বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন
বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন | |||||||||||
অবস্থান | বেগুনকোদর, পুরুলিয়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৩°২৩′১৫″ উত্তর ৮৬°০১′১৮″ পূর্ব / ২৩.৩৮৭৫° উত্তর ৮৬.০২১৭° পূর্ব | ||||||||||
উচ্চতা | ৩০৮ মিটার (১,০১০ ফু) | ||||||||||
লাইন | দ্বি-বৈদ্যুতীকৃত BG | ||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ২ | ||||||||||
রেলপথ | ২ | ||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||
পার্কিং | সহজলভ্য নয় | ||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||
অবস্থা | চালু (সক্রিয়) | ||||||||||
স্টেশন কোড | BKDR | ||||||||||
অঞ্চল | দক্ষিণ পূর্ব রেল | ||||||||||
বিভাগ | রাঁচি বিভাগ | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
চালু | ১৯৬০ | ||||||||||
বন্ধ হয় | ১৯৬৭ | ||||||||||
পুনর্নির্মিত | ২০০৯ | ||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||
| |||||||||||
অবস্থান | |||||||||||
বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশন ভারতীয় রেলওয়ের দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের রাঁচি রেলওয়ে বিভাগের একটি রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ঝালদা ও বেগুনকোদর শহরের মধ্যে রেলযোগাযোগ পরিচালনা করে।[১] যাত্রীরা স্টেশনটিকে পরিত্যক্ত করেছে এবং এটি ভুতুড়ে স্টেশন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ভারতের ১০ টি ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের তালিকায় বেগুনকোদর স্টেশনের নাম নথিভুক্ত করা হয়।[২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৬০ সালে ভারতীয় রেলওয়ে ও স্থানীয় সাঁওতালদের রাণী, শ্রীমতী লাচন কুমারীর যৌথ প্রচেষ্টায় বেগুনকোদর স্টেশনটি তৈরি করা হয়।[৩]
বিতর্ক[সম্পাদনা]
বেগুনকোদরের বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী,১৯৬৭ সালে, একজন রেলকর্মী অভিযোগ করেন যে তিনি স্টেশনে একজন মহিলার আত্মাকে দেখেছেন এবং গুজব রটে যায় যে সেই মহিলা রেল দুর্ঘটনার কারণে মারা গিয়েছিলেন। পরের দিন সেই রেলকর্মী আশেপাশের মানুষজনকে একথা বলেন কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে চায়নি।
প্রকৃত সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন স্টেশন মাস্টার ও তার পরিবারের মৃতদেহগুলো তাদের কোয়ার্টারে পাওয়া যায়। এরপর অস্বাভাবিক উপকথা মানুষের মুখে মুখে ঘুরতে থাকলে স্টেশনটিতে ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ হয়ে যায় ও পরবর্তীকালে স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৯০ সালের শেষের দিকে বেগুনকোদর গ্রামবাসীরা একটি কমিটি গঠন করে ও আধিকারিকদের স্টেশনটি পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানায়। ২০০৭ সালে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা তৎকালীন রেলমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিআইএম নেতা বাসুদেব আচার্যকে চিঠি লেখে। বাসুদেব আচার্যের বাড়ি ছিল পুরুলিয়ায় এবং তিনি সেই সময়ের রেলওয়ের পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সেই ভুতুড়ে তকমাটা থেকেই রায়। বাসুদেব আচার্য বলেন যে রেলকর্মীরাই এই গল্পটি বানিয়েছে যাতে তাদের এখানে বদলি না করা হয়। ৪২ বছর পর,২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের হল্ট স্টেশন হিসেবে স্টেশনটি শেষপর্যন্ত চালু করেন। [৪]
যাইহোক,প্রতিদিন এই স্টেশনে ১০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন থামলেও এখনো যাত্রীরা সূর্যাস্তের পর স্টেশনটিতে আসে না।[৫] বহু গোস্ট হান্টাররা বারবার স্টেশনটিতে এসেছেন এবং তারা প্রত্যেকবার বলেছেন যে এই স্টেশনে ভূতের উপস্থিতি নেই। মূলত ভূত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বর্তমানে বেগুনকোদর রেলওয়ে স্টেশনে কিছু মানুষ মাঝেমাঝে নজরদারি রাখেন। [২][৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "BKDR / Begunkodor"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।
- ↑ ক খ "West Bengal's Begunkodor no longer a haunted railway station"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।
- ↑ "Begun Kodar popularly known as Ghost Station"। railnews.in। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।
- ↑ "Now, take a tour of Bengal's haunted railway station"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।
- ↑ "The ghost and the darkness"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।
- ↑ "Myth of West Bengal's 'haunted' Begunkodar railway station busted after 50 years"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৪, ২০১৯।