মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব মুর‍্যাল
মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব মুর‍্যাল
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিআধুনিক স্থাপত্য
অবস্থানইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কুষ্টিয়া জেলা
দেশবাংলাদেশ
নির্মাণকাজের আরম্ভ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯
উদ্বোধন১৭ মার্চ, ২০২০
নির্মাণব্যয়৮ লক্ষ টাকা
স্বত্বাধিকারীইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
উচ্চতামুক্তির আহ্বানঃ ১২.১২ ফুট বা ৩.৬৯ মিটার
শ্বাশত মুজিবঃ ১০.৫ ফুট বা ৩.২ মিটার
কারিগরী বিবরণ
উপাদানসাদা পাথর, বালু, সিমেন্ট
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিকনক কুমার পাঠক
পরিচিতির কারণস্বাধীনতার ঘোষণা সংবলিত স্মৃতিস্তম্ভ মুর‍্যাল

মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের স্মৃতিফলক স্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণ সংবলিত দুইটি ম্যুরাল।[১][২] বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভাষণের স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে ভাস্কর্যটি নির্মান করা হয়।[৩] এই ভাস্কর্যটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্মুখভাগে অবস্থিত।[৪][৫] ভাস্কর্যটির নকশা প্রণয়ন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক কনক কুমার পাঠক।[৬]

অবস্থান[সম্পাদনা]

মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব মুর‍্যাল দুইটি কুষ্টিয়া জেলাইবি থানার অন্তর্গত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্মুখভাগে অবস্থিত। মুর‍্যাল দুইটি হলের প্রধান ফটকের সম্মুখে দুই পাশে অবস্থিত।

ভাস্কর্যের বর্ণনা[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে মুর‍্যাল দুইটি নির্মান করতে ব্যয় হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা।[২] ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখ রাশিদ আসকারী ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।[৭][৮]

মুক্তির আহ্বান[সম্পাদনা]

মুক্তির আহ্বান ম্যুরালটি মূলত সাতই মার্চের ভাষণ সংবলিত একটি ম্যুরাল, মুর‍্যালটি ৩ ফুট ১২ ইঞ্চি বিশিষ্ট একটি মঞ্চের উপর অধিষ্ঠিত, মুর‍্যালটির উচ্চতা ৯ ফুট এবং প্রশস্ততা ১৮ ফুট।[৯] মুর‍্যালটি বঙ্গবন্ধু হল থেকে ২০ ফুট ১১ ইঞ্চি দূরত্বে অবস্থিত। ম্যুরালটিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সাদা পাথরে লেখা আছে।

শ্বাশত মুজিব[সম্পাদনা]

শ্বাশত মুজিব মুর‍্যালটি মূলত সাতই মার্চের ভাষণের সময়ের স্মৃতিকে স্মরণ করতে সেইরুপ একটি প্রতিমূর্তি। বঙ্গবন্ধু হল থেকে ১২ ফুট ১৫ ইঞ্চি দূরত্বে ম্যুরালটি অবস্থিত। শ্বাশত মুজিব ম্যুরালটির উচ্চতা ১০.৫ ফুট এবং প্রশস্ততা ৭ ফুট।[১০] শাশ্বত মুজিবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অন্নদাশঙ্কর রায় ও ইংরেজ লেখক টেরি প্র্যাচেটের দুটি উক্তি খোদাই করা রয়েছে।

স্থাপনা তাৎপর্য[সম্পাদনা]

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তত্ত্বাবধানে এর নকশা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক।[১০] ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ম্যুরাল স্থাপনের নিমিত্তে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেই চুক্তি মোতাবেক এক বছরের মধ্যেই ভাস্কর্যটি নির্মানের কাজ শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভাস্কর্যটি নির্মানের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার পিছনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ধরে রাখতে ভাস্কর্যটি নির্মান করা হয়েছে, সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবে।[১১][১২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইবিতে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল উদ্বোধন"barta24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  2. "ইবিতে 'শ্বাশত মুজিব' ও 'মুক্তির আহ্বান' নামে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল উদ্বোধন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  3. "ইবির পরতে পরতে বঙ্গবন্ধু"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  4. "ইবিতে বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল উদ্বোধন"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  5. "ইবিতে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ও মুক্তির আহ্বান ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি"যশোরের আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  6. "ইবিতে 'শাশ্বত মুজিব' ও 'মুক্তির আহ্বান'র উদ্বোধন"আমার সংবাদ। ২০২০-০৩-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  7. "বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ইবিতে দুই ম্যুরাল উদ্বোধন"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২১-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  8. "ইবিতে বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব"Bartabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  9. "জন্মশতবর্ষে ইবিতে 'মুক্তির আহ্বান' ও 'শ্বাশত' মুজিব'"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "ভাস্কর্যে ভাস্বর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  11. "ইবিতে একই দিনে বঙ্গবন্ধুর দুটি স্মৃতি ভাস্কর্যের উদ্বোধন"www.deltatimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  12. "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: পাওয়া না পাওয়ার ৪১ বছর"risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১