সৈয়দ আতাউর রহমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ আতাউর রহমান
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব
কাজের মেয়াদ
২২ জানুয়ারি ২০০৭ – ২১ জানুয়ারি ২০০৯
পূর্বসূরীআ তা মু সারওয়ার হোসেন
উত্তরসূরীশাহ আলম
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব
কাজের মেয়াদ
২১ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০
পূর্বসূরীমোমতাজুল ইসলাম
উত্তরসূরীকামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩
রিচি গ্রাম, হবিগঞ্জ
মৃত্যু২৫ এপ্রিল ২০১৫
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মুরারিচাঁদ কলেজ
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
পেশাসরকারি কর্মকর্তা

সৈয়দ আতাউর রহমান (৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩–২৫ এপ্রিল ২০১৫) নিজ এলাকায় যিনি ফরিদ মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন। একজন বাংলাদেশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা যিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।[১][২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ আতাউর রহমান ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ আহম্মদ আলী ওরফে মধু মিয়া ও মরহুমা তাহিরুন্নেছা বেগমের তৃতীয় পুত্র। ১৯৮৪ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরের গুনিয়অউক গ্রামের জমিদার সাহেব বাড়ির এ আর মঞ্জুর আলীর কন্যা বেগম ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার ছেলে সৈয়দ রাফিন রহমান ও মেয়ে সৈয়দা রিসাত তানফি।[৩]

তিনি রিচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৭০ সালে সিলেট এমসি কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে বিভাগে পাশ করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে বিএ এবং ১৯৭৫ সালে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ আতাউর রহমান কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৭৬-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম অগ্রণী ব্যাংক ও পড়ে বিএডিসিতে অফিসার পদে পালন করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ১ মার্চ ১৯৭৯ সালে চাকুরিজীবন শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

২২ জানুয়ারি ২০০৭ সালে তিনি সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ২১ জানুয়ারি ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[১] সর্বশেষ তিনি ২১ জানুয়ারি ২০০৯ সাল থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ সাল পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সৈয়দ আতাউর রহমান ২৫ এপ্রিল ২০১৫ সালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ঃ সাবেক সচিবগণের তালিকা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. "সাবেক সচিব/সিনিয়র সচিববৃন্দ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "সাবেক সচিব রিচি গ্রামের সৈয়দ আতাউর রহমান আর নেই"দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস। ২৬ এপ্রিল ২০১৫। ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "সাবেক শিক্ষা সচিব সৈয়দ আতাউর রহমান আর নেই"brahmanbaria24.com। ২৫ এপ্রিল ২০১৫। ২০২০-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২০