নিজামবাদের কালো মাটির মৃৎশিল্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিজামবাদের কালো মাটির মৃৎশিল্প
ভৌগোলিক নির্দেশক
বর্ণনাখোদাই করা রৌপ্য নকশার সাথে কালচে চকচকে গড়নের জন্য পরিচিত একধরণের মৃৎশিল্প
ধরনশিল্পজাত
অঞ্চলনিজামবাদ, আজমগড় জেলা, উত্তর প্রদেশ
দেশভারত
নথিবদ্ধডিসেম্বর ২০১৫
উপাদানকালো মাটি; দস্তা, টিন বা সীসা মিশ্রণ

নিজামবাদের কালো মাটির মৃৎশিল্প হল ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার নিজামবাদের একটি ঐতিহ্যবাহী কালো মাটির শিল্পকর্ম। মৃৎশিল্পের এই স্বতন্ত্র ধারাটি খোদাই করা রৌপ্য নকশার পাশাপাশি কৃষ্ণাভ চকচকে গড়নের জন্য সুপরিচিত। [১][২] ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এটি ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতির জন্য নিবন্ধিত হয়েছে।[৩]

মৃৎশিল্প[সম্পাদনা]

মৃৎশিল্পটি সাধারণত স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ সূক্ষ্ম গঠনবিন্যাসযুক্ত কাদামাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। মাটির ছাঁচগুলো বিভিন্ন আকারে প্রস্তুত করা হয় এবং ভাঁটায় পুড়ানো হয়। পরে এই মাটির জিনিসগুলো গুঁড়ো উদ্ভিজ্জ পদার্থযোগে ধুয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়। তীক্ষ্ণ খাঁজ ব্যবহার করে এগুলো ফুল এবং জ্যামিতিক নকশা দিয়ে সাজানো হয়। তারপর এগুলোকে ধানের তুষের আগুনের ধোঁয়ায় পোড়ানো হয়, যার ফলে এগুলো অনন্য চকচকে কালো রঙের হয়। এগুলো আবার তেল দিয়ে মাখানো হয় এবং ভাঁটাতে পোড়ানো করা হয়। মাটির জিনিসপত্রের খাঁজগুলো দস্তাপারদের সিলভার পাউডার দিয়ে ভরাট করা হয় এবং জল দিয়ে ধুয়ে আবার পালিশ করা হয়। সীসা বা টিন মিশ্রণও ব্যবহৃত হয়। [৪] সিলভার পাউডার মাটির কালচে রঙের বিপরীতে চকচকে রঙ দেয়। কখনো কখনো গরম থাকা অবস্থায় এগুলোতে বার্ণিশের লেপ যুক্ত করা হয়। [৩][৫][৬][৭][৮]

এর মাধ্যমে ফুলদানি, থালা, হাঁড়ি, প্রদীপ, চায়ের পেয়ালা, বাটি, পাত্র, ধূপের কাঠি ধারক ও হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের মূর্তি সহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি এবং আসবাবসামগ্রী তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দীর্ঘ গলাবিশিষ্ট সুরহি নামক জলের পাত্র বেশ জনপ্রিয় একটি সামগ্রী। [৩][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Keshav Chandra Gupta (১ জানুয়ারি ১৯৮৮)। Progress and Prospects of Pottery Industry in India: A Case Study of U.P.। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 978-81-7099-051-2 
  2. "NGO working to preserve culture in poor villages"SundayGuardianLive। ২৫ জানুয়ারি ২০১৬। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. Raj, Manish (২ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Now GI tag for black clay pottery of Nizamabad"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. NIIR Board of Consultants & Engineers (১ অক্টোবর ২০০৫)। The Complete Book on Glass and Ceramics Technology। ASIA PACIFIC BUSINESS PRESS Inc.। পৃষ্ঠা 246। আইএসবিএন 978-81-7833-033-4 
  5. Singh, Binay (১১ এপ্রিল ২০১৫)। "Azamgarh black clay pottery in race to get GI tag"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. "Etched Black Pottery from Azamgarh, Nizamabad, India: Chitra Balasubramaniam explores the pottery traditions of Bidri work."Free Online Library। ১ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. Aditi Ranjan; M. P. Ranjan (২০০৯)। Handmade in India: A Geographic Encyclopedia of Indian Handicrafts। Abbeville Press। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-7892-1047-0 
  8. Baidyanath Saraswati (১৯৭৮)। Pottery-making Cultures and Indian Civilization। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-81-7017-091-4