আব্দুল মতিন চৌধুরী (পদার্থবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবদুল মতিন চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
১৩ এপ্রিল ১৯৭৩ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫
পূর্বসূরীমোজাফফর আহমেদ চৌধুরী
উত্তরসূরীমুহম্মদ শামসউল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯২১-০৫-০১)১ মে ১৯২১
নন্দনপুর গ্রাম, লক্ষ্মীপুর জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৪ জুন ১৯৮১(1981-06-24) (বয়স ৬০)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীরাজিয়া মতিন চৌধুরী
শিক্ষাপিএইচডি (বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞান)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পেশাবিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, প্রকৃতিবিজ্ঞানী, অধ্যাপনা

আবদুল মতিন চৌধুরী (১ মে ১৯২১ - ২৪ জুন ১৯৮১) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও পদার্থবিদ ছিলেন। [১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

মতিন চৌধুরী ১৯৩৭ সালে নোয়াখালী জেলার অরুণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯৩৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দ্বিতীয়বার পিএইচডি শেষ করেছেন ১৯৬১ সালে। [১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

চৌধুরী পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগে আবহাওয়াবিদ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এরপরে তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রশিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৫২ সালে অধ্যাপক এবং ১৯৬২-১৯৬৭ সালে বিভাগের প্রধান হন। তিনি ১৯৬৭-১৯৭০-এর সময় পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সদস্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চিফ সায়েন্টিস্ট এবং ১৯৭০-১৯৭১-এর সময় রাষ্ট্রপতির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [১] চৌধুরী এশীয় অঞ্চলের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য বাছাই কমিটির সদস্য ছিলেন। [১] ১৯৭৩ সালে চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন যেখানে তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। [১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

চৌধুরীর বিয়ে হয়েছিল রাজিয়া মতিন চৌধুরীর সাথে (১৯২৫-২০১২)। [২]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে আব্দুল মতিন চৌধুরীর কবর

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Islam, Sirajul (২০১২)। "Chowdhury, Abdul Matin"Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ  
  2. "Razia Matin no more"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৫-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১১