আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ
প্রাক্তন নামটিএম ইন্টারন্যাশনাল বারহাদ
(১৯৯২–২০০৯)
ধরনপাবলিক কোম্পানি
টেমপ্লেট:Myx
আইএসআইএনMYL6888OO001
শিল্পটেলিযোগাযোগ
প্রতিষ্ঠাকাল১২ জুন ১৯৯২; ৩১ বছর আগে (1992-06-12)
সদরদপ্তরআজিয়াটা টাওয়ার, ৯ জলন স্টেসেন সেন্ট্রাল ৫, কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল, ৫০৪৭০ কুয়ালালামপুর
বাণিজ্য অঞ্চল
ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা
প্রধান ব্যক্তি
গাজ্জালি শেখ আবদুল খালিদ, চেয়ারম্যান
জামালউদ্দিন ইবরাহিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রেসিডেন্ট/গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
পণ্যসমূহমোবাইল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ও ডিজিটাল ইন্টারনেট কোম্পানি
আয়বৃদ্ধি MYR ২৪.৪ বিলিয়ন (২০১৭)[১]
MYR ২১.৬ বিলিয়ন (২০১৬)[২]
MYR ১৯.৯ বিলিয়ন (২০১৫)[২]
বৃদ্ধি MYR ১.২ বিলিয়ন (২০১৭)[৩]
MYR ৫০৪.৩ মিলিয়ন (২০১৬)[২]
MYR ২.৬ বিলিয়ন (২০১৫)[২]
কর্মীসংখ্যা
>২৫,০০০ (গ্রুপব্যাপী)
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানখাজানাহ নাসিয়োনাল বারহাদ
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান
ওয়েবসাইটaxiata.com

আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (সংক্ষেপে আজিয়াটা নামেও পরিচিত) হলো একটি মালয়েশিয়াভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ শিল্পগোষ্ঠী। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত। এছাড়া এটি মালয়েশিয়ারও অন্যতম প্রধান বেতার (ওয়্যারলেস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।[৪]

শিল্পগোষ্ঠী[সম্পাদনা]

আজিয়াটার প্রধান বাণিজ্য হলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাথমিক ব্যবসার মূলধন সরবরাহ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন ও উপদেষ্টাবৃত্তি। আজিয়াটার প্রধান কর্মক্ষেত্র বা লক্ষ্যস্থল হলো আসিয়ানদক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির বাজার[৫]

টেলিকম মালয়েশিয়া বারহাদের (টিএম) মুঠোফোন কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক শাখা হিসেবে ১৯৯২ সালের ১২ জুন প্রতিষ্ঠানটি টিএম ইন্টারন্যাশনাল বারহাদ (টিএমআই) নামে যাত্রা শুরু করে।[৬] ২০০৮ সালে টিএম থেকে পৃথকীকরণের পর প্রতিষ্ঠানটি বুরসা মালয়েশিয়া সিকিউরিটিজ বারহাদের মূল বোর্ডের তালিকাভুক্ত হয়।[৬] ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির নবযাত্রার অংশ হিসেবে “আজিয়াটা” নামে পুনর্নামকরণ করে এবং একটি নতুন লোগো প্রবর্তন করে।[৭] সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটি তাদের স্লোগানও পরিবর্তন করে “অ্যাডভান্সিং এশিয়া” (প্রগতিশীল এশিয়া) প্রবর্তন করে। স্লোগানটি মূলত এশিয়ায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যমাত্রাকে নির্দেশ করে।[৭]

এশিয়ার কয়েকটি দেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কাবাংলাদেশকম্বোডিয়ায় মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মূলধনের একটি বড় অংশ ধারণ করে।[৮] এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ভারতসিঙ্গাপুরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। থাইল্যান্ডপাকিস্তানে মুঠোফোন-ব্যতীত অন্যান্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করেছে।[৯]

বিনিয়োগ ও শেয়ারধারণ[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে আজিয়াটার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত এক ঘোষণা অনুযায়ী, এশিয়াব্যাপী তাদের মোট ব্যবহারকারী বা সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১৫০ মিলিয়ন এবং ২০১৮ সালে তাদের রাজস্ব ছিল ২৫.২ বিলিয়ন মালয়েশীয় রিঙ্গিত (৫.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।[১০] এছাড়া, আজিয়াটার মাধ্যমে ১১টি দেশে ১২,০০০-এর অধিক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।[৯]

আজিয়াটা মালয়েশিয়ায় ‘সেলকম’, ইন্দোনেশিয়ায় ‘এক্সএল’, শ্রীলঙ্কায় ‘ডায়ালগ’, বাংলাদেশে ‘রবি’, কম্বোডিয়ায় ‘স্মার্ট’, ভারতে ‘আইডিয়া’, নেপালে ‘এনসেল’ (টেলিয়াসোনেরা থেকে অধিগ্রহণকৃত; সম্পন্ন: ১২ এপ্রিল ২০১৬[১১]) এবং সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ‘এম১’ (এমওয়ান) ব্র‍্যান্ড নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মূলধন স্থানান্তরের প্রয়োজনে ও ২০২২ সালের মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ‘এম১’-এর সম্পূর্ণ শেয়ার ১.৬৫ বিলিয়ন মালয়েশীয় রিঙ্গিতের বিনিময়ে কানেকটিভিটি পিটিই লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে দেয়।[১২]

দেশ ব্র‍্যান্ড মালিকানা
 বাংলাদেশ রবি ৬৮.৭%
 কম্বোডিয়া স্মার্ট ১০০%
 ভারত ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড ৮.১৭%
   নেপাল এনসেল ৮০% [১৩]
 ইন্দোনেশিয়া এক্সএল ৬৬.৫৫%
 মালয়েশিয়া সেলকম ১০০%
 শ্রীলঙ্কা ডায়ালগ ৮৩.৩২%

২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্লুমবার্গ নিউজ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, আজিয়াটা তাদের অধীনস্থ ইডটকোতে অভ্যন্তরীণ আইপিও প্রস্তাবের পরিকল্পনা করছে।[৪] আইপিও থেকে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় প্রত্যাশিত ছিল।[৪]

প্রধান প্রতিযোগী[সম্পাদনা]

ইন্দোনেশিয়ার বাজারে আজিয়াটা গ্রুপের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো টেলকমসেল। ২০১৯ সালে, ইন্দোনেশিয়ায় টেলকমসেলের পর আজিয়াটা দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।[১৪] বাংলাদেশেও আজিয়াটার (রবি) দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছিল, যেখানে গ্রুপের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল টেলিনর (গ্রামীণফোন)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Axiata Posts Better 3Q16 Performance in Key Indicators Lifted by Ncell's First Full Quarter Contribution"। ২০১৮-১১-২৪। ২২ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Archived copy"। ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৫ 
  3. http://www.theedgemarkets.com/en/node/317565
  4. "Wireless carrier Axiata's unit may seek KL listing"The Straits Times। ২০১৮-০১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৬ 
  5. "Axiata moves to centralise its treasury"FinanceAsia। ২২ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০ 
  6. "TM International to list on 28 April"The Star। ১২ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০ 
  7. "TMI unveils new name but limits itself to Asia"The Star। ৩ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০ 
  8. Axiata। "Axiata Group – One of Asia's largest telecommunications groups"axiata.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৮ 
  9. "Axiata Delivers Another Strong Performance into 2010 with 1Q PATAMI of RM921 million" (পিডিএফ)Corporate Communications, Group Strategy, Axiata Group Berhad। ২৭ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০ 
  10. Axiata। "Axiata Group – One of Asia's largest telecommunications groups"axiata.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৮ 
  11. "TeliaSonera quits nepal, Ncell sold to Malaysian Telco group Axiata for 1.03Bil USD • TechSansar.com"TechSansar.com (ইংরেজি ভাষায়)। TechSansar। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-২১ 
  12. https://www.nst.com.my/business/2019/02/460549/axiata-disposed-its-unit-m1-ltd-rm165-bil
  13. "Malaysian giant acquires 80 per cent stake in Ncell for 1.36 billion US dollars"thehimalayantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৩ 
  14. Empat Tahun Menahkodai XL, Apa Yang Sudah Ditorehkan Dian Siswarini? Accessed April 15, 2019.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]