চক্ষুবীক্ষণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চক্ষুবীক্ষণ
চক্ষুবীক্ষণ পরীক্ষা: চিকিৎসক চোখের কাছে এসে চক্ষুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এক থেকে একাধিক সেন্টিমিটার দূরত্ব থেকে চোখ পর্যবেক্ষণ করেন।
মেশD009887

চক্ষুবীক্ষণ বা অক্ষিবীক্ষণ (ইংরেজিতে Ophthalmoscopy অফথ্যালমোস্কোপি, কদাচিৎ Funduscopy ফান্ডাস্কোপি) চোখের এক প্রকারের পরীক্ষা যাতে একজন পেশাদার চক্ষু চিকিৎসক চক্ষুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে চোখের অভ্যন্তরভাগের পশ্চাক্ষিপট (Optic fundus, অপটিক ফান্ডাস) পর্যবেক্ষণ করেন। চক্ষুবীক্ষণ সাধারণত সাধারণ চক্ষুপরীক্ষার (Eye examination) অংশ হিসেবে সম্পাদন করা হয়। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার (Phsyical examination) অংশ হিসেবেও এটি সম্পাদন করা হতে পারে। চক্ষুবীক্ষণ পরীক্ষাটি অক্ষিপট, অক্ষিচাকতি এবং কাচীয় অক্ষিরসের সুস্থতা নির্ণয় করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অক্ষিগোলকের সামনে অবস্থিত তারারন্ধ্র নামক ছিদ্র দিয়ে চোখের অভ্যন্তরভাগ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তারারন্ধ্রটিকে প্রসারিত করলে এর পেছনের কাঠামোগুলিকে দেখতে সুবিধা হয়। তাই চক্ষুবীক্ষণের পূর্বে রোগীর চোখে বিশেষ ঔষধের ফোঁটা দিয়ে তারারন্ধ্র প্রসারণ (Mydriasis) সম্পন্ন করা হয়। যদিও প্রসারিত পশ্চাক্ষিপট পরীক্ষাটি আদর্শ হিসেবে গণ্য করা হয়, সাধারণত অপ্রসারিত তারারন্ধ্র পরীক্ষাটি অধিকতর আরামদায়ক ও যথেষ্ট উপকারী (পূর্ণাঙ্গ না হলেও) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একারণে প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসা সেবাতে অপ্রসারিত পরীক্ষাটিই বেশি প্রচলিত।

চক্ষুবীক্ষণের একটি বিকল্প হল পশ্চাক্ষিপট আলোকচিত্রণ (fundus photography), যেখানে গৃহীত আলোকচিত্রটি পরবর্তীতে একজন পেশাদার চক্ষু চিকিৎসক বিশ্লেষণ করতে পারেন।

টেমপ্লেট:চক্ষুচিকিৎসা পদ্ধতি