সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ইসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

 

সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ধর্ম। এই ধর্ম প্রথম দেশটিতে প্রবেশ করেছিল ১৯৮৭ সালে, যখন আহমদিয়া আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত একজন ঘানাই মিশনারি তিন বছর ব্যাপী প্রাথমিক নিরীক্ষণ ভ্রমণে গুয়াদলকানাল দ্বীপে গিয়েছিলেন। এখন দেশটিতে দুটি প্রধান সম্প্রদায় রয়েছে - আহমাদি মুসলিম এবং সুন্নি মুসলিম[১] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনের ২০০৭ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটিতে প্রায় ৩৫০ জন মুসলমান রয়েছে।[২] তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, দেশটিতে শুধু আহমাদিয়া মুসলমানই থাকতে পারে ১০০০ জন।

উপদলসমূহ[সম্পাদনা]

আহমদিয়া[সম্পাদনা]

দেশটিতে প্রথমে ঘানা থেকে আগত এক আহমদীয়া মুসলিম ধর্মপ্রচারক হাফিজ জিবরাইল ইসলামের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে তিন বছর ধরে দেশটিতে সফর করেছিলেন এবং মুষ্টিমেয় লোককে ধর্মান্তরিত করে ইসলাম গ্রহণ করাতে সক্ষম হন, এর পরে তিনি ঘানার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এই সম্প্রদায়টি তখন থেকে আন্তর্জাতিক আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের কোনও বহিরাগত যোগাযোগ ছাড়াই এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাদের বিশ্বাসের বিকাশ ও অনুশীলন অব্যাহত রেখেছে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে, সম্প্রদায়টি আরও একজন ধর্মপ্রচারক প্রেরণ করেছিল, ফলস্বরূপ সম্প্রদায়টি প্রায় বড় হয়ে ১০০০ জনে পরিণত হয়েছে। এই সম্প্রদায়ের সদর দফতর সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হোনিয়ারাতে রয়েছে এবং এটি গুয়াদলকানাল, রাসেলস, সাভো এবং বেলোনা দ্বীপপুঞ্জের গ্রামগুলিতে রয়েছে।[৩]

সুন্নি[সম্পাদনা]

তাবলীগী জামায়াতের সদস্যদের দাওয়াহ প্রচেষ্টার ফলে ১৯৯৫ সালে সুন্নি মুসলমানরা প্রথম দেশটিতে প্রবেশ করেছিল। সুন্নি মুসলিমরা প্রকাশ্যে আহমদীয়া মুসলমানদের থেকে আলাদা হয়ে গেছে এবং সত্য ইসলামকে প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করেছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের চেয়ে বেশি সদস্য রয়েছে বলে দাবি করেছে এই সম্প্রদায়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Muslims in Melanesia: putting security issues in perspective"। Taylor & Francis। সেপ্টেম্বর ২০০৮: 408–429। 
  2. "International Religious Freedom Report 2007: Solomon Islands"। U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৬, ২০১৬ 
  3. "Muslims in Melanesia: putting security issues in perspective"Australian Journal of International Affairs। Taylor & Francis। 62 (3): 408–429। সেপ্টেম্বর ২০০৮। 

 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]