রুচিরা পাণ্ডা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রুচিরা পাণ্ডা
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম(১৯৭৫-১০-২১)২১ অক্টোবর ১৯৭৫
দেওঘর, ঝাড়খণ্ড
উদ্ভবকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
ধরনভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত, খয়াল, ঠপ্পা, ঠুমরি, ভজন
পেশাসংগীতজ্ঞ, সুরকার, মানবতাবাদী
কার্যকাল1১৯৯৪–বর্তমান
ওয়েবসাইটruchirapanda.com

রুচিরা পাণ্ডা [১] (জন্ম: ২১ অক্টোবর, ১৯৭৫) একজন উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী এবং পণ্ডিত মানস চক্রবর্তীর শিষ্য। তিনি কোটালি ঘরানার বর্তমান মশালচী (টর্চ বিয়ারার)।[২][৩][৪][৫][৬][৭]

তিনি খয়াল, ঠুমরী, টপ্পা, টপ-খয়াল, নির্গুণি ভজন এবং ঝুলা, বিরহা, চৈতি, কজরি, পতঝর, জাড় কে গীত, পসর কে গীত সহ অন্যান্য আধা শাস্ত্রীয় ঘরানার গানের একজন উদ্গাতা।[৮] তিনি একজন একক কণ্ঠশিল্পী এবং সুরকার যিনি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে আয়োজিত সমস্ত প্রধান ভারতীয় ধ্রুপদী উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। [৯][১০][১১]

পাণ্ডা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর একজন প্রতিষ্ঠিত তালিকাভুক্ত শিল্পী, স্পিক ম্যাকাই, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের ফেলো এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর একজন "এ" গ্রেড শিল্পী।[১২][১৩][১৪]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

রুচিরা পাণ্ডা কলকাতার হলি চাইল্ড স্কুল ফর গার্লস-এ পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর তিনি লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজ থেকে স্নাতক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেছেন।

কাজ[সম্পাদনা]

রুচিরা পাণ্ডা পারম্পরিক - দ্য ট্র্যাডিশন নামের একটি অলাভজনক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা যেটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য [১৫] এবং শিল্প ও সংস্কৃতি [১৬][১৭] খাতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনি কবিতা এবং চিত্রকলায় আগ্রহী।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

রুচিরা পাণ্ডা ১৯৯৮-৯৯ সালে ডোভার লেন সংগীত সম্মেলন/একাডেমি আয়োজিত প্রতিভা অনুসন্ধান প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগ জিতেছিলেন। একই বছর সেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ওস্তাদ আমির খান পুরস্কার, সেরা তরুণ প্রতিভার জন্য এইচএমভি পুরস্কার এবং ঠুমরীর জন্য রোতু সেন স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সংস্কৃতি বিভাগ ১৯৯৮-৯৯ সালে তাকে হিন্দুস্তানী সংগীত-ক্ষেত্রে একটি বৃত্তি প্রদান করে। তিনি পাটনার মাতৃ উদ্বোধন আশ্রম থেকে সংগীত কলারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক ২০০৮-০৯ সালে তাকে হিন্দুস্তানী সংগীত-ক্ষেত্রে একটি জুনিয়র ফেলোশিপ প্রদান করেছিল। ২০০৯-১০ সালে সল্টলেক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে তিনি "যদুভট্ট পুরস্কার" এবং রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন (২০১ -১২) উপলক্ষে একই সমিতি থেকে "সংগীত সম্মান" পেয়েছিলেন।[১৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ruchira Panda"। SwarGanga Music Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Kotali Gharana"। ২০ আগস্ট ২০১১। ২২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. "The master with a nose for music"। The Telegraph Online Edition। ২৯ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "The Great Heritage"। Biswabrata Chakrabarti। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  5. "SaMaPa festival to blend styles"। ১৯ নভেম্বর ২০১৯। 
  6. "Tribute to Late Pt AT Kanan"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০। 
  7. "A treat for music lovers"। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭। 
  8. "TEDx Talks"। ৩ জানুয়ারি ২০২০। 
  9. "YALE MACMILLAN CENTER"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯। 
  10. "Asian Magazine TV"। ৫ অক্টোবর ২০১৫। 
  11. "Jashn-E-Deccan 2017: Interview with Smt. Ruchira Panda"। ২০ জুন ২০১৮। 
  12. "TED.com"। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯। 
  13. Madhira, Harini (২০১৭-১২-১৮)। "A treat for music lovers"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৩ 
  14. Khanna, Shailaja (২০১৯-১১-১৯)। "SaMaPa festival to blend styles"The Asian Age। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৩ 
  15. "Dr. Ghosh Charitable Trust celebrated 14th annual day by awarding scholarship for economically challenged medical students"। ২৭ আগস্ট ২০১৭। 
  16. "SUBTLE YET SUBLIME"। ১২ ডিসেম্বর ২০০৯। 
  17. "List of NGOs in Kolkata by GiveIndia.org" 
  18. "SwarGanga Music Foundation"