চুস্ট্ সংস্কৃতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চুস্ট্ সংস্কৃতি

চুস্ট্ সংস্কৃতি হল ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকের এবং লৌহ যুগের শুরুর দিকের এক সংস্কৃতি যা পূর্ব উজবেকিস্তানের ফারগানা উপত্যকায়  বিকশিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৯০০ এর মধ্যে।

চুস্ট্ সংস্কৃতির জনবসতিগুলি বিভিন্ন আকারের ছিল, যেমন ছোট্ট বসতির জায়গাও ছিল তেমনই আবার ১০ হেক্টর আয়তনের বড়  জনবসতিও ছিল। কিছু বসতি অঞ্চল পাহাড়ের উপর অবস্থিত ছিল, আবার কিছু অঞ্চলে প্রতিরক্ষা কাঠামোর উপস্থিতিও পাওয়া গেছে। গার্হস্থ্য কাঠামোর বিষয়ে বিশেষ জানা নেই, তবে কিছু ক্ষেত্রে মাটির তৈরী ইটের ব্যবহার ছিল।

চুস্ট্  অঞ্চলগুলিতে বড় বড় গর্ত প্রায়শই দেখা যায়। এগুলি সম্ভবত শস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছিল। কৃষি সরঞ্জাম যেমন কাস্তে ও কোদাল ছাড়াও যব, গম এবং বিশেষত মিলেট পাওয়া গেছে।

চুস্ট্ সংস্কৃতির গৃহপালিত পশুদের মধ্যে ছিল ছিল উট, গাধা, ঘোড়া, গরু, ভেড়া, ছাগল এবং সম্ভবত শূকর। এই অঞ্চলগুলির বন্য প্রাণীদের মধ্যে ছিল অনেজার, গ্যাজেল এবং সাইগা হরিণ।

চুস্ট্ মৃৎশিল্প হস্তনির্মিত ছিল। তারা ব্রোঞ্জের বস্তু এবং পরে লোহার বস্তুও তৈরি করত। ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি জিনিসগুলির মধ্যে ছিল বর্শা এবং ছুরি।

চুস্ট্ সংস্কৃতিতে সাধারণত বসতির প্রান্তে গর্ত করে সমাধি দেওয়া হত। এই ধরনের গর্তগুলিতে মানুষ এবং প্রাণী উভয়কেই সমাধিস্থ করা হত।

চুস্ট্ সংস্কৃতির পাথরের তৈরী ছুরি, কাস্তে এবং এর আঁকা মৃৎশিল্পগুলির সাথে আরও পূর্বদিকে অবস্থিত সমসাময়িক সংস্কৃতি শিনচিয়াং-এর মিল পাওয়া যায়।

চুস্ট্ সংস্কৃতির মানুষের অবশেষগুলি ইউরোপয়েড ধরনের। এখানকার মানুষেরা সাধারণত ইরানি হিসাবে বিবেচিত হয়। এটা প্রস্তাব করা হয় যে তারা ইরানীদের পূর্ব দিকে যাত্রার অংশ ছিল, অথবা এটাও হতে পারে যে তারা ছিল একদল ইরানি যারা শিনচিয়াং থেকে পশ্চিমদিকে ফিরে আসছিল। এটি প্রাচীনতম স্থায়ী আবাসিক ইরানি সংস্কৃতিগুলির মধ্যে অন্যতম৷

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

সূত্র[সম্পাদনা]