বলাসনা রাজ্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বলাসনা রাজ্য
વલાસણા
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য
খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী–১৯৪৮

মধ্যবর্তী চিত্রাংশটিতে গোলাপি বর্ণে‌ চিহ্নিত বলাসনা রাজ্য
আয়তন 
• ১৯০১
৫৪ বর্গকিলোমিটার (২১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
• ১৯০১
২,৭৪৯
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠিত
খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী
১০ জুন ১৯৪৮
উত্তরসূরী
ভারত

বলাসনা রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি অ-তোপ সেলামী পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি বোম্বে প্রেসিডেন্সির বরোদা, পশ্চিম ভারত ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সির মহীকাণ্ঠা এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো।[১] রাজ্যটির রাজধানী ছিলো বলাসনা গ্রামে, যা বর্তমানে গুজরাত রাজ্যের মেহসানা জেলায় অবস্থিত৷

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইদার রাজ্যর মহারাজা বিরামদাসজীর পুত্র গোপালদাসজী এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন৷ রাজ্যটি ৫৪ বর্গ কিলোমিটার বা ২১ বর্গমাইল ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিলো এবং ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিলো ৩৫৪৯ জন৷ ঐ বছর রাজ্যটির রাজস্বে পরিমান ছিলো ৫,৯৫৩ ভারতীয় মুদ্রা, যার ২৮০ ভারতীয় মুদ্রা কর হিসাবে বরোদা রাজ্যকে দেওয়া হতো৷[২] ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর বলাসনা রাজ্যের শেষ শাসক ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষর করলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জুন তারিখে রাজ্যটিকে ভারতের বম্বে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷[৩][৪] ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বোম্বে রাজ্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত প্রদেশ গঠন করলে পূর্বতন এই দেশীয় রাজ্যটি গুজরাত প্রদেশের অংশীভূত হয়।

শাসকবর্গ[সম্পাদনা]

বলাসনা দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ রাঠোর রাজবংশীয় এবং তারা ১৮১২ এর পরে ঠাকুর সাহেব উপাধিতে ভূষিত হতেন৷

রাও[সম্পাদনা]

  • .... - ১৮১২ : গোপালদাসজী বিরামদাসজী

ঠাকুর সাহেব[সম্পাদনা]

  • ১৮১২ - ১৮৫০ : নাথুসিংজী
  • ১৮৫০ - ১৮৮০ : শ্রীমানসিংজী
  • ১৮৮১ - ১৯২৬ : হামিরসিংজী
  • ১৯২৬ – ১৯৪৭  : শিবসিংজী[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Imperial Gazetteer of India, v. 17, p. 384.
  2. Princely States of India
  3. Wiki Source, White Paper on Indian States (1950)/Part 4/Instrument of Accession 
  4. "VIJAYNAGAR"। ১৯ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. "Indian Princely States K-Z"www.worldstatesmen.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৭