কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ৩৯°৩′২৯″ উত্তর ১২৫°৪৬′৬″ পূর্ব / ৩৯.০৫৮০৬° উত্তর ১২৫.৭৬৮৩৩° পূর্ব / 39.05806; 125.76833
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়
কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্ন
ধরনসরকারি
স্থাপিত১ অক্টোবর ১৯৪৬ (1946-10-01)
সভাপতিথাই হিয়ং-চোল
অবস্থান
রিয়ংনাম-ডোং, তায়সং জেলা, পিয়ংইয়াং
,
৩৯°৩′২৯″ উত্তর ১২৫°৪৬′৬″ পূর্ব / ৩৯.০৫৮০৬° উত্তর ১২৫.৭৬৮৩৩° পূর্ব / 39.05806; 125.76833
শিক্ষাঙ্গনপল্লী
ওয়েবসাইটwww.ryongnamsan.edu.kp
মানচিত্র
ভবনের বিস্তারিত
মানচিত্র
কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়
চোসেঙ্গুল김일성종합대학
হাঞ্ছা金日成綜合大學
সংশোধিত রোমানীকরণGim Il-seong Jonghap Daehak
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াKim Il-sŏng Chonghap Taehak

কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়[২] ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির দেশটির রাজধানী পিয়ং ইয়াং-এ অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১৫-হেক্টর (৩৭ একর)। প্রধান শিক্ষাতয়নিক ভবনসহ এখানে ১০টি ভিন্ন অফিস, ৫০টি গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, একটি মুদ্রণের প্রেস, একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র, ছাত্রাবাস ও একটি হাসপাতাল রয়েছে।[৩] এখানে একটি বড় আকারের কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে, কিন্তু ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার সীমিত।[৪] উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সর্বোচ্চ নেতা কিম ইল-সাংয়ের নামানুসারে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে।[২]

কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ১৬,০০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এখানে সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, কলা ও বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর পাঠ্যসূচি রয়েছে।[৫] ২০১৭ সালের বসন্তে কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত জাপানি ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ্যসূচি যোগ করা হয়।[৬] সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিভাগের পাঠ্যসূচি সমাপ্ত হতে পাঁচ বছর সময় লাগে।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সালের ২৫শে মে প্রাথমিক কমিটি গঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়ার অন্তরীণ গণকমিটি ৪০ নং অধ্যাদেশ অনুসারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সর্বোচ্চ নেতা কিম ইল-সাং ১৯৪৬ সালের ১লা অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন।

১৯৪৮ সালে কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারটি অনুষদ পৃথক করা হয়, সেগুলো হল প্রকৌশল অনুষদ, পরিবহন অনুষদ, কৃষি অনুষদ ও চিকিৎসা অনুষদ। এই অনুষদগুলোকে পিয়ংইয়াং প্রযুক্তি কলেজ (বর্তমানে কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), সারিওন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও পিয়ংইয়াং চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।

কোরীয় যুদ্ধের সময় নিরাপত্তার লক্ষ্যে কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকে পিয়ংইয়াংয়ের পেকসং রিভলুশন্যারি সাইটের ভবনে স্থানান্তর করা হয়। যুদ্ধের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি সুনচেওন-গুনের মাউন্ট জামোর অধীনস্থ বেকসং-রিতে অবস্থিত ছিল, যা শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে ছিল। ১৯৫৫ সালের শেষভাগে পিয়ংইয়াং প্রাঙ্গনের প্রধান ভবনগুলোর পুনঃসংস্কার করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পিয়ংইয়াংয়ের কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

১৯৭০-এর দশকের শেষভাগ নাগাদ প্রতি বছর ৫০০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টি কোরিয়ান পিপলস আর্মির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ছিল। ১৯৭০-এর দশক থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পাঠ্যদান শুরু হয়।

২০০৪ সাল পর্যন্ত ১৭ বছর পাক কোয়ান-ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭] ২০০৯ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন সং জা-রিব।[৮] বর্তমান সভাপতি থাই হিয়ং-চোল ২০১৪ সাল থেকে এই পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।[৯]

কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা মিরাই পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দিয়ে কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণ ও বক্তৃতা ডাউনলোড করতে পারছেন।[১০]

বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]

সামাজিক বিজ্ঞান[সম্পাদনা]

  • ইতিহাস
  • দর্শন
  • সরকার ও অর্থনীতি
  • আইন
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
  • কোরীয় ভাষা
  • বিদেশি ভাষা
  • কিম ইল-সাংয়ের বিপ্লবী ইতিহাস
  • কিম জং-ইলের বিপ্লবী ইতিহাস

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান[সম্পাদনা]

  • পদার্থবিজ্ঞান
  • গণিত
  • জীববিজ্ঞান
  • ভূগোল
  • রসায়ন
  • ভূতত্ত্ব
  • পরমাণু শক্তি
  • স্বয়ংক্রিয়তা
  • কম্পিউটার প্রযুক্তি

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. University, Kim Il Sung (২০১৬)। "Ryongnamsan"ryongnamsan.edu.kp। ৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  2. ইয়র্ক, রব (১২ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Kim Il Sung University has new website"এনকে নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  3. "김일성종합대학"terms.naver.com (কোরীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  4. উইংফিল্ড-হেইস, রুপার্ট (৪ মে ২০১৬)। "A rare look inside North Korea's Kim Il Sung University"বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  5. "Kim Il Sung University"ইয়ং পাইওনিয়ার টুর্স। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  6. "Prestigious Pyongyang university now running specialist Japanese language and literature courses"জাপান টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  7. [“北 평양시장 경질...전 김일성대 총장 박관오씨 새로 임명 [North, Replaced the Mayor of Pyongyang... New mayor is Pak Kwan O, Former President of Kim Il Sung University],” Donga Ilbo, 5 April 2007, www.donga.com]
  8. Yoon Geun Young, “정운찬 전 서울대 총장, 김일성대 총장 만나고파 [Former President of Seoul National University, Jeong Un-chan Wants to Meet the President of Kim Il Sung University],” Newsis, 8 March 2009, http://news.naver.com
  9. "State leadership bodies elected"দ্য পিয়ংইয়াং টাইমস। ১২ এপ্রিল ২০১৪। ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২০ 
  10. জি, ডাগিউম (নভেম্বর ১৪, ২০১৮)। হোথাম, অলিভার, সম্পাদক। "Smartphone-capable WiFi on show at Pyongyang IT exhibition, state TV reveals"এনকে নিউজ। নভেম্বর ১৪, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]