ২২ আগস্ট ১৯৭২ (বয়স ৫১)
মধ্য কচুবুনিয়া, মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীইসমত আরা শিরীন চৌধুরী
সন্তান
মাতাজাহানারা বেগম
পিতামোঃ মোজাম্মেল হোসেন
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া
পেশাঅধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক

মাহমুদ হোসেন (জন্ম: ২২ আগস্ট ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য।[১] তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বনায়ন ও কাঠ প্রযুক্তি বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত ২য় উপাচার্য।[২]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

মাহমুদ ১৯৭২ সালের ২২ আগস্ট বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মধ্য কচুবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন ও মাতা জাহানারা বেগম।

তিনি বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে মাধ্যমিক, বাগেরহাট সরকারি পি.সি. কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক, ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ বাস্তুবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মাহমুদ হোসেন ১৯৯৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বনায়ন ও কাঠ প্রযুক্তি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তিনি ২০০১ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সাল থেকে অধ্যাপক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, বনায়ন ও কাঠ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বোর্ড অব এ্যাডভান্স স্ট্যাডিজের সদস্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২১ সালের মে মাসে মাহমুদ হোসেন চার বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ২য় উপাচার্য।[৪]

গবেষণা কর্ম[সম্পাদনা]

মাহমুদ হোসেন দেশি ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ১০৫টির অধিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি এবং অনুবাদ গ্রন্থের সংখ্যা ২টি। দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে তিনি বহু গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। তার উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপিত হয়েছে।[৫]

এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় তিনি মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেন। এই তালিকায় মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও বনায়নে এবং পৃথকভাবে বনায়ন উভয় শ্রেণীতে প্রথম, দেশে বনায়ন বিজ্ঞানীদের মধ্যে চতুর্থ, এশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ১৫১তম ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৮২৫তম স্থান লাভ করেন।[৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুবির নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত"খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২১ 
  2. "খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন"দৈনিক আমাদের সময়। ২০২১-০৫-২৪। 
  3. "খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি মাহমুদ হোসেন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২১-০৫-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৫ 
  4. "খুবির নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২০২১-০৫-২৪। 
  5. "খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন"সারাবাংলা। ২০২১-০৫-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৫ 
  6. ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর’ তালিকায় খুবি উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ১০ অক্টোবর ২০২১
  7. ইংরেজি ভাষায় Mahmood Hossain, AD Scientific Index 2021, October 2021