ব্রুস এডগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রুস এডগার
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ৬৪
রানের সংখ্যা ১৯৫৮ ১৮১৪
ব্যাটিং গড় ৩০.৫৯ ৩০.৭৪
১০০/৫০ ৩/১২ ১/১০
সর্বোচ্চ রান ১৬১ ১০২*
বল করেছে ১৮ ১২
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/- ১২/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

ব্রুস আর্দ্রিয়ান এডগার (ইংরেজি: Bruce Edgar; জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৯৫৬) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার[১] ১৯৮০-এর দশকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে ব্রুস এডগার মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে উল্লেখযোগ্য পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তাকে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সতীর্থ বামহাতি জন রাইটের সাথে উদ্বোধনী জুটি গড়ে সফলতা পেয়েছেন।

আন্ডারআর্ম বিতর্ক[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি সর্বমোট ৩৯ টেস্ট ও ৬৪ ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে আন্ডারআর্ম ঘটনায় তিনি নন-স্ট্রাইকার হিসেবে পিচের অপরপ্রান্তে অবস্থান করছিলেন। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের তৃতীয় ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় তার দল।[২] স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্রায়ান ম্যাককেচনি তখন চূড়ান্ত বলে ছক্কা হাঁকিয়ে টাইয়ের দিকে দলকে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ও বড় ভাই গ্রেগ চ্যাপেলের পরামর্শক্রমে ট্রেভর চ্যাপেল মাঠে বল গড়িয়ে বোলিং করলে ম্যাককেচনি বলটি আটকিয়ে দেন। এরফলে তৎকালীন ক্রিকেটের আইন বর্ণিত নিয়মাবলী অনুসরণ করেও অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে।[৩][৪] এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তিনি তখন ১০২* রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। প্রায়শঃই তার এ সেঞ্চুরিকে ‘সর্বকালের সেরা পাশ কাটিয়ে যাওয়া সেঞ্চুরির’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

পরের মৌসুমে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে গ্রেগ চ্যাপেলের অস্ট্রেলীয় দলের বিপক্ষে তিনি তার সর্বোচ্চ টেস্ট রান ১৬১ তোলেন। নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী হয় ও ৩-টেস্টের ঐ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের ২য় জয় ছিল। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। ক্রাইস্টচার্চের ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয় পায়। কিন্তু কিউইদের ব্যাটিং গড়ে ৫৫.৬০ নিয়ে ২৭৮ রান তুলে শীর্ষে ছিলেন তিনি।[৬]

অবসর[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে পেশাদার হিসাবরক্ষক ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে হাইড দলের পক্ষে পেশাদার খেলায় অংশ নেন। ঐ মৌসুমে সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে তার দল শিরোপা লাভ করেছিল। সিডনির গর্ডন গ্রেড ক্রিকেট ক্লাবের সাথেও জড়িত রয়েছেন। ২০১০-১১ মৌসুমে এ.ডব্লিউ. গ্রীনশীল্ড দলকে কোচিং করান তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bruce Edgar's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-18  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Cricinfo scorecard of the match"। Aus.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  3. "Top ten sporting cheats: 8. Greg Chappell"Sport। Virgin Media। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০০৮Cheating? It wasn't against the rules – but it certainly wasn't cricket. 
  4. Knight, Ben (৩০ জানুয়ারি ২০০৪)। "Underarm incident was a cry for help: Greg Chappell"ABC Local Radio: The World Today। Australian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০০৮ 
  5. "‘Most overlooked century-maker’ victim of SSgA overhaul", Investment Magazine, 9 March 2009
  6. Brittenden & Cameron, pp. 101–102, 119, & 151.

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Brittenden, Dick and Cameron, Don (1982). Test Series 82, AH and AW Reed Ltd, Wellington and NSW.