গ্রিন হিল্‌স অব আফ্রিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআর্নেস্ট হেমিংওয়ে
মূল শিরোনামGreen Hills of Africa
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ধরনভ্রমণকাহিনি
প্রকাশিত২৫ অক্টোবর ১৯৩৫
প্রকাশকচার্লস স্ক্রিবনার্স সন্স
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট)
আইএসবিএন০৬৮৪৮০১২৯৯
এলসি শ্রেণীno2019165815

গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা (ইংরেজি: Green Hills of Africa) হল মার্কিন কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত অকল্পিত সাহিত্য গ্রন্থ। এটি ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়। হেমিংওয়ের দ্বিতীয় অকল্পিত সাহিত্য গ্রন্থটি তার ও তার স্ত্রী পলিন ফাইফারের ১৯৩৩ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব আফ্রিকায় একমাস ব্যাপী সাফারি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত। বইটি চারটি অংশে বিভক্ত: "পারসুইট অ্যান্ড কনভারসেশন", "পারসুইট রিমেম্বরড", "পারসুইট অ্যান্ড ফেইলার", ও "পারসুইট অ্যাজ হ্যাপিনেস"।

প্রকাশনার ইতিহাস[সম্পাদনা]

গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা শুরুতে স্ক্রিবনার্স ম্যাগাজিনে ধারাবাহিক আকারে ছাপা হয় এবং ১৯৩৫ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।[১] বইটি ১৯৩৫ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৩৫ সালের ২৫ অক্টোবরে প্রকাশিত বইটির প্রথম সংস্করণের ১০,৫০০ কপি বিক্রি হয়।[২]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আফ্রিকি কৃষ্ণসার মৃগের সাথে ছবি তুলেছেন, পূর্ব আফ্রিকা, ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪, জেএফকে লাইব্রেরি

গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা শুরুর দিকে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লাভ করে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সমালোচক জন চেম্বারলেন দাবি করেছেন: "গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা হেমিংওয়ের অন্যতম প্রধান কাজ নয়। জনাব হেমিংওয়ে তার পদ্ধতিটি এতটাই সহজ করেছেন যে তার সমস্ত চরিত্রই দ্য সান অলসো রাইজেস-এর মত দুর্বোধ্য ভাষাগুলোতে সঠিকভাবে কথা বলেছে, সেগুলো ব্রিটিশ, অস্ট্রীয়, আরবি, ইথিওপীয় বা কিকুয়ু যাই হোক না কেন।"[৩] তবে, দু'দিন পরে একই সংবাদপত্রের সমালোচক সি. জি. পুর গ্রিন হিলস অব আফ্রিকার প্রশংসা করে লিখেন "আমার পড়া যে কোনও জায়গায় বড় শিকারের উপর রচিত সেরা গল্প। এবং এর চেয়েও বড় কথা এটি অগ্রহণযোগ্য দ্বন্দ্বের লোকদের সম্পর্কে এবং ভ্রমণের আনন্দ এবং মদ্যপান, যুদ্ধ, শান্তি ও লেখার আনন্দ সম্পর্কে একটি বই।"[৪] ভাল পর্যালোচনা সত্ত্বেও হেমিংওয়ে বলেছিলেন সমালোচকেরা বইটির "নিঃশেষ" করে দিয়েছে।[৫] তিনি গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন "আমার মন্দ মাথা উড়িয়ে দিতে প্রস্তুত"।[৬] কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি তার জীবনে ধনী নারী — তার স্ত্রী পলিন এবং তার উপপত্নী জেন মেসনের কুপ্রভাবকে দায়ী করেছিলেন। তার তিক্ততার ফলস্বরূপ আফ্রিকা সম্পর্কে দুটি গল্প ছিল: "দ্য শর্ট হ্যাপি লাইফ অব ফ্রান্সিস ম্যাকম্বার" এবং "দ্য স্নোস অব কিলিমাঞ্জারো", এতে স্বামীরা আধিপত্যসুলভ মহিলাদের বিয়ে করেছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মেয়ার্স ১৯৮৫, পৃ. ২৬৬।
  2. অলিভার ১৯৯৯, পৃ. ১৩১।
  3. চেম্বারলেন, জন (২৫ অক্টোবর ১৯৩৫)। "Books of The Times"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০২১ 
  4. পুর, সি. জি. (২৭ অক্টোবর ১৯৩৫)। "Ernest Hemingway's Story of His African Safari"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০২১ 
  5. ডোনাল্ডসন, স্কট। The Cambridge Companion to Hemingway (ইংরেজি ভাষায়)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৮৪। আইএসবিএন 978-0-521-45574-9। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০২১ 
  6. মেয়ার্স ১৯৮৫, পৃ. ২৫২।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]