বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′ উত্তর ৮৭°১৭′ পূর্ব / ২৩.৪৩° উত্তর ৮৭.২৮° পূর্ব / 23.43; 87.28
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বড়জোড়া
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
বড়জোড়া পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
বড়জোড়া
বড়জোড়া
বড়জোড়া ভারত-এ অবস্থিত
বড়জোড়া
বড়জোড়া
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে বড়জোড়ার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′ উত্তর ৮৭°১৭′ পূর্ব / ২৩.৪৩° উত্তর ৮৭.২৮° পূর্ব / 23.43; 87.28
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাবাঁকুড়া
আয়তন
 • মোট৩৯৩.২৩ বর্গকিমি (১৫১.৮৩ বর্গমাইল)
উচ্চতা৭১ মিটার (২৩৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২,০২,০৪৯
 • জনঘনত্ব৫১০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন কোড৭২২ ২০২ (বড়জোড়া)
৭২২ ২০৩ (বেলিয়াতোড়)
৭২২ ২০৮ (পোখান্না)
৭২২ ১৬৮ (ঘুটগড়িয়া)
৭২২ ১৪২ (মালিয়াড়া)
দূরভাষ/এসটিডি কোড০৩২৪৩
আইএসও ৩১৬৬ কোডআইএন-ডব্লিউবি
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিউবি-৬৭, ডব্লিউবি-৬৮
সাক্ষরতার হার৭১.৬৭%
লোকসভা কেন্দ্রবিষ্ণুপুর
বিধানসভা কেন্দ্রবড়জোড়া
ওয়েবসাইটbankura.gov.in

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া সদর মহকুমার একটি প্রশাসনিক বিভাগ।

ভূগোল[সম্পাদনা]

বাঁকুড়া জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও পুরসভাগুলির মানচিত্র

বড়জোড়ার স্থানাংক ২৩°২৬′ উত্তর ৮৭°১৭′ পূর্ব / ২৩.৪৩° উত্তর ৮৭.২৮° পূর্ব / 23.43; 87.28

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বাঁকুড়া জেলার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি বন্ধুর ও পাথুরে এবং মাটি লাল রঙের ল্যাটেরাইট শ্রেণির। ব্লকে স্থানে স্থানে ঝোপঝাড় ও শাল গাছের জঙ্গল দেখা যায়। বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া, মেজিয়া ও বড়জোড়ায় কয়লাখনি রয়েছে।[১]

এই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উত্তর দিকে দামোদর নদের ওপারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ফরিদপুর-দুর্গাপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, পূর্ব দিকে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দক্ষিণ দিকে ওন্দাবাঁকুড়া ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পশ্চিম দিকে গঙ্গাজলঘাটিমেজিয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অবস্থিত।[২][৩]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ৩৯৩.২৩ বর্গ কিলোমিটার। ব্লকটি একটি পঞ্চায়েত সমিতি, ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৫৭টি গ্রাম সংসদ, ১৯৯টি মৌজা, ১৮২টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম ও ৩টি জনগণনা নগর নিয়ে গঠিত। সমগ্র ব্লকটি বড়জোড়াবেলিয়াতোড় থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অন্তর্গত।[৪] ব্লকের সদর দফতর বড়জোড়ায় অবস্থিত।[৫]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক/পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়, বৃন্দাবনপুর, ছন্দর, ঘুটঘড়িয়া, গোদারডিহি, হাট আসুরিয়া, খানরাড়ি, মালিয়াড়া, পাখান্না ও শারজোড়া।[৬]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ২০২,০৪৯; এর মধ্যে গ্রামীণ জনসংখ্যা ১৭৬,২৬৩ এবং শহরাঞ্চলীয় জনসংখ্যা ২৫,৭৮৬। ব্লকে মোট পুরুষের সংখ্যা ১০৩,৭৬৯ (৫১ শতাংশ) এবং নারীর সংখ্যা ৯৮,২৮০ (৪৯ শতাংশ)। এই জনগণনার সময় অনূর্ধ্ব ছয় বছর বয়সীদের মোট সংখ্যা ছিল ২২,৮২৭। ব্লকের ৬৮,৩৬৫ জন (৩৩.৮৫ শতাংশ) তফসিলি জাতি এবং ৩,৩২২ জন (১.৬৪ শতাংশ) তফসিলি উপজাতি তালিকার অন্তর্ভুক্ত।[৭]

২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় সেই সময় বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭৮,৯৭৬; যার মধ্যে ৯২,৩৩০ জন ছিলেন পুরুষ এবং ৮৬,৬৪৬ জন ছিলেন নারী। ১৯৯১-২০০১ দশকে এই ব্লকের নথিবদ্ধ জনগণনা বৃদ্ধির হার ছিল ১২.৫২ শতাংশ। উল্লেখ্য, একই সময়ে বাঁকুড়া জেলায় দশকীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৫.১৫ শতাংশ[৮] এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.৮৪ শতাংশ।[৯]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনগণনা নগরগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান দেওয়া হল): বড়জোড়া (১৪,০১২), ঘুটগড়্যা (৫,৩১১) ও বেলিয়াতোড় (৬,৪৪৩)।[৭]

এই ব্লকের বড়ো গ্রামগুলি (৪০০০+ জনসংখ্যাবিশিষ্ট) হল(বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান দেওয়া হল): মালিয়াড়া (৭,৯১৮), পাহাড়পুর (৪,৪৫০), কৃষ্ণনগর (৫,২০১) ও হাটাশুড়িয়া (৪,৫০৫)।[৭]

ব্লকের অন্যান্য গ্রামগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান দেওয়া হল): ছন্দর (১,৭৭৬), পোখান্না (৩,৫৮৮), শাড়জোড়া (৩,৮৬২), খানরাড়ি (২,০৫২), ও বৃন্দাবনপুর (১,০৩১)।[৭]

সাক্ষরতা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ১২৮,৪৪৩ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী জনসংখ্যার ৭১.৬৭ শতাংশ); এর মধ্যে সাক্ষর পুরুষের সংখ্যা ৭৪,৫৫১ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী পুরুষ জনসংখ্যার ৮১.০১ শতাংশ) এবং সাক্ষর নারীর সংখ্যা ৫৩,৮৯২ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী নারী জনসংখ্যার ৬১.৮১ শতাংশ)। ব্লকে নারী ও পুরুষ সাক্ষরতার হারের মধ্যে পার্থক্য ১৯.২০ শতাংশ।[৭]

বাঁকুড়া জেলার
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলিতে
সাক্ষরতার হার
বাঁকুড়া সদর মহকুমা
শালতোড়া – ৬১.৪৫%
মেজিয়া – ৬৬.৮৩%
গঙ্গাজলঘাটী – ৬৮.১১%
ছাতনা – ৬৫.৭৩%
বাঁকুড়া ১ – ৬৮.৭৪%
বাঁকুড়া ২ – ৭৩.৫৯%
বড়জোড়া – ৭১.৬৭%
ওন্দা – ৬৫.৮২%
বিষ্ণুপুর মহকুমা
ইন্দাস – ৭১.৭০%
জয়পুর – ৭৪.৫৭%
পাত্রসায়র – ৬৪.৮%
কোতুলপুর – ৭৮.০১%
সোনামুখী – ৬৬.১৬%
বিষ্ণুপুর – ৬৬.৩০%
খাতড়া মহকুমা
ইঁদপুর – ৬৭.৪২%
রানিবাঁধ – ৬৮.৫৩%
খাতড়া – ৭২.১৮%
হীরবাঁধ – ৬৪.১৮%
রায়পুর – ৭১.৩৩%
সারেঙ্গা – ৭৪.২৫%
সিমলা – ৬৮.৪৪%
তালড্যাংরা – ৭০.৮৭%
সূত্র:
২০১১ সালের জনগণনা প্রতিবেদন:
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী

প্রাথমিক জনগণনা সংক্ষিপ্ত তথ্য


ভাষা ও ধর্ম[সম্পাদনা]

ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক ২০১১, বাঁকুড়া অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলার মোট জনসংখ্যার ৮৯.৯ শতাংশের মাতৃভাষা বাংলা, ৮.১ শতাংশের মাতৃভাষা সাঁওতালি, ১.১ শতাংশের মাতৃভাষা কুর্মালি ঠার, ০.৫ শতাংশের মাতৃভাষা হিন্দি ও ০.১ শতাংশের মাতৃভাষা তেলুগু।[১০]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ধর্মবিশ্বাস
হিন্দু
  
৯৩.২২%
মুসলমান
  
৬.৬৯%
খ্রিস্টান
  
০.০১%
অন্যান্য
  
০.০৮%

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৮৮,৩৪০ (মোট জনসংখ্যার ৯৩.২২ শতাংশ), ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মোট সংখ্যা ১৩,৫১৫ (মোট জনসংখ্যার ৬.৬৯ শতাংশ), খ্রিস্টানদের সংখ্যা ২৯ (মোট জনসংখ্যা ০.০১ শতাংশ) এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ১৬৫ (মোট জনসংখ্যার ০.০৮ শতাংশ)।[১১] অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রয়েছে আদিবাসী, মারাংবুরু, সাঁওতাল, সারানাথ, সারি ধর্ম, সারনা, আলচচি, বিডিন, সন্ত, সাহেবধর্ম, সেরান, সারান, সেরিন, খেড়িয়া,[১২] ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়।[১১]

গ্রামীণ দারিদ্র্য[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৪৩.৮৯ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।[১৩] ২০০৫ সালের গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল যে, বাঁকুড়া জেলায় মোট পরিবারের ২৮.৮৭ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।[১৪]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

জীবিকা[সম্পাদনা]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে
জীবিকা

  কৃষিজীবী (১৯.২৬%)
  কৃষিশ্রমিক (৩৬.২৫%)
  কুটিরশিল্প (৩.৯৬%)
  অন্যান্য শ্রমিক (৪০.৫৩%)

২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট কৃষিজীবীর সংখ্যা ছিল ১৫,২৩৫ (১৯.২৬ শতাংশ), কৃষিশ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৮,৬৭৭ (৩৬.২৫ শতাংশ), কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৩,১৩৫ (৩.৯৬ শতাংশ) এবং অন্যান্য শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৩২,০৬০ (৪০.৫৩ শতাংশ)।[১৫] ব্লকের মোট শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৭৯,১০৭ (মোট জনসংখ্যার ৩৯.১৫ শতাংশ) এবং অ-শ্রমিকদের সংখ্যা ছিল ১২২,৯৪২ (মোট জনসংখ্যার ৬০.৮৫ শতাংশ)।[১৬]

পরিকাঠামো[সম্পাদনা]

২০১১ সালে ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, বাঁকুড়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট জনবসতিপূর্ণ গ্রামের সংখ্যা ১৮২। এর মধ্যে ১০০ শতাংশ গ্রামেই বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ২২টি গ্রামে (১২.০৯ শতাংশ) ডাকঘর রয়েছে। ১৫৮টি গ্রামে (৮৬.৮১ শতাংশ) দূরভাষ সংযোগ (ল্যান্ডলাইন, পাবলিক কল অফিস ও মোবাইল ফোন সহ) রয়েছে। ৩৯টি গ্রামে (২৯.৪৩ শতাংশ) গ্রামে পাকা রাস্তা এবং ৭৫টি গ্রামে (৪৫.২১ শতাংশ) পরিবহন সংযোগ (বাস ও রেল পরিষেবা এবং নাব্য জলপথ সহ) রয়েছে। ১৩টি গ্রামে (৭.১৪ শতাংশ) কৃষি ঋণ সংস্থা এবং ১০টি গ্রামে (৫.৪৯ শতাংশ) ব্যাংক রয়েছে।[১৭]

কয়লা[সম্পাদনা]

বরাকর স্তরসংঘে কয়লা বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকেও পাওয়া যায়। বড়জোড়া কয়লাক্ষেত্রটি কয়লাস্তরের একটি প্রধান অংশ এবং ৩৫ মিটার গভীর পলি ও ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা দ্বারা আবৃত। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হিসেব অনুযায়ী, এখানে প্রমাণিত কয়লার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লক্ষ টন।[১৮]

শিল্প[সম্পাদনা]

বড়জোড়ার গোবিন্দ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড স্পঞ্জ আয়রন, মাইল্ড স্টিল বিলেট ও ফেরো খাদ প্রস্তুত করে। এই কারখানায় ৪০০ লোক কাজ করেন। ঋষভ স্পঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেডেও স্পঞ্চ আয়রন উৎপাদিত হয় এবং এখানেও ৪০০ লোক কাজ করেন।[১৯]

দুর্গাপুর বাঁধ[সম্পাদনা]

দুর্গাপুর বাঁধ থেকে ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়েস্ট ব্যাংক ক্যানেলটি বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়র ও ইন্দাস থানা এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই খালটির কার্যকারিতাও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।[২০]

কৃষি[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৭৫টি ফার্টিলাইজার ডিপো, ১৬টি সিড স্টোর ও ৫৮টি ন্যায্য মূল্যের দোকান রয়েছে।[২১]

২০১৩-১৪ সালেরই হিসেব অনুযায়ী, এই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে কৃষিজীবীদের নিম্নলিখিত শ্রেণিগুলিতে বিভক্ত করা হয়েছিল: বর্গাদার ৯.১৭ শতাংশ, পাট্টাদার ১৭.৫৭ শতাংশ, ক্ষুদ্র কৃষক (১ থেকে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমির অধিকারী) ৮.৫২ শতাংশ, প্রান্তিক কৃষক (১ হেক্টর বা তারও কম পরিমাণ জমির অধিকারী) ২২.৩৬ শতাংশ এবং কৃষিশ্রমিক ৪২.৩৯ শতাংশ।[২১]

২০০৩-০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ১৯,৮০৬ হেক্টর; এর মধ্যে ৬,০২৫ হেক্টর জমিতে একাধিক শস্য উৎপাদিত হত।[২২]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, এই ব্লকের মোট সেচিত অঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৮,২৪৭ হেক্টর; এর মধ্যে ৩,০৪৩ হেক্টর জমি সেচিত হত খালের জলে, ৬৬০ হেক্টর জমি সেচিত হত জলাধারের জলে, ১,৩২০ হেক্টর জমি নদী থেকে তোলা জলে, ২২৪ হেক্টর জমি গভীর নলকূপের জলে, ২,০৮৯ হেক্টর জমি অগভীর নলকূপের জলে, ১১২ হেক্টর জমি কুয়োর জলে এবং ৭৯৯ হেক্টর জমি সেচিত হত অন্যান্য পদ্ধতিতে।[২১]

২০১৩-১৪ সালে এই ব্লকের ১৬,৬১১ হেক্টর জমি থেকে প্রধান শীতকালীন ফসল আমন ধান মোট ৪৪,৫৯৪ টন উৎপাদিত হয়েছিল, ৩০০ হেক্টর জমি থেকে আউস ধান উৎপাদিত হয়েছিল ৮৫৩ টন, ১২২ হেক্টর জমি থেকে ৪১৪ টন বোরো ধান, ১৯৫ হেক্টর জমি থেকে ৩৪৫ টন গম এবং ২,১৩৫ হেক্টর জমি থেকে ৬৯,২০৮,০০০ টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল। এছাড়াও কলাই ও সরষেও উৎপাদিত হয়েছিল।[২১]

হস্তচালিত তাঁত ও মৃৎশিল্প[সম্পাদনা]

বাঁকুড়া জেলায় অ-কৃষিক্ষেত্রে হস্তচালিত তাঁত শিল্পের সঙ্গেই সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ যুক্ত। তাই এটি বাঁকুড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এই শিল্প বাঁকুড়ার সব ক’টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। বিখ্যাত বালুচরী শাড়ি এই জেলার তাঁত শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ২০০৪-০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের চালু তাঁতের সংখ্যা ছিল ২৫৬।[২৩]

বাঁকুড়া জেলা মৃৎশিল্পের জন্যও জগদ্বিখ্যাত। বাঁকুড়ার ঘোড়া এই শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির একটি। গৃহস্থালির বাসনপত্র, টেরাকোটা ও অন্যান্য সাজসজ্জামূলক দ্রব্যাদি এবং ঘরের টালি সহ অন্যান্য ভারী মৃৎসামগ্রীও এই জেলায় উৎপাদিত হয়। ২০০২ সালের হিসেব অনুযায়ী, সমগ্র জেলায় ৩,২০০টি পরিবার মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যার মধ্যে বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়নের অধিবাসী ছিল ১৬০টি পরিবার।[২৪]

ব্যাংকিং[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৩টি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয় অবস্থিত ছিল।[২১]

পরিবহণ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৮টি প্রান্তিক বাস রুট রয়েছে।[২১]

বাঁকুড়া-মসাগ্রাম লাইনে ডেমু পরিষেবা সুলভ।[২৮] চান্দের ও বেলিয়াতোড়ে রেল স্টেশন রয়েছে।[২৯]

পুরুলিয়া জেলার সাঁওতালডিহি থেকে নদিয়া জেলার মাজদিহা পর্যন্ত ৮ নং রাজ্য সড়ক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম পর্যন্ত ৯ নং জাতীয় সড়ক বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উপর দিয়ে গিয়েছে।[৩০]

শিক্ষাব্যবস্থা[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১,৯৫৭ জন, ৩১টি মধ্য বিদ্যালয়ে ৩,৬২৮ জন, ১১টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭,৯২০ জন এবং ১৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১১,৩৭৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ব্লকের দু’টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ২,৮৮৯ জন, ২টি পেশাগত/প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানে ১১৬ জন এবং ২৯০টি বিশেষ ও অচ-চিরাচরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮,৩৯০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। সমগ্র ব্লকে ৯টি গণসাক্ষরতা কেন্দ্র রয়েছে।[৩১]

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১৮২টি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে ৩২টি গ্রামে একটিও বিদ্যালয় নেই, ৩৯টি গ্রামে দুই বা ততোধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ৪৮টি গ্রামে অন্তত একটি প্রাথমিক ও একটি মধ্য বিদ্যালয় রয়েছে এবং ১৭টি গ্রামে অন্তত একটি মধ্য ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৩২]

১৯৮৫ সালে বড়জোড়ায় স্থাপিত হয় বড়জোড়া কলেজ[৩৩]

১৯৮৬ সালে বেলিয়াতোড়ে যামিনী রায় মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়।[৩৪][৩৫]

স্বাস্থ্য পরিষেবা[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট ৬৩টি শয্যা ও ৭ জন চিকিৎসক সমেত একটি গ্রামীণ হাসপাতাল, ৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি বেসরকারি নার্সিং হোম রয়েছে। এছাড়া এই ব্লকে ৩৬টি পরিবারকল্যাণ উপকেন্দ্র এবং একটি পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রও রয়েছে। ব্লকের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলির অন্তর্বিভাগে মোট ৪,৯০৯ জন এবং বহির্বিভাগে ১২৬,৫৭০ জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে।[৩৬]

বড়জোড়ায় অবস্থিত ৩০ শয্যাবিশিষ্ট বড়জোড়া গ্রামীণ হাসপাতালটি বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। এটি ছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে এই ব্লকের বেলিয়াতোড়ে (১০টি শয্যাবিশিষ্ট), ছন্দরে (৪টি শয্যাবিশিষ্ট), গোদারডিহিতে (জগন্নাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৪টি শয্যাবিশিষ্ট ও পাখান্নায় (১০টি শয্যাবিশিষ্ট)।[৩৭][৩৮]

উৎসব ও মেলা[সম্পাদনা]

উৎসব[সম্পাদনা]

নিরিশা গ্রামের বামাকালী পূজা[সম্পাদনা]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত বেলিয়াতোড়ের কাছে নিরিশা গ্রামের তিনশো বছরেরও বেশি পুরনো বামাকালী পূজা ও উৎসব প্রতি বছর কার্তিক অমাবস্যা তিথিতে সাড়ম্বরে পালিত হয়। গ্রামের একটি মন্দিরে দেবী বামাকালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কথিত আছে, মোহন আকুড়্যা নামে জনৈক কালী সাধকের সাধনায় তুষ্ট হয়ে দেবী মানবী মূর্তি ধারণ করে তাঁকে দর্শন দেন ও নিত্যপূজা প্রার্থনা করেন। কিন্তু সেই সাধকের নিত্যপূজার সামর্থ্য না থাকায় বেলিয়াতোড় গ্রামের সূত্রধর সম্প্রদায়কে মূর্তি নির্মাণের, স্থানীয় জমিদারবংশীয়দের পূজার মিষ্টান্ন ইত্যাদি প্রদানের, রামনগরের নাপিত সম্প্রদায়কে বলির পাঁঠা দেওয়ার, রানিয়াড়া গ্রামের মালাকারদের ডাকের সাজ দেওয়ার, রামপুর মাজনামুড়া গ্রামের খয়রাদের মন্দির নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় শাল কাঠের খুঁটি দেওয়ার, ওলাসাপুর গ্রামের ডোমদের ঢাক বাজাবার এবং নিরিশা গ্রামের ডোমদের নৈবেদ্যের ডালি দেওয়ার স্বপ্নাদেশ হয়। সেই থেকে এই সব পরিবার ও সম্প্রদায়ই বামাকালী পূজার ব্যয়ভার বহন করে আসছে।[৩৯]

দেবীর নিত্যপূজা ছাড়াও কার্তিক মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথি থেকে চারদিনব্যাপী এক পূজাও সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অমাবস্যার দিন দেবীমূর্তিকে দোলায় স্থাপন করে স্থানীয় একটি পুকুরে নিয়ে গিয়ে স্নানাভিষেক উৎসব পালন করা হয়। রাতে আকুড়্যা জাতির নিজস্ব রীতি অনুযায়ী পূজা করা হয় এবং রাত্রিশেষে একটি ছাগ বলি দেওয়া হয়। প্রতিপদ তিথি থেকে প্রতিদিন যথারীতি পূজার পর দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানতের ছাগ বলি হয়। উৎসবের চারদিন দেবীমূর্তি মন্দির থেকে বের করে পূজামণ্ডপে স্থাপন করে পূজা করা হয় এবং উৎসবের শেষে পুনরায় সেই মূর্তি মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে সারা বছর নিত্যপূজা করা হয়। উৎসব উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই মন্দির প্রাঙ্গনে কবিগানের আসর বসে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কবিয়ালরা এই আসরে যোগ দেন।[৩৯]

চড়ক, গাজন ও নীলপূজা[সম্পাদনা]

মেট্যালি গ্রামের ধর্মরাজঠাকুরের গাজন[সম্পাদনা]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত মেট্যালি গ্রামে প্রতি বছর বৈশাখী পূর্ণিমা থেকে আরম্ভ করে সাতদিনব্যাপী ধর্মরাজঠাকুরের গাজন উৎসব পালিত হয়। গ্রামবাসীরা এই উৎসবটিকে পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো বলে দাবি করেন। কথিত আছে, অতীতে স্থানীয় কুমোরের একটি খালে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে ধর্মরাজ, কালারাজ ও হংসরাজ নামে তিনটি ধর্মশিলা ওঠে। সেই থেকে তিনটি শিলাকে গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করে কুমোরেরা পূজা শুরু করেন। ধর্মরাজঠাকুরের এই গাজন উৎসবটিও তাঁদের দ্বারাই পরিচালিত। অবশ্য গ্রামের সর্বসাধারণ ও আশেপাশের গ্রামের মানুষেরাও এই উৎসবে যোগদান করেন এবং মানতের পূজা দিয়ে থাকেন।[৪০]

বৈশাখী পূর্ণিমার চারদিন আগে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়। পূর্ণিমার দিন বিকেলে গাজনের শোভাযাত্রা বের হয়। ধর্মরাজ ও তাঁর দুই সঙ্গী কালারাজ ও হংসরাজকে কাঠের সিংহাসনে স্থাপন করে দামোদর নদের দক্ষিণ তীরে নিয়ে গিয়ে স্নানাভিষেক ও পূজা করা হয়। তারপর রাত দশটা নাগাদ তিন ধর্মশিলাকে মন্দিরে এনে আধসের আতপ চাল, একসের মুড়কি ও মিষ্টি দিয়ে পুনরায় পূজা করা হয়। পূজান্তে এই প্রসাদ গ্রামের সকল গৃহে বিতরণ করা হয়। পরদিন দুপুরে পূজার পর ধর্মরাজের কাছে মানতের পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। তারপর বিকেলে চড়ক উপলক্ষ্যে ধর্মরাজকে কয়েক ঘণ্টার জন্য চড়কতলায় স্থাপন করা হয়। অতীতে এই দিনই ভক্তেরা পিঠে বান ফুঁড়ে চড়ক গাছে পাক খেতেন। চড়কের পরদিন সন্ন্যাসব্রতী ও দরিদ্রনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়।[৪০]

খাঁড়ারি গ্রামের বুড়া মহাদেবের গাজন[সম্পাদনা]

বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত খাঁড়ারি গ্রামে প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তি থেকে ৪ বৈশাখ পর্যন্ত মহাসমারোহে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়। অতীতে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজারা এই উৎসবে অর্থ দিয়ে সহায়তা করতেন। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই উৎসবটি এই অঞ্চলে বুড়া মহাদেবের গাজন নামে পরিচিত। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, বুড়া মহাদেবের কৃপায় হাঁপানি রোগ সারে। উৎসবের সময় পাঁচদিনব্যাপী শিবপূজা ও হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ন্যাসব্রতীরা পাটস্নান, আনুষ্ঠানিক নৃত্যগীত, পাট নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ এবং ‘বান ফোড়া’, ‘আগুন ঝাঁপ’ প্রভৃতি কৃচ্ছ্রসাধন করে থাকেন। পাট নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণের সময় গ্রামবাসীরা সন্ন্যাসব্রতীদের অর্থ, চাল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন। সেই সব খাদ্যদ্রব্য পয়লা বৈশাখের দিন একসঙ্গে রান্না করে শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় এবং তারপর সেই প্রসাদ সন্ন্যাসব্রতী সহ প্রায় বারোশো গ্রামবাসী গ্রহণ করেন। এই ভোজটি ‘লক্ষ্মণভোজ’ নামে পরিচিত। উৎসব পরিসমাপ্তির দিনও একটি সর্বজনীন ভোজের আয়োজন করা হয়। গাজন উৎসব উপলক্ষ্যে মন্দির প্রাঙ্গনে যাত্রার আসর বসে।[৪১]

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "District Census Handbook Bankura" (পিডিএফ)pages 13-17। Directorate of Census Operations West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "District Census Handbook Bankura, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Map on fifth page। Directorate of census Operations V, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "Bardhaman Tehsil Map"। Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০ 
  4. "District Statistical Handbook 2014 Bankura"Tables 2.1, 2.2। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  5. "District Census Handbook: Bankura" (পিডিএফ)Map of Bankura with CD block HQs and Police Stations (on the fifth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. "Directory of District, Subdivision, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal"Bankura - Revised in March 2008। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৬ 
  7. "C.D. Block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"2011 census: West Bengal – District-wise CD Blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬ 
  8. "Provisional population totals, West Bengal, Table 4, Bankura District"Census of India 2001। Census Commission of India। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৬ 
  9. "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"Census of India 2001। Census Commission of India। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬ 
  10. "District Census Handbook Bankura, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 48: Mother tongue। Directorate of census Operations V, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০ 
  11. "C1 Population by Religious Community"West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  12. "ST-14 A Details Of Religions Shown Under 'Other Religions And Persuasions' In Main Table"West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  13. "District Human Development Report: Bankura" (পিডিএফ)April 2007. Page 27, Pages 237-244। Development & Planning Department, Government of West Bengal। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  14. "West Bengal Summary"Rural Household Survey 2005। Department of Panchayat & Rural Development, Government of West Bengal। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 
  15. "District Census Handbook Bankura, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories of Economic Activity in Sub-district 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০ 
  16. "District Census Handbook Bankura, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 30: Number and percentage of Main workers, Marginal workers and Non workers by Sex, in Sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০ 
  17. "District Census Handbook, Bankura, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 83, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 
  18. "Natural Resources at Bankura"Minerals – coal। Bankura district authority। ৩০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৬ 
  19. "Bankura district"। West Bengal Industrial Development Corporation। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৬ 
  20. "District Human Development Report: Bankura" (পিডিএফ)April 2007. Pages: 44-45। Development & Planning Department, Government of West Bengal। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  21. "District Statistical Handbook 2014 Bankura"Tables 8.2, 17.2, 18.2, 18.1, 20.1, 21.2, 4.4, 3.1, 3.3 – arranged as per use। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  22. "District Human Development Report: Bankura" (পিডিএফ)April 2007. Page: 58। Development & Planning Department, Government of West Bengal। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  23. "District Human Development Report: Bankura" (পিডিএফ)April 2007. Page: 85। Development & Planning Department, Government of West Bengal। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  24. "District Human Development Report: Bankura" (পিডিএফ)April 2007. Pages: 83-84। Development & Planning Department, Government of West Bengal। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  25. "Bankura-Masagram DEMU 78052"India Rail Info 
  26. "Adra Division Railway Map"South Eastern Railway 
  27. "South Eastern Railway Pink Book 2017-18" (পিডিএফ)Indian Railways Pink Book 
  28. "78056 Bankura-Masagram DEMU"। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  29. "District Census Handbook Bankura, Series 20 Part XII A, Census of India 2011" (পিডিএফ)Page 487: Map of Barjora CD block and alphabetical list of villages। Directorate of Census Operations 2011। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯ 
  30. "List of State Highways in West Bengal"। West Bengal Traffic Police। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  31. "District Statistical Handbook 2014 Bankura"Tables 4.4, 4.6। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  32. "District Census Handbook, Bankura, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 1293, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 
  33. "Barjora College"। Barjora College। ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  34. "Jamini Roy College"। JRC। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  35. "Jamini Roy College"। College Admission। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  36. "District Statistical Handbook 2014 Bankura"Tables 3.1, 3.2, 3.3। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  37. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Rural Hospitals। Government of West Bengal। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 
  38. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 
  39. "উৎসব বিবরণী", অশোক মিত্র (সম্পাদক), পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ ও মেলা, দ্য কন্ট্রোলার অফ পাবলিকেশনস, সিভিল লাইনস, দিল্লি, ১৯৭৪, পৃ. ১০৪
  40. "চড়ক-গাজন-নীলপূজা", অশোক মিত্র (সম্পাদক), পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ ও মেলা, দ্য কন্ট্রোলার অফ পাবলিকেশনস, সিভিল লাইনস, দিল্লি, ১৯৭৪, পৃ. ১০৪-১০৫
  41. "চড়ক-গাজন-নীলপূজা", অশোক মিত্র (সম্পাদক), পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ ও মেলা, দ্য কন্ট্রোলার অফ পাবলিকেশনস, সিভিল লাইনস, দিল্লি, ১৯৭৪, পৃ. ১০৫