লিন্ডা ম্যাকডোয়েল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিন্ডা ম্যাকডোয়েল
জন্ম১৯৪৯ (বয়স ৭৪–৭৫)
জাতীয়তাব্রিটিশ
পুরস্কার
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি
মাতৃ-শিক্ষায়তননিউনহ্যাম কলেজ কেমব্রিজ
দ্য বার্টলেট, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন
ডক্টরাল উপদেষ্টাপিটার কাওয়ান
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম
প্রতিষ্ঠান
প্রধান আগ্রহভূগোল
উল্লেখযোগ্য ধারণাকার্যের অর্থনৈতিক ভূগোল

লিন্ডা মার্গারেট ম্যাকডোয়েল সিবিই (জন্ম ১৯৪৯[১] ) হলেন একজন ব্রিটিশ ভূগোলবিদ ও পণ্ডিত। এর পাশাপাশি তিনি কর্ম ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত নৃকুলবিদ্যায়ও (এথনোগ্রাফি) একজন বিশেষজ্ঞ। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।[২]

শৈশব ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ম্যাকডোয়েল তার পিএইচডি করার জন্য বার্টলেট স্কুল অব প্ল্যানিং-তে খণ্ডকালীন শিক্ষার্থী হিসাবে পড়াশোনা করেন, এর আগে এখান থেকেই তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। [১] পিটার কাওয়ানের তত্ত্বাবধানে তিনি লন্ডনের আবাসন পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।

শিক্ষায়তনিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পিএইচডি শেষ করার আগে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন । তারপরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছিলেন, এখান থেকেই তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন।[১] তিনি ১৯৯৯ সালে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অধ্যাপক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন, পরবর্তীকালে তিনি প্রথমে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে এবং পরে ২০০৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।

তিনি একজন অর্থনৈতিক ভূগোলবিদ হলেও নিজেকে কাজ এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত নৃকুলবিদ হিসাবেই বর্ণনা করে থাকেন। [৩] তিনি সোসাইটি অ্যান্ড স্পেস জার্নালে নারীবাদ বিষয়ে প্রথম প্রবন্ধটি লিখেছিলেন।[১] তার কাজ এবং লিঙ্গ সম্পর্কিত তিনটি বই নারীবাদী ভূগোল এবং লৈঙ্গিক ভূগোলের ক্ষেত্রে একটি বড় সংযোজন।

বই তিনটি হলো:- • নাগরিক সংস্কৃতি: লন্ডন লন্ডনের নগরীতে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গায়েত, এতে লন্ডন নগরীর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লিঙ্গায়েতের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।[৪]

লিঙ্গ, স্থান এবং পরিচয়, যাতে লিঙ্গ এবং ভূগোলের বিশদ পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।

অপ্রয়োজনীয় পুরুষতন্ত্র, এতে অর্থনৈতিক মন্দার প্রসঙ্গে পুরুষতন্ত্রের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে, তিনি ১৯৪৫ সাল থেকে শ্রম এবং অর্থনৈতিক অভিবাসন নিয়ে গবেষণায় অবদান রাখছেন।[২]

ম্যাকডোয়েল তার কাজের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। রয়েল ভৌগোলিক সমিতি থেকে তাকে ব্যাক অ্যাওয়ার্ড এবং ভিক্টোরিয়া পদক দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি ব্রিটিশ একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৪] তিনি সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমিরও ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৫] ম্যাকডোয়েল এরিয়া এবং অ্যান্টিপোড নামক দুটি জার্নাল সম্পাদনা করেছেন। [২]

ভূগোল ও উচ্চ শিক্ষায় পরিসেবার জন্য ২০১৬ সালের নববর্ষ সম্মাননায় তিনি কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) হিসেবে ভূষিত হন।

নির্বাচিত প্রকাশনা[সম্পাদনা]

• (২০১৬) অভিবাসী মহিলাদের কণ্ঠস্বর: ১৯৪৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে জীবনযাপন এবং কাজের বিষয়ে কথা বলা (মাইগ্রেন্ট উইমেন্স ভয়েসেস: টকিং অ্যাবাউট লাইফ অ্যান্ড ওয়ার্ক ইন দ্য ইউকে সিন্স ১৯৪৫) । ব্লুমসবারি, আইএসবিএন ৯৭৮১৪৭৪২২৪৫০৫

• (২০১৩) কর্মজীবন: ব্রিটেনে লিঙ্গায়েত, অভিবাসন এবং কর্মসংস্থান, ১৯৪৫-২০০৭। উইলি-ব্ল্যাকওয়েল আইএসবিএন ৯৭৮১৪৪৪৩৩৯১৯২ আইএসবিএন   9781444339192

• (২০০৯) কার্যনির্বাহী সংস্থা: মিথষ্ক্রিয় পরিসেবা কর্মসংস্থান এবং কর্মক্ষেত্রের পরিচয়। উইলি-ব্ল্যাকওয়েল আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০৫১-৫৯৭৭-৭ আইএসবিএন   978-1-4051-5977-7

• (২০০৫) কঠোর শ্রম: লাত্ভিয়ান অভিবাসী 'স্বেচ্ছাসেবক' শ্রমিকদের ভুলে যাওয়া কণ্ঠস্বর। ইউসিএল প্রেস/ক্যাভেনডিশ পাবলিশিং, লন্ডন। আইএসবিএন ১৮৪৪৭২০২০৯ আইএসবিএন   1844720209

• (২০০৩) অপ্রয়োজনীয় পুরুষত্ব? কর্মসংস্থান পরিবর্তন এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির যুবকরা। উইলি ব্ল্যাকওয়েল, অক্সফোর্ড আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০৫১-০৫৮৫-৯ আইএসবিএন   978-1-4051-0585-9

• (১৯৯৯) লিঙ্গ, পরিচয় এবং স্থান। কেমব্রিজ: পলিটি প্রেস

• (১৯৯৭) নাগরিক সংস্কৃতি: লন্ডন শহরে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গায়েত । অক্সফোর্ড: ব্ল্যাকওয়েল

• (১৯৯১) পিতা এবং ফোর্ড ছাড়া জীবন: উত্তর-ফোর্ডবাদের নতুন লিঙ্গক্রম, ব্রিটিশ জিওগ্রাফার ইনস্টিটিউট এর কার্যকবিবরণী ৪০০-৪১৯

• (১৯৯১) একাধিক কণ্ঠস্বর: প্রকল্পের ভিতরে এবং বাইরে থেকে কথা বলা (মাল্টিপল ভয়েস: স্পিকিং ফ্রম ইনসাইড অ্যান্ড আউটসাইড দ্য প্রজেক্ট) অ্যান্টিপোড ২৪, ৫৬-৭২

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jones, A (২০০৯)। Mcdowell, L. in International Encyclopedia of Human Geography। Elsevier। পৃষ্ঠা 511–513। 
  2. "Professor Linda McDowell"। School of Geography and the Environment, Oxford University। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  3. "Professor Linda McDowell"। St John's College, Oxford। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. "McDowell, Linda"। British Academy। ২৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "Fellows"। Academy of Social Sciences। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫