দাই আঙ্গা মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩১°৩৪′৩০″ উত্তর ৭৪°২০′২১″ পূর্ব / ৩১.৫৭৪৯° উত্তর ৭৪.৩৩৯১° পূর্ব / 31.5749; 74.3391
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দাই আঙ্গা মসজিদ
دائی انگہ مسجد
সপ্তদশ শতকে নির্মিত দাই আঙ্গা মসজিদের কাশানি টালিকর্ম করা বহির্ভাগ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানলাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
স্থানাঙ্ক৩১°৩৪′৩০″ উত্তর ৭৪°২০′২১″ পূর্ব / ৩১.৫৭৪৯° উত্তর ৭৪.৩৩৯১° পূর্ব / 31.5749; 74.3391
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইন্দো-ইসলামি, মোঘল
সম্পূর্ণ হয়১৬৩৫ বা ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে)১৬ ফুট
গম্বুজের ব্যাস (ভেতরে)১৯ ফুট
মিনার
উপাদানসমূহইট, মর্মরপাথর (মার্বেল)

দাই আঙ্গা মসজিদ (উর্দু: دائی انگہ مسجد‎‎) হলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি লাহোর জংশন রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত। মোঘল সম্রাট শাহজাহানের ধাত্রী দাই আঙ্গার স্মরণে ১৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয় বলে কথিত আছে।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

দাই আঙ্গা (জন্ম নাম জেবুন্নেসা) মোঘল সাম্রাজ্য ও রাজপরিবারের একজন অত্যন্ত সম্মানীয় রমনী ছিলেন। তার নামে এই মসজিদটির অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কথিত আছে, দাই আঙ্গার হজ যাত্রার পূর্বে মসজিদটির নির্মাণ করা হয়। দাই আঙ্গা বা জেবুন্নেসার পরিবারের সাথে মোঘল সাম্রাজ্যের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তার স্বামী মুরাদ খান সম্রাট জাহাঙ্গীরের অধীনে বিকানেরের সুবেদার ছিলেন। তার পুত্র মুহাম্মদ রশিদ খান সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ ছিলেন এবং শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা সেকোর হয়ে যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও দাই আঙ্গার সমাধিসৌধ নামে খ্যাত "গুলাবি বাগ" লাহোর শহরেই অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি ১৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় বলে কথিত আছে। তবে প্রস্তরলিপি থেকে মসজিদটি ১৬৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। শিখ শাসনামলে, মহারাজা রণজিত সিংয়ের অধীনে মসজিদটিকে অস্ত্রশালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১] এরপর ব্রিটিশ রাজের অধীনে মসজিদটিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ভবনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।[২]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মসজিদটি ব্যাপকভাবে টালি দ্বারা সজ্জিত।

মসজিদটি স্থানীয় বাদশাহি মসজিদ প্রভৃতি অন্যান্য বৃহৎ মোঘল স্থাপত্যের মসজিদের ক্ষুদ্র সংস্করণ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদটির সামনে ৮৪ ফুট প্রশস্ত একটি প্রাঙ্গণ রয়েছে। সম্পূর্ণ মসজিদটিকে মোট তিনটি অংশে বিভক্ত করা যায়। এর কেন্দ্রীয় অংশটি বাকিগুলোর চেয়ে বৃহৎ এবং এর উপর ১৯ ফুটের একটি গম্বুজ বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় অংশের পাশের দুইটি ছোট কক্ষের উপর ১৬ ফুটের আরও দুইটি গম্বুজ রয়েছে। কেন্দ্রীয় অংশটি ব্যাপকভাবে নীল, কমলা ও হলুদ বর্ণের কাশানি রীতির টালি দ্বারা সজ্জিত। পূর্বে মসজিদের অভ্যন্তর ভাগে সুদৃশ্য দেয়ালচিত্র বা ফ্রেস্কো দ্বারা মণ্ডিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্তমানে তার অধিকাংশই অপসারণ করে আধুনিক টালি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।[১]

দাই আঙ্গা মসজিদের বহির্ভাগও সুদৃশ্য টালি দ্বারা সজ্জিত। ওয়াজির খান মসজিদের টালিকর্মের সাথে এর সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া মসজিদের বহির্ভাগের দেয়ালে সুদৃশ্য কারুকার্যও দেখা যায়।

সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

লাহোরের দাই আঙ্গা মসজিদ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সংরক্ষিত ঐতিহ্য স্থানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dai Anga Mosque"Lahore Sites of Interest। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২০ 
  2. Glover, William (জানুয়ারি ২০০৭)। Making Lahore Modern, Constructing and Imagining a Colonial City। Univ Of Minnesota Press। আইএসবিএন 978-0816650224the mosque of Dai Anga, Emperor Shah Jahan’s wet nurse, which the British converted first into a residence and later into the office of the railway traffic manager. Nearby was the tomb of Nawab Bahadur Khan, a highly placed member of Akbar’s court, which the railway used as a storehouse... manager. Nearby was the tomb of Nawab Bahadur Khan, a highly placed member of Akbar’s court, which the railway used as a storehouse. That same tomb had been acquired earlier by the railway from the army, who had used it as a theater for entertaining officers.The railway provided another nearby tomb free of charge to the Church Missionary Society, who used it for Sunday services. The tomb of Mir Mannu, an eighteenth-century Mughal viceroy of Punjab who had brutally persecuted the Sikhs while he was in power, escaped demolition by the railway but was converted nevertheless into a private wine merchant’s shop 
  3. Pakistan Environmental Protection Agency। "Guidelines for Critical & Sensitive Areas" (পিডিএফ)। Government of Pakistan। পৃষ্ঠা 12, 47, 48। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]