পুখুয়েই মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পুখুয়েই মসজিদ
চীনা: 卜奎清真寺
পুখুয়েই মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি ইসলাম
জেলাকিকিহার
প্রদেশহেইলুংচিয়াং
অবস্থান
অবস্থানকিকিহার, হেইলুংচিয়াং, চীন
দেশচীন
পুখুয়েই মসজিদ চীন-এ অবস্থিত
পুখুয়েই মসজিদ
চীনে মসজিদের অবস্থান
স্থানাঙ্ক৪৭°২১′২.৫″ উত্তর ১২৩°৫৭′২.৫″ পূর্ব / ৪৭.৩৫০৬৯৪° উত্তর ১২৩.৯৫০৬৯৪° পূর্ব / 47.350694; 123.950694
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৬৮৪ (পূর্ব মসজিদ)
১৮৫২ (পশ্চিম মসজিদ)

পুখুয়েই মসজিদ (চীনা: 卜奎清真寺; ফিনিন: Bǔkuí Qīngzhēnsì) চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশের কিকিহারে অবস্থিত একটি মসজিদ। মসজিদটি পুখুয়েই সড়কের পাশে মসজিদ সড়কে(চীনা: 清真路; ফিনিন: Qīngzhēn Lù) অবস্থিত।[১] মসজিদটি চিং রাজবংশের শাসনকালে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে মসজিদটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের জন্য সংরক্ষিত স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়।[২][৩] মসজিদটি প্রদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম মসজিদ।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কিকিহারে একটি কথা প্রচলিত আছে যেঃ "মসজিদটি পুখুয়েই শহর প্রতিষ্ঠারও অনেক আগে থেকেই ছিল"। [n ১][৫] ১৯৫৮ সালে দুটি মসজিদকে একত্রে পুনর্গঠন করে "কিকিহর মসজিদ" নামকরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে মসজিদটি শহর পর্যায়ের সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসাবে এবং ১৯৮১ সালে প্রাদেশিক পর্যায়ের সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং মসজিদের নাম পরিবর্তন করে "পুখুয়েই মসজিদ" করা হয়।[২] সে বছরে একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে পূর্বের মসজিদের অবস্থায় তুলনামূলকভাবে ভাল থাকলেও পশ্চিম মসজিদের কাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। [৬] ১৯৮৯-১৯৯০ সালে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা করা হয়।[৩] ২০০৬ সালের ২৫ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাজ্য সরকার মসজিদটিকে জাতীয় সংরক্ষিত স্থানের ষষ্ঠ পর্যায়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। [৩]

ভবন[সম্পাদনা]

"পুখুয়েই" নামটি একটি দাউর ভাষা থেকে চীনা ভাষায় এসেছে, যার অর্থ "মঙ্গলজনক"।[১] পুখুয়েই মসজিদটি মূলত দুটি পৃথক মসজিদ নিয়ে গঠিত।[২]

পূর্ব মসজিদ[সম্পাদনা]

পূর্ব মসজিদটি একটি তিন তলা ভবন বিশিষ্ট। ৩৭৪ বর্গমিটার (৪,০৩০ ফু) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। কিকিহার শহর প্রতিষ্ঠার সাত বছর পূর্বে কঙ্গসি সম্রাটের রাজত্বের সময়কালে ১৬৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়। [২]

পশ্চিম মসজিদ[সম্পাদনা]

পশ্চিম মসজিদটি একটি দুই তলা ভবন বিশিষ্ট। ১৭৩ বর্গমিটার (১,৮৬০ ফু) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। গানসু থেকে আসা জহরিয়া মেনহুয়ান অনুসারীদের দ্বারা জিয়ানফেং সম্রাটের রাজত্বের সময়কালে ১৮৫২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।[১][২]

মসজিদ প্রাঙ্গণটি প্রায় ৬,৪০০ বর্গ মিটার (৬৯,০০০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। তারমধ্যে প্রায় ২,০০০ বর্গ মিটার (২২,০০০ বর্গফুট) এলাকা নিয়ে মসজিদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি নামাজঘরে মোটামুটি ৪৫০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে।[২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. সরলীকৃত চীনা: 先有清真寺,后有卜奎城; প্রথাগত চীনা: 先有清真寺,後有卜奎城; ফিনিন: Xiān yǒu qīngzhēnsì, hòu yǒu Bǔkuíchéng.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 卜奎清真寺 (চীনা ভাষায়) (50), ২০০১, পৃষ্ঠা 79–81, আইএসবিএন 957-667-787-4  অজানা প্যারামিটার |script-journal= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. 卜奎清真寺, Qiqihar News (চীনা ভাষায়), ২০০৫-০৬-২৭, ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১ 
  3. 卜奎清真寺 (চীনা ভাষায়), China Cultural Heritage Foundation, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. 黑龙江规模最大的伊斯兰建筑:卜奎清真寺, Xinhua News (চীনা ভাষায়), ২০০৮-১২-১২, ২০১২-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১ 
  5. 齐齐哈尔第三集, China Central Television (চীনা ভাষায়), ২০০৫-০৮-২৯, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১ 
  6. Liu, Peilin (刘沛霖) (১৯৮১), 卜奎清真寺 (চীনা ভাষায়) (3), সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১  অজানা প্যারামিটার |script-work= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]