ব্রেন্টন পার্চমেন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রেন্টন পার্চমেন্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামব্রেন্টন অ্যান্থনি পার্চমেন্ট
জন্ম (1982-06-24) ২৪ জুন ১৯৮২ (বয়স ৪১)
সেন্ট এলিজাবেথ, জ্যামাইকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৭)
১০ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২২ মে ২০০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৩৬)
৪ ডিসেম্বর ২০০৭ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫২ ৩৯
রানের সংখ্যা ৫৫ ১২২ ২,৩৪৯ ১,০৪২
ব্যাটিং গড় ১৩.৭৫ ১৭.৪২ ২৬.১০ ২৮.৯৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৩/১০ ০/৮
সর্বোচ্চ রান ২০ ৪৮ ১৬৮* ৭৫
বল করেছে ১৪৫ ৫৪
উইকেট
বোলিং গড় ২৫.৩৩ ৩৬.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ২/১ ১/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ০/– ৫০/– ১০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ অক্টোবর ২০২০

ব্রেন্টন অ্যান্থনি পার্চমেন্ট (ইংরেজি: Brenton Parchment; জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৮২) সেন্ট এলিজাবেথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জ্যামাইকীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ব্রেন্টন পার্চমেন্ট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০১ সালে তার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ইংল্যান্ড গমন করে। এ সফরে দলটি স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলকে পরাভূত করেছিল। তিন খেলার প্রত্যেকটিতেই অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, প্রারম্ভিক এ সফলতাকে ধরে রাখতে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট একাডেমি কর্তৃক বর্ষসেরা নিয়মানুবর্তী ছাত্র হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করে।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্রেন্টন পার্চমেন্টের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্রেন্টন পার্চমেন্টের ধীরলয়ে উত্তরণ ঘটে।

২০০৫-০৬ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত কোন প্রথম-শ্রেণীর শতরানের ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০০৬-০৭ মৌসুমে তার স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত হয়। ১১১ ও ১৬৮ রান তুলে ৬০.৩৩ গড়ে ঐ মৌসুম শেষ করেন। জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটসহ লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, পেশাদারী পর্যায়ে ইংরেজ ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন তিনি। ২০০৩-০৪ মৌসুমে মিডলসবোরা ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। দলের পক্ষে প্রথম মৌসুমেই শিরোপা জয় করে। ২০০৫ সালে ফার্নওয়ার্থ ক্রিকেট ক্লাবের পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন। এ পর্যায়ে দলটি বোল্টন লীগে লীগ ও কাপ - উভয় স্তরের শিরোপা জয়লাভ করে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ক্লাব কর্তৃপক্ষ খেলার কক্ষের নামকরণ তার সম্মানার্থে রাখে। ২০১০ সালে বোল্টন অ্যাসোসিয়েশনে ব্ল্যাকরড ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। অভিষেক খেলায় অপরাজিত ১৮৪ রান তুলে ক্লাবের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।

এরপর তিনি, ২০১৩ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে হ্যাসলিংডেন ক্রিকেট ক্লাবে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। এরপর, এলসিইউ প্রথম বিভাগে নর্থ কাউন্টি সিসি’র পক্ষে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট, সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও একটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ব্রেন্টন পার্চমেন্ট। ১০ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ মে, ২০০৮ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ জিম্বাবুয়ে সফরে একদিনের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর, ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of West Indies Test Cricketers
  2. "West Indies – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০২০ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]