গ্লুটিয়াল পেশি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্লুটিয়াল পেশী
গ্লুটিয়াল অঞ্চল এবং পিছনের ফিমোরাল অঞ্চলের পেশিগুলো। গ্লুটিয়াস মিনিমাস, গ্লুটিয়াস মিডিয়াস এর উৎপত্তি ও সমাপ্তি দেখানো হয়েছে
গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস
বিস্তারিত
উপাদানসমূহগ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস পেশী, গ্লুটিয়াস মিডিয়াস পেশী,গ্লুটিয়াস মিনিমাস পেশী
ধমনীসুপিরিয়র গ্লুটিয়াল ধমনী এবং ইনফিরিয়র গ্লুটিয়াল ধমনী
শিরাউপরের গ্লুটিয়াল শিরা এবং নিচের গ্লুটিয়াল শিরা
স্নায়ুসুপিরিয়র গ্লুটিয়াল স্নায়ু, ইনফিরিয়র গ্লুটিয়াল স্নায়ু , লাম্বার স্নায়ু এবং স্যাক্রাল স্নায়ু
শনাক্তকারী
এফএমএFMA:64922
শারীরস্থান পরিভাষা

গ্লুটিয়াল পেশী বলতে তিনটি পেশিকে বোঝায়। এগুলো নিতম্ব অঞ্চলে অবস্থিত। পেশিগুলো হলো: গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস, গ্লুটিয়াস মিডিয়াস এবং গ্লুটিয়াস মিনিমাস । নিতম্বের হাড়, ত্রিকাস্থি এবং পায়ের ফিমার থেকে নিতম্ব পেশিগুলো উদ্ভূত হয়। পেশীগুলোর কাজের মধ্যে এক্সটেনশন,অ্যাবডাকশন, বাহ্যিক ঘূর্ণন এবং নিতম্ব জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ ঘূর্ণন অন্তর্ভুক্ত।

কাঠামো[সম্পাদনা]

তিনটি গ্লুটিয়াল পেশীর মধ্যে গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস সবচেয়ে বড়। এটি নিতম্ব অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেশী। এটি চতুর্ভুজ আকারের পেশী এবং নিতম্ব গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। গ্লুটিয়াস মিডিয়াস হল প্রশস্ত, ঘন, বিকিরণকারী পেশী, যা শ্রোণিচক্রের বাইরের পৃষ্ঠে অবস্থিত। এটি গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাসের কাছে গভীর এবং এর পরবর্তী অংশটি গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস দ্বারা আচ্ছাদিত। এর সামনের দুই-তৃতীয়াংশ গ্লুটিয়াল অ্যাপোনিউরোসিস দ্বারা আচ্ছাদিত, যা পেশিটির পৃষ্ঠের ফ্যাসা এবং ত্বককে পৃথক করে। গ্লুটিয়াস মিনিমাস তিনটি গ্লুটিয়াল পেশীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং গ্লুটিয়াস মিডিয়াসের নীচে অবস্থিত।[১]

কাজ[সম্পাদনা]

পেশীগুলির কাজের মধ্যে এক্সটেনশন, অ্যাবডাকশন এবং নিতম্ব জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ,পাশ্বিক এবং বাহ্যিক ঘূর্ণন অন্তর্ভুক্ত।

ক্লিনিকাল গুরুত্ব[সম্পাদনা]

দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার জন্য পেশিতে প্রদত্ত চাপের কারনে গ্লুটিয়াল পেশীগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য পিঠে ব্যথা (যদিও শুধুমাত্র এ কারনেই পিঠে ব্যথা হয় না) হতে পারে। এছাড়া যেসব চলনের জন্য স্বাভাবিকভাবে গ্লুটিয়াল পেশীগুলোর প্রয়োজন সেসব শারীরিক চলনে অসুবিধা হতে পারে। যেমন বসার অবস্থান থেকে উঠা এবং সিঁড়ি বেয়ে উঠা।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

অতিরিক্ত চিত্র[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]