পেনাং দ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ৫°২৪′৫২.২″ উত্তর ১০০°১৯′৪৫.১″ পূর্ব / ৫.৪১৪৫০০° উত্তর ১০০.৩২৯১৯৪° পূর্ব / 5.414500; 100.329194
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেনাং দ্বীপ
স্থানীয় নাম:
Pulau Pinang
পেনাং রাজ্যের ভিতর পেনাং দ্বীপ [লাল] (বামে) এবংপশ্চিম মালয়েশিয়া (ডানে)
ভূগোল
অবস্থানদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
স্থানাঙ্ক৫°২৪′৫২.২″ উত্তর ১০০°১৯′৪৫.১″ পূর্ব / ৫.৪১৪৫০০° উত্তর ১০০.৩২৯১৯৪° পূর্ব / 5.414500; 100.329194
দ্বীপপুঞ্জমালয় দ্বীপপুঞ্জ
সংলগ্ন জলাশয়মালাক্কা প্রণালী (পশ্চিম), পেনাং প্রণালী (পূর্ব)
আয়তন২৯৩ বর্গকিলোমিটার (১১৩ বর্গমাইল)
সর্বোচ্চ বিন্দুপেনাং পাহাড়
প্রশাসন
রাজ্য পেনাং
স্থানীয় সরকার পেনাং দ্বীপ নগর পরিষদ
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৭,২২,৩৮৪ (২০১০)[১]
জনঘনত্ব২,৪৬৫.৪৭ /বর্গ কিমি (৬,৩৮৫.৫৪ /বর্গ মাইল)

পেনাং দ্বীপ মালয়েশিয়ার রাজ্য পেনাং এর প্রধান দ্বীপ। এটি মালয়েশিয়া উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে মালাক্কা প্রণালীতে অবস্থিত, এটি পেনাং প্রণালী দ্বারা মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক হয়েছে। পেনাংয়ের প্রায় অর্ধেক লোক এই দ্বীপে বাস করে; জর্জ টাউন শহর পুরো দ্বীপ জুড়ে এবং আরো পাঁচটি প্রত্যন্ত দ্বীপ নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যায় জর্জ টাউন মালয়েশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এটি পূর্বে প্রিন্স অব ওয়েলস দ্বীপ হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফ্রান্সিস লাইট জর্জ টাউন শহর প্রতিষ্ঠা করেন। এই শহরটি একসময় মালাক্কা এবং সিঙ্গাপুর নিয়ে ব্রিটিশ রাজের উপনিবেশগুলির একটি শিথিল জোট প্রণালী উপনিবেশের রাজধানী ছিল। ব্রিটিশ শাসনের তুঙ্গীবস্থা কালে এই দ্বীপটি মশলা উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং একটি ব্যস্ত বন্দরে পরিণত হয়।[২][৩][৪] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধের শেষে ব্রিটিশদের কাছে উপনিবেশ সমর্পণ করার আগ পর্যন্ত কিছু সময়ের জন্য জাপানিরা পেনাং দখল করে নেয়। এরপর পেনাং মালয় ফেডারেশনে (বর্তমানে মালয়েশিয়া) যুক্ত হয়, এটি ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। ঐ বছরই জর্জ টাউনকে শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়; ২০১৫ সালের মধ্যে পুরো দ্বীপটিতে এই শহর প্রসারিত হয়ে এর এক্তিয়ারভুক্ত হয়।[৫]

এই দ্বীপটি প্রাচ্যের সিলিকন ভ্যালি এবং একটি ব্যস্ত পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে সুপরিচিত। জর্জ টাউনের ঐতিহাসিক কেন্দ্রস্থল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যদিও এর সমুদ্র সৈকত এবং পেনাংয়ের সর্বোচ্চ বিন্দু পেনাং পাহাড়ও পর্যটকদের নিকট জনপ্রিয়।[৬]

একটি পরিকল্পিত সমুদ্রমূখী উদ্যান গুর্নি জেটি নির্মানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে পেনাংয়ের জর্জ টাউনের গুর্নি ড্রাইভ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। "পেনাংয়ের নতুন আইকনিক সমুদ্র-সৈকত গন্তব্যস্থল" হিসাবে গুর্নি জেটির প্রথম ধাপ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।[৭][৮] ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে গুর্নি জেটির প্রত্যাশিত সমাপ্তির পর[৯] ২৪.২৮ হেক্টর জায়গা বিশিষ্ট সমুদ্রমূখী উদ্যানে চারটি আলাদা বিনোদনমূলক অঞ্চল থাকবে - এগুলো হলোো সমুদ্র সৈকত, উপকূলীয় উপবন, পানি উদ্যান এবং সমুদ্র উপকূলীয় খুচরা খাদ্য ও পানীয় (এফএন্ডবি) অঞ্চল।[১০]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

পঞ্চদশ শতাব্দীর চেং হো এর নৌচালনা মানচিত্রের উপর ভিত্তি করে উবেই ঝি এর অঙ্কিত মাও কুন মানচিত্র, মানচিত্রে পেনাং দ্বীপটি দেখিয়েছেন (梹榔嶼)

পেনাং দ্বীপের নামানুসারে পেনাং রাজ্যের নামকরণ করা হয়েছে, এরিকা নাট পামের (এরিকা কাটেক্যু, পরিবার: পালমায়ে) নাম অনুসারে এর নামকরণ হয়েছে, এছাড়াও মালয় ভাষায় এটি পিনাং নামে পরিচিত।[১১] বর্তমানে দ্বীপটি প্রাচ্যের মুক্তা বা মালয় ভাষায় পুলাউ মুতিয়ারা (মুক্তার দ্বীপ) নামেও পরিচিত।

প্রথম দিকে মালয়েশিয়ায় দ্বীপটিকে পুলাউ কা-সাতু (প্রথম দ্বীপ) নামে ডাকা হতো কারণ এটি লিঙ্গা এবং কেদাহের মধ্যে বাণিজ্য সমুদ্রপথে সবচেয়ে বড় দ্বীপ ছিল।[১২] সায়াম্‌, তারপর কেদাহ সালতানাতের অধিপতি দ্বীপটিকে কোহ মাক (থাই: เกาะหมาก) নামে অভিহিত করেছিলেন, এর অর্থ সুপারি দ্বীপ। পঞ্চদশ শতাব্দীতে মিং চীনের অ্যাডমিরাল চেং হো ব্যবহৃত নৌচালনা মানচিত্রে দ্বীপটিকে বিনল্যাং ইয়ু (সরলীকৃত চীনা: 梹榔屿; প্রথাগত চীনা: 梹榔嶼) নামে অভিহিত করা হয়েছে।[১৩] ষোড়শ শতাব্দীর পর্তুগিজ মানচিত্রকার ইমানুয়েল গদিনহো দে ইরাদিয়া এই দ্বীপটিকে পুলো পিনোম নামে উল্লেখ করেছেন।[১৪]

ভূগোল[সম্পাদনা]

এসটার গ্লোবাল ডিইএম উপাত্ত ভিত্তিক পেনাং দ্বীপ ভূখণ্ডের এসটিএল 3D মডেল data
পেনাং দ্বীপ এবং আশেপাশের দ্বীপগুলির একটি উচ্চতা মানচিত্রটি এসটার জিডিইএম উপাত্ত থেকে অঙ্কন করা হয়েছে এবং মিটারে উচ্চতার উপাত্ত সহজে নিষ্কাশন করতে অনুমতি দেওয়ায় রঙিন দেখা যাচ্ছে
জর্জ টাউন এর আকাশ থেকে দেখা দৃশ্য।

পেনাং দ্বীপের আয়তন ২৯৩ বর্গ কিমি (১১৩ বর্গ মাইল)। এটি আকারে সিঙ্গাপুরের এক-তৃতীয়াংশের চেয়ে সামন্য কম। পেনাং দ্বীপ মালয়েশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ।[১৫] প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২,৪৬৫.৫ জন (৬,৩৮৬ জন প্রতি বর্গ মাইলে) লোক বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী এটি দেশের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ।[১৬]

ভৌগলিকভাবে পেনাং দ্বীপ পেনাং প্রণালীর দ্বারা মালয় উপদ্বীপ থেকে পৃথক হয়েছে। পেনাং দ্বীপের ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অতিবৃষ্টি অরণ্যে পূর্ণ গ্রানাইট পাথরের পাহাড় দ্বারা গঠিত। পেনাং পাহাড় সহ পেনাং দ্বীপের মূল পাহাড় পুরো দ্বীপ এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি অঞ্চলটির বিশাল সবুজ ফুসফুস হিসাবে কাজ করে।[১৭]

সাধারণভাবে বলতে গেলে দ্বীপটিকে পাঁচটি অঞ্চলে আলাদা করা যায়:

  • উত্তর-পূর্বাঞ্চল সমভূমি জর্জ টাউন কেন্দ্রিক একটি ত্রিভুজাকার শৈলান্তরীপ গঠন করেছে। এই ঘনবসতিপূর্ণ শহরটি পেনাংয়ের প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
  • দক্ষিণ-পূর্বে বায়ান লেপাস অবস্থিত, এটি এক সময় ধান ক্ষেত এবং ম্যানগ্রোভের সমন্বয়ে গঠিত একটি কৃষি অঞ্চল ছিল। ১৯৭০-এর দশকের ব্যাপক শিল্পায়নের কারণে এই অঞ্চলটি নতুন শহর ও শিল্পাঞ্চল হিসাবে উন্নীত হয়েছে।
  • বাতু ফেরিঙ্গি, তানজুং বুঙ্গাহ এবং তানজুং তোকং সহ উত্তরে রিসর্ট হোটেল এবং আবাসিক এলাকার সাথে সারিবদ্ধ সরু বালুকাময় সৈকত রয়েছে যা জর্জ টাউনের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত গঠন করেছে।
  • দক্ষিণ-পশ্চিমে (বালিক পুলাউ) মাছ ধরার গ্রাম, ফলের বাগান এবং ম্যানগ্রোভ সহ একমাত্র বৃহৎ প্রাকৃতিক পল্লিঅঞ্চল রয়েছে।
  • সমুদ্র সমুদ্রতল থেকে ৮৩৩ মিটার (২,৭৩৩ ফুট) উচ্চতা বিশিষ্ট পেনাং পাহাড় সহ প্রধান পার্বত্য শ্রেণীটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি অঞ্চল।
বাতু ফেরিঙ্গি, পেনাং দ্বীপের সর্বাধিক বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত।

ঊনবিংশ শতক থেকে বিশেষত জর্জ টাউনে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে ফলে মূল উপকূলরেখাটি আরও সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হয়েছে।[১৮] এখনো দ্বীপের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে যেমন প্রস্তাবিত শহরতলী সেরি তানজুং পিনাং নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে।

চরম বিন্দু[সম্পাদনা]

জলবায়ু[সম্পাদনা]

মালয়েশিয়ার অন্যান্য অংশের মতো পেনাং দ্বীপে কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস (এএফ) অনুসারে ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু বিদ্যমান, যদিও এটি ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু সীমানায় অবস্থিত। পেনাং দ্বীপ বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হালকা শুষ্ক থাকে। শহরে বছরে গড়ে প্রায় ২,৪৭৭ মিলিমিটার (৯৭.৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়, ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন ৬০ মিলিমিটার (২.৪ ইঞ্চি) এবং অগস্ট থেকে অক্টোবরে সর্বোচ্চ ২১০ মিলিমিটার (৮.৩ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়।[১৯]

পেনাং দ্বীপ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের নিকটবর্তি হওয়ায় অস্থায়ী বনের দাবানল থেকে উদ্ভূত বায়ু বাহিত ধূলিকণা সংবেদনশীল করে তোলে, এটি প্রতি বছরই ঘটে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ধোঁয়াশা হিসাবে পরিচিত।[২০][২১] ধোঁয়াশা মৌসুম সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পেনাং দ্বীপে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বায়ান লেপাস আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়, এটি উত্তর মালয়েশিয়া উপদ্বীপের প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে।[২২]

পেনাং-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৩১.৬
(৮৮.৯)
৩২.২
(৯০.০)
৩২.২
(৯০.০)
৩১.৯
(৮৯.৪)
৩১.৬
(৮৮.৯)
৩১.৪
(৮৮.৫)
৩১.০
(৮৭.৮)
৩০.৯
(৮৭.৬)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.৭
(৮৭.৩)
৩১.১
(৮৮.০)
৩১.৩
(৮৮.২)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ২৬.৯
(৮০.৪)
২৭.৪
(৮১.৩)
২৭.৬
(৮১.৭)
২৭.৭
(৮১.৯)
২৭.৬
(৮১.৭)
২৭.৩
(৮১.১)
২৬.৯
(৮০.৪)
২৬.৮
(৮০.২)
২৬.৫
(৭৯.৭)
২৬.৪
(৭৯.৫)
২৬.৫
(৭৯.৭)
২৬.৭
(৮০.১)
২৭.০
(৮০.৬)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ২৩.২
(৭৩.৮)
২৩.৫
(৭৪.৩)
২৩.৭
(৭৪.৭)
২৪.১
(৭৫.৪)
২৪.২
(৭৫.৬)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২৩.৪
(৭৪.১)
২৩.৪
(৭৪.১)
২৩.২
(৭৩.৮)
২৩.৩
(৭৩.৯)
২৩.৩
(৭৩.৯)
২৩.৪
(৭৪.১)
২৩.৫
(৭৪.৪)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৬৮.৭
(২.৭০)
৭১.৭
(২.৮২)
১৪৬.৪
(৫.৭৬)
২২০.৫
(৮.৬৮)
২০৩.৪
(৮.০১)
১৭৮.০
(৭.০১)
১৯২.১
(৭.৫৬)
২৪২.৪
(৯.৫৪)
৩৫৬.১
(১৪.০২)
৩৮৩.০
(১৫.০৮)
২৩১.৮
(৯.১৩)
১১৩.৫
(৪.৪৭)
২,৪০৭.৬
(৯৪.৭৯)
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় (≥ ১.০ mm) ১৪ ১৪ ১১ ১২ ১৪ ১৮ ১৯ ১৫ ১৪৬
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ২৪৮.৮ ২৩৩.২ ২৩৫.৩ ২২৪.৫ ২০৩.৬ ২০২.৪ ২০৫.৫ ১৮৮.৮ ১৬১.০ ১৭০.২ ১৮২.১ ২০৯.০ ২,৪৬৪.৪
উৎস: নোয়া[২৩]

জনমিতি[সম্পাদনা]

জর্জ টাউন এর জাতিগত বিন্যাস (২০১০)[২৪]
জাতি / জাতীয়তা শতাংশ
চীনা
  
৫৩.০৭%
মালয়
  
৩১.২০%
অন্যান্য ভূমিপুত্র
  
০.৪৭%
ভারতীয়
  
৮.৯৮%
অন্যান্য
  
০.৩৯%
অ-মালয়েশীয়
  
৫.৮৯%

মালয়েশিয়ার যুক্তরাষ্ট্রিয় সরকারের ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে পেনাং দ্বীপের জনসংখ্যা ৭,২২,৩৮৪ জন যা পেনাংয়ের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬%।[২৪] এই দ্বীপে প্রধানত চীনারা বাস করে, যাদের মধ্যে পেরানাকীয়রাও রয়েছে; দ্বীপের জনসংখ্যার ৫৩% বেশি চীনা বংশোদ্ভূত। জাতিগত মালয় এবং পূর্ব মালয়েশিয়ার আদিবাসী উপজাতি যেমন দায়াক এবং কাদাজান সহ ভূমিপুত্ররা সমষ্টিগতভাবে দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৩২%। পেনাং দ্বীপের জনসংখ্যার ৯% জাতিগত ভারতীয়। এগুলি ছাড়াও ছোট তবে বর্ধণশীল ইউরেশীয় এবং সায়াম সংখ্যালঘুরা বাস করে।[২৫] বিশেষ করে প্রায় ১,৫০০ ইউরেশীয়দের বেশিরভাগই পুলাউ টিকুস শহরতলিতে বাস করে।[২৬][২৭]

জর্জ টাউনে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য বিদেশী বাস করে, তাদের মধ্যে অনেকে অবসর জীবন কাটানোর জন্য মালয়েশিয়া আমার দ্বিতীয় বাড়ি কার্যসূচীর অংশ হিসাবে পেনাংকে বেছে নিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সিএনএন এবং ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে জর্জ টাউন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবসরকালীন জীবনের অন্যতম সেরা শহর হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।[২৮][২৯] ২০১০ সালের দিকে পেনাং দ্বীপের জনসংখ্যার প্রায় ৬% প্রবাসী ছিল এবং তারা জর্জ টাউনের উত্তরের তানজুং বুঙ্গাহ এবং বাতু ফেরিঙ্গির মতো শহরতলিতে বাস করতো।[৩০]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. "Population Distribution and Demography" 
  2. Souza, George Bryan (২০১৪)। Hinterlands and Commodities: Place, Space, Time and the Political Economic Development of Asia over the Long Eighteenth Century। BRILL। আইএসবিএন 9789004283909 
  3. "When Penang became a Spice Island"Penang Monthly (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ জানুয়ারি ২০১৬। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. Wong, Yee Tuan (২০১৫)। Penang Chinese Commerce in the 19th Century: The Rise and Fall of the Big Five। Singapore: ISEAS-Yusof Ishak Institute। আইএসবিএন 9789814515023 
  5. "George Town meliputi 'pulau', jelas Datuk Bandar" (পিডিএফ)Buletin Mutiara। ১ মে ২০১৫। 
  6. Lianne Chia (২৬ জানুয়ারি ২০১৭)। "A Silicon Valley of the East: Penang's thriving start-up community"Channel NewsAsia (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭ 
  7. "Gurney Wharf, Penang's new waterfront park-in-the-city"। ২০১৬-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১০ 
  8. "Makeover for Gurney Drive - Nation - The Star Online" 
  9. "Gurney Wharf expected to be completed by Aug, 2021"। ২০২০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৪ 
  10. "GURNEY WHARF - A Penang State Project"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৪ 
  11. Simon Gardner, Pindar Sidisunthorn and Lai Ee May 2011. Heritage Trees of Penang, p. 206. Penang: Areca Books. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৬৭-৫৭১৯০-৬-৬
  12. "Welcome to Penang State Museum"। Penangmuseum.gov.my। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১২ 
  13. Penang Special Attractions | Penang Travel Tip | Best Tourist Location in Asia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে. Penangspecial.com. Retrieved on 11 August 2011.
  14. "Betel Nut Island"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  15. "UN System-Wide Earthwatch Web Site"। ১৭ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  16. Nathaniel Fernandez (২৬ জুলাই ২০১৪)। "Making Penang more liveable"। The Star। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  17. Nasution, Khoo: The sustainable Penang initiative. Penang: IIED, 2001|
  18. Cheah, Jin Seng (২০১৩)। Penang: 500 Early Postcards। Editions Didier Millet। আইএসবিএন 9789671061718 
  19. Tijs Neutens; Philippe de Maeyer (১৬ অক্টোবর ২০০৯)। Developments in 3D Geo-Information Sciences। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা 206–। আইএসবিএন 978-3-642-04791-6 
  20. "Why is South-East Asia's annual haze so hard to deal with?"The Economist। ৭ জুলাই ২০১৩। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  21. "Sumatra haze blankets northern Malaysia"Planet Ark। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০২। ২০ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৮ 
  22. "Malaysian Meteorological Department – Pejabat Meteorologi Bayan Lepas"। Met.gov.my। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭। ১০ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১১ 
  23. "Penang/Bayan Lepas Climate Normals 1961–1990"National Oceanic and Atmospheric Administration। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  24. "Population Distribution and Demography" (পিডিএফ)Malaysian Department of Statistics। ১৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. "Penang Heritage Trust"www.pht.org.my (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০২ 
  26. http://www.penangstory.net.my/mino-content-paperanthony.html
  27. http://www.thestar.com.my/news/community/2014/01/04/where-the-eurasians-set-words-to-music-so-little-is-known-about-busy-kelawai-road-in-the-old-days/
  28. https://money.cnn.com/gallery/retirement/2016/01/06/best-places-to-retire-abroad/6.html
  29. Avenue, Next। "No. 3: George Town, Malaysia - pg.4"Forbes। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  30. "Key summary statistics for Local Authority areas, Malaysia, 2010" (পিডিএফ)। Department of Statistics, Malaysia। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩ 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:পেনাংটেমপ্লেট:পেনাং এর ভূগোল