সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ
ডাকনামভিনসি হিট
অ্যাসোসিয়েশনসেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচকেন্ডেল মার্কারি
অধিনায়ককর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট
সর্বাধিক ম্যাচশ্যান্ডেল স্যামুয়েল
কেন্ডেল ভেলক্স (৬৩)
শীর্ষ গোলদাতাশ্যান্ডেল স্যামুয়েল (৩২)
মাঠআর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়াম
ফিফা কোডVIN
ওয়েবসাইটwww.svgff.org
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৭৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৭৩ (অক্টোবর ২০০৭)
সর্বনিম্ন১৮০ (জানুয়ারি ২০১৭, ডিসেম্বর ২০১৮ – ফেব্রুয়ারি ২০১৯)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৭৮ বৃদ্ধি ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ১০৪ (জানুয়ারি ২০০৭)
সর্বনিম্ন১৮২ (নভেম্বর ২০১৮)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ ১–১ বার্বাডোস 
(সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ; ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬)
বৃহত্তম জয়
 মন্টসেরাট ০–১১ সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ 
(মন্টসেরাট; ৭ মে ১৯৯৫)
বৃহত্তম পরাজয়
 মেক্সিকো ১১–০ সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ 
(মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো; ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২)
কনকাকাফ গোল্ড কাপ
অংশগ্রহণ১ (১৯৯৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (১৯৯৬)

সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Saint Vincent and the Grenadines national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৮৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৩] ১৯৩৬ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর তারিখে, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং বার্বাডোসের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছে।

১৮,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে ভিনসি হিট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনের রাজধানী কিংসটাউনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন কেন্ডেল মার্কারি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মাজিয়ার আক্রমণভাগের খেলোয়াড় কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট

সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে।

মেলভিন অ্যান্ড্রুস, কর্নেলিয়াস হাগিন্স, এজরা হেন্ড্রিকসন, শ্যান্ডেল স্যামুয়েল এবং কেন্ডেল ভেলক্সের মতো খেলোয়াড়গণ সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৭৩তম) অর্জন করে এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮০তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০৪তম (যা তারা ২০০৭ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৮২। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৭১ অপরিবর্তিত  বারমুডা ৯৭২.৩৬
১৭২ অপরিবর্তিত  মাল্টা ৯৬৭.২৯
১৭৩ অপরিবর্তিত  সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ ৯৫৩.৪৭
১৭৪ অপরিবর্তিত  গ্রেনাডা ৯৫০.৯৯
১৭৫ অপরিবর্তিত    নেপাল ৯৪৮.০৫
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৭৬ হ্রাস  হংকং ১০৭৯
১৭৬ হ্রাস ১২  সেন্ট কিট্‌স ও নেভিস ১০৭৯
১৭৮ বৃদ্ধি  সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ ১০৭৮
১৭৯ হ্রাস  আফগানিস্তান ১০৭৩
১৮০ বৃদ্ধি  জিব্রাল্টার ১০৫৮
১৮০ হ্রাস  বেলিজ ১০৫৮

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ৩২
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১০ ১৭ ৩৩
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১২ ২৪ ২৯
জার্মানি ২০০৬ ১১ ১৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০
ব্রাজিল ২০১৪ ১২
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১৫ ৪২
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৫৮ ১৪ ৩৭ ৭৭ ১৭০

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "CFU Nations Cup to be held every 4 years"Kingston Gleaner in newspaperarchive.com। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৬। 
    "At the Zurich meeting, Aruba, St Vincent and the Grenadines and St Lucia were accepted as members of CONCACAF which should lead to their membership in FIFA after two years."

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]