নবীনচন্দ্র দাশ (কবি)
কবি নবীনচন্দ্র দাশ, বিদ্যাপতি , (ইংরেজি: Nabinchandra Dash) ( ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৩ - ২১ ডিসেম্বর, ১৯১৪) ছিলেন গত ঊনবিংশ শতকের বাংলা আখ্যান কাব্য রচয়িতাদের অন্যতম কবি। [১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী[সম্পাদনা]
নবীনচন্দ্র দাশের জন্ম বৃটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আলমপুরে। পিতা দীনদয়াল ওরফে মাগনদাস। তিনি প্রখ্যাত তিব্বতি ভাষাবিদ ও পরিব্রাজক রায়বাহাদুর শরচ্চন্দ্র দাশের (১৮৫৪ - ১৯১৭) অনুজ ছিলেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ হতে শিক্ষালাভ করেন। কৃতিত্বের সাথে এম.এ ও বি.এল পাশ করে প্রথমে চট্টগ্রাম কলেজে আইনের অধ্যাপক হন। পরে রংপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হন। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি দুটি বাংলা মাসিক পত্রিকা ‘বিভাকর’ ও ‘প্রভাত’ সম্পাদনা করতেন। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত তার ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রভাত’ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের মুখপত্রস্বরূপ ছিল।পরবর্তীকালে সংস্কৃত সাহিত্যের রত্নরাজি পদ্যে বঙ্গানুবাদ করেন। উল্লেখযোগ্য কাব্যরচনাগুলি হল -
- পিশাচোদ্ধার (১৮৬৩)
- অযোগ্য বিবাহ (১৮৬৮)
- কালিদাসের বিদ্যালাভ (১৮৭৬)
কয়েকটি সংস্কৃত কাব্যের মূলানুগ অনুবাদ করেন -
- ‘রঘুবংশ’ (১৮৯১)
- ‘শিশুপাল বধ’ (১৯০৩)
- ‘কিরাতার্জুন’ (১৯০৬)
- ‘চারুচর্যাশতক’
- ‘আকাশকুসুম কাব্য’
- ‘শোকগীতি’ [২]
সম্মাননা[সম্পাদনা]
সংস্কৃত কাব্য পদ্যে বঙ্গানুবাদ করায় নবদ্বীপ ও পূর্রস্থলির পণ্ডিত বর্গ ‘কবি গুণাকর’ এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী তাঁকে “বিদ্যাপতি” উপাধিতে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি “কাব্যরত্নাকর” উপাধিও লাভ করেছিলেন।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৩৩৬। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9।
- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৩৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬