হিজাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রুনাইয়ের একটি এনগেজমেন্ট পার্টিতে হিজাব পরিহিত দুই মুসলিম নারী

হিজাব (/hɪˈɑːb/, /hɪˈæb/, /ˈhɪ.æb/ or /hɛˈɑːb/;[১][২][৩][৪] আরবি: حجاب, উচ্চারণ [ħiˈdʒæːb] or [ħiˈɡæːb]) একটি নেকাব যা মাথা এবং বুক আবৃত করে থাকে, এবং যা নির্দিষ্টভাবে বয়ঃসন্ধি বয়স থেকে মুসলিম নারীদের কর্তৃক পরিহিত হয় তাদের পরিবারের বাহিরের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রত্যক্ষতা এড়াতে এবং কিছু ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক অ-মুসলিম মহিলারাও এটি পরিধান করে থাকে। এছাড়াও যে কোন মুসলিম নারী কর্তৃক এটি পরিহিত হয় তাদের মাথা, মুখ বা শরীর আবৃত করতে যা শালীনতাবোধের নিশ্চিত মানদণ্ড মেনে চলে। হিজাব এছাড়াও সার্বজনীন স্থানে পুরুষদের থেকে নারীদের অসম্পৃক্ত কারার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে, বা এটি সম্ভবত অধিবিদ্যামূলক ব্যাপ্তি অন্তর্ভুক্ত করে -- আল-হিজাব নির্দেশ করে "একটি নেকাব যা ঈশ্বরের কাছ থেকে পুরুষ বা বিশ্বকে পৃথক করে থাকে।[৫]

স্বাভাবিকভাবে, শালীনতাবোধ, গোপনতা এবং নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে মুসলিম নারীদের কর্তৃক হিজাব পরিহিত হয়ে থাকে। ইসলাম এবং মুসলিম বিশ্বের বিশ্বকোষ অনুযায়ী, কোরআনে পুরুষ এবং নারী উভয়ের "চোখে পড়া, চালচলন, পোশাক এবং যৌনাঙ্গের" শালীনতাবোধে গুরত্ব দেয়।[৬] কোরআন মুসলিম নারীদের শালীনতাবোধের সাথে পোশাক পরিধান করতে এবং তাদের বক্ষ অঞ্চল ও যৌনাঙ্গ সুরক্ষিত রাখতে নির্দেশনা দেয়।[৭] অধিকাংশ ইসলামি বৈধ পদ্ধতিসমূহ এই শালীনতার ধরন সঙ্গায়িত করতে গিয়ে জনসম্মুক্ষে মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর অবৃত করে পোশাক পরিধান কারার নির্দেশ উল্লেখ রয়েছে। এই নির্দেশিকা, কোরআন প্রকাশের পর ফিকাহ এবং হাদিসের লেখায় পাওয়া যায় কিন্তু হিজাব এসেছ কোরানের আয়া থেকে।[৮][৯]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَ﴾ [الاحزاب: ٥٩]

“হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৯]

‘জিলবাব’ (الجلباب) হলো এমন বোরকা বা প্রশস্ত চাদর, যা গোটা দেহকে আচ্ছাদিত করে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তিনি তার স্ত্রী, কন্যা ও মুমিন নারীগণকে বলে দেন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়, যাতে তাদের চেহারা ও বুকের উপরিভাগ ঢেকে যায়।[৮]

আরবিতে হিজাব পদের সাহিত্যিক অর্থ “একটি অন্তঃপট বা পর্দা” এবং কোরআনে বিভাজন নির্দেশ করতে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। কোরআন বলে পুরুষ বিশ্বাসীরা (মুসলিম) মুহাম্মদের স্ত্রীদের সাথে কথা বলত একটি পর্দার আড়াল থেকে।

হিজাবের শর্তাবলি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Definition of hijab in Oxford Dictionaries (British & World English)"। Oxforddictionaries.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Hijab – Definition and More from the Free Merriam-Webster Dictionary"। Merriam-webster.com। ২০১২-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০ 
  3. "hijab noun – definition in British English Dictionary & Thesaurus – Cambridge Dictionary Online"। Dictionary.cambridge.org। ২০১৩-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০ 
  4. "Definition of hijab"। Collins English Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২০ 
  5. Glasse, Cyril, The New Encyclopedia of Islam, Altamira Press, 2001, p.179-180
  6. Encyclopedia of Islam and the Muslim World (2003), p. 721, New York: Macmillan Reference USA
  7. Martin et al. (2003), Encyclopedia of Islam & the Muslim World, Macmillan Reference, আইএসবিএন ৯৭৮-০০২৮৬৫৬০৩৮
  8. "সৌন্দর্য প্রদর্শন ও বেপর্দা প্রসঙ্গে মুমিন নারীদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা - IslamHouse.com"islamhouse.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৩ 
  9. আল-উসাইমীন, মুহাম্মাদ ইবন সালেহ। "কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পর্দা - বাংলা - মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন"IslamHouse.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]