মৌসা ত্রাওরে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুসা ত্রাওরে
১৯৮৯ সালে মুসা ত্রাওরে
মালি'র ২য় প্রেসিডেন্ট
কাজের মেয়াদ
১৯ নভেম্বর ১৯৬৮ – ২৬ মার্চ ১৯৯১
পূর্বসূরীমোদিবো কেইতা
উত্তরসূরীআমাদু তুমানি তোরে
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1936-09-25) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬ (বয়স ৮৭)
কায়েস, ফরাসি সুদান (বর্তমানে মালি)
জাতীয়তামালীয়
রাজনৈতিক দলসেনাবাহিনী (পরে ইউডিপিএম)
দাম্পত্য সঙ্গীমারিয়াম ত্রাওরে
ধর্মইসলাম
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য মালি
শাখামালি সেনাবাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৬০-১৯৭৬
পদমেজর জেনারেল
অপরাধের বিবরণ
লক্ষ্যবস্তুতার শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীগণ
দোষগণহত্যা এবং অর্থ আত্মসাৎ
শিকার৩০০+
সময়কাল১৯৯১
শাস্তিমৃত্যুদণ্ড
কারারুদ্ধমারকালা কারাগার

মুসা ত্রাওরে (ইংরেজি: Moussa Traoré; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬) একজন মালীয় সৈন্য, রাজনীতিবিদ, এবং স্বৈরশাসক ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে লেফটেন্যান্ট হিসেবে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোদিবো কেইতাকে উৎখাত করেন। তারপর মার্চ ১৯৯১ সালে গণবিক্ষোভ ও সেনা অভ্যুত্থানের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নব্বইয়ের দশকে তাঁকে দু'বার মৃত্যুদন্ড দিলেও শেষ পর্যন্ত দু'বারই তিনি মার্জনা লাভ করেন এবং অবশেষে ২০০২ সালে মুক্তি পান এবং রাজনীতি থেকে অবসর নেন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

কায়েস অঞ্চল-এ জন্ম নেওয়া ত্রাওরে, কিতা এবং ফ্রান্স-এর ফেজুস-এ অবস্থিত সামরিক অ্যাকাডেমিতে লেখাপড়া করেন। ১৯৫৯ সালে মালি স্বাধীন হবার পর, ১৯৬০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৬১ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, এবং ১৯৬৩ সালে লেফটেন্যান্ট পদেউন্নীত হন। পরে তিনি টাঙ্গানাইকা-র (যা পরবর্তীকালে জাঞ্জিবার-এর সাথে মিলিত হয়ে তানজানিয়া রাষ্ট্র গঠন করে) স্বাধীনতা আন্দোলনে সামরিক প্রশিক্ষক হিসেবে চলে যান। এরপর তিনি কাতি-র সম্মিলিত সামরিক বিদ্যালয়-এ প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান, ১৯৬৮–১৯৯১[সম্পাদনা]

১৯ নভেম্বর ১৯৬৮ সালে তিনি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট মোদিবো কেইতাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তিনি জাতীয় মুক্তির সামরিক কমিটি-র প্রেসিডেন্ট হন, যা কার্যকরভাবে তাঁকে মালি’র রাষ্ট্রপ্রধানে পরিণত করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন ক্যাপ্টেন তিয়েকোরো বাগায়োকো দ্বারা একটি পুলিশ রাষ্ট্র পরিচালিত হত। গুপ্তচরেরা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদেরর ওপর নজরদারি চালাত, বিশেষ করে যাঁরা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন। মোদিবো কেইতার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি আংশিকভাবে বাতিল করা হয়। ১৯৭২–৭৩ এর দিকে মালি ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়। আন্তর্জাতিক সহায়তার অর্থ বণ্টনে করা হয় দুর্নীতি। ১৯৭৪ সালে তিনি দ্বিতীয় মালীয় প্রজাতন্ত্র গঠন-এর জন্য একটি পরিবর্তিত সংবিধান প্রকাশ করেন, যার উদ্বোধন হয় ১৯৭৮ সালে। এর সাহায্যে মালিকে বেসামরিক শাসনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করলেও, ক্ষমতায় থেকে যান সামরিক নেতারাই। সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অফ মালিয়ান পিপ্‌ল (ইউ.ডি.পি.এম.) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ভিত্তি ছিল অনাদর্শিক গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীয়পন্থা বা নন-আইডিয়োলজিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক সেন্ট্রালিজম। ১৯৭৯ সালের জুনে একদলীয় প্রেসিডেন্ট ও আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউ.ডি.পি.এম.-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ত্রাওরে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ছয় বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে এই পদ নিশ্চিত করেন।[১] ইউ.ডি.পি.এম.-এর উদ্দেশ্যে ছিল সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ সাধন করা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এর সহযোগী সংগঠন ছিল মালি জাতীয় মহিলা ইউনিয়ন এবং মালি জাতীয় যুব ইউনিয়ন, যা ছিল দেশের নারী ও যুব সমাজের জন্য বাধ্যতামূলক সংগঠন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৭৭ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোদিবো কেইতা বন্দিদশাতেই সন্দেহজনকভাবে মারা যান। তাঁর শেষকৃত্য-এ ভালোই লোকসমাগম হয়। সরকার তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং উগ্রভাবে ধরপাকড় চালায়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ তারিখে, মুসা ত্রাওরে, তিয়েকোরো বাগায়োকো এবং কিসিমা দুকারা-কে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেন। আরও উদার রাজনীতির দিকে ঝোঁকার চেষ্টায় তিনি ইতিহাসবিদ আল্‌ফা উমার কোনারে– কে শিল্পকলা মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। ১৯৮০ সালে, ছাত্র বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় এবং তাদের নেতা আবদুল করিম কামারা (“কাব্রাল”) নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮২ সালে ত্রাওরেকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়। মে ১৯৮৮ থেকে জুলাই ১৯৮৯ পর্যন্ত ত্রাওরে ছিলেন আফ্রিকান ঐক্য সংগঠন-এর চেয়ারম্যান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৮৫ সালে ত্রাওরে পুনঃনির্বাচিত হন। এবারও তিনিই একমাত্র প্রার্থী। ঐ বছরেরই পরের দিকে ইউ.ডি.পি.এম.-নিয়ন্ত্রিত আইন সভা, তাঁকে দুই-মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থেকে নিষ্কৃতি দিতে সংবিধান সংশোধন করে ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৮১ ও ১৯৮২ সালের দিকে রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়, এবং আশির দশকজুড়ে তা মোটামুটি শান্তই ছিল। ইউ.ডি.পি.এম. আরও লোকজনকে আকৃষ্ট করতে শুরু করে। কেননা তারা এটা প্রমাণ করেছিল যে, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়িকে প্রতিহত করতে এটা কার্যকরী কণ্ঠ হতে পারে। মালি’র অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার দিকে মনোনিবেশ করে সরকার খাদ্যশস্য বাজারজাতকরণে উদারনীতি গ্রহণের পরিকল্পনা অনুমোদন, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ ব্যবস্থার সংস্কার, বেসরকারি উদ্যোগে নতুন উৎসাহমূক সহায়তা দান, এবং আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আই.এম.এফ.)-এর সঙ্গে চুক্তি প্রণয়ন করে। তা সত্বেও, প্রেসিডেন্ট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা আই.এম.এফ.-এর অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি আরোপিত কঠোর নীতির তোয়াক্কা করছে না, জনগণের মনে এমন ধারণা বদ্ধমূল হওয়ায়, ১৯৯০ সালের মধ্যেই ক্রমবর্ধমানভাবে অসন্তোষ তৈরি হতে থাকে। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মত বহুদলীয় গণতন্ত্রের দাবিও জোরালো হতে থাকে। স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন রাজনৈতিক সংগঠন সহ কিছু কিছু সংস্কার অনুমোদন করলেও, মালি, গণতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত নয় বলেই ত্রাওরে জোরালোভাবে দাবি করেন।[১]

বিরোধিতা ও ক্ষমতাচ্যুতি[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে আইনজীবী মুন্তাগা টল প্রতিষ্ঠা করেন ন্যাশনাল কংগ্রেস ফর ডেমোক্র্যাটিক ইনিশিয়েটিভ (সি.এন.আই.ডি.), এবং আবদ্রামানে বাবা ও ইতিহাসবেত্তা আলফা উমার কোনারে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্র্যাসি ইন মালি (এ.ডি.ই.এম.এ.)। মুসা ত্রাওরে’র শাসনের বিরোধিতা করার লক্ষ্যে, এঁদের সাথে অ্যাসোসিয়েশন অফ পিউপিল্‌স অ্যান্ড স্টুডেন্টস অফ মালি (এ.ই.ই.এম) এবং হিউম্যান রাইট্‌স অ্যাসোসিয়েশন অফ মালি (এ.এম.ডি.এইচ.)ও একত্রিত হয়।

পুরানো সংবিধানে, সমস্ত শ্রমিক সংগঠনকে ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ মালিয়ান ওয়ার্কার্স (ইউ.এন.টি.এম.) নামের সংগঠনটির অন্তর্ভুক্ত থাকতে হতো। ১৯৯০ সালে যখন সরকার থেকে ভেঙে, ইউ.এন.টি.এম.-এর নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে, তখন বাড়তে থাকে বিরোধিতাও। এমন প্রতিক্রিয়ার আংশিক একটি কারণ হল, অক্টোবর ১৯৮৯ সালে ঘোষিত বহুদলীয় কর্মসূচি-র বাস্তবায়ন নিয়ে ত্রাওরের তালবাহানা। এই গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তার কারণ ছিল, সরকারি খাতে বেতন কাটা ও ছাঁটাই এবং ১৯৬৮ সালে কেইতার ক্ষমতাচ্যুতির পরও অর্থনীতির যে বড় অংশ তখনো রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় রয়ে গিয়েছিল, সেগুলোকে বেসরকারিকরণের জন্য বৈদেশিক দাতাগোষ্ঠীদের চাপের কাছে সরকারের নতি স্বীকার করা। শিক্ষার্থীরা, এমনকি শিশুরাও বামাকো’র বিক্ষোভ মিছিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যেসব বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি শাসকগোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল, সেগুলোকেও জনতা তছনছ করে দিয়েছিল।

২২ মার্চ ১৯৯১ তারিখে, মধ্য বামাকো’র একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল কঠোরভাবে দমন করা হয়। যেখানে আনুমানিক ৩০০ জন মানুষ মারা যায়। চার দিন পর, ত্রাওরে’র রাষ্ট্রপতি রক্ষীবাহিনীর সেনাপতি, কর্নেল আমাদু তুমানি তোরে, ত্রাওরেকে গদিচ্যুত করে তাঁকে গ্রেফতার করেন। তোরে’র সভাপতিত্বে জনগণের মুক্তির জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠিত হয়, যার তত্ত্বাবধানে এক বছর পর এখানে উত্তরণ ঘটে গণতন্ত্রের।[২]

বিচার ও মার্জনা লাভ[সম্পাদনা]

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে, মারকালা’র স্থানীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় ত্রাওরেকে “রাজনৈতিক অপরাধ” এর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। বিচার, মূলত বামাকোতে প্রায় তিনশ’ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীকে হত্যার ওপরই নিবদ্ধ ছিল।[৩] কিন্তু পরবর্তীকালে তার এই দণ্ড মওকুফ করে দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে, নিজের শাসনকালে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের তহবিল তছ্‌রুপের অভিযোগে ত্রাওরে এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়াম ত্রাওরেকে “অর্থনৈতিক অপরাধ” এর দায়ে দণ্ডিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট আলফা উমার কোনারে এই সাজা কমিয়ে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২৯ মে ২০০২ সালে ক্ষমতা ত্যাগের অল্প কিছুদিন আগে, জাতীয় পুনর্মিলনের খাতিরে, তিনি এই দম্পতির সাজা মাফ করে দেন; যা তাঁর উত্তরসূরি আমাদু তুমানি তোরে-ও সমর্থন করেন।[৪][৫]

ত্রাওরে’র একদা পদস্খলিত ভাবমূর্তির কিছুটা উপশম ঘটে তোরে’র শাসনাকালে। অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও লোকে প্রাক্তন এই স্বৈরশাসককে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং তাঁর পুরানো অনেক সমর্থক শোগেল মাইগা-গঠিত প্যাট্রিওটিক ম্যুভমেন্ট ফর রিনিওয়াল (এম.পি.আর.) সমর্থন করেছিল। কিছুদিনের মধ্যেই ত্রাওরে ও তাঁর স্ত্রী, উভয়ই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এর কারণ ছিল মূলত শারীরিক অসুস্থতা।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Background Note: Mali ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে. Office of Public Communication, Bureau of Public Affairs Description: Historical, Political and Economic Overviews of the Countries of the World Date: Apr, 15 19934/15/93.
  2. Patrick Manning. Francophone Sub-Saharan Africa, 1880–1995: 1880–1995. Cambridge University Press (1998) আইএসবিএন ০-৫২১-৬৪৫১৯-০ pp.198–199
  3. https://www.ina.fr/video/CAC93007549
  4. "Former Malian president escapes death again", BBC, 22 September 1999.
  5. "New Malian president sworn in", BBC, 8 June 2002.
  6. "Mali ex-ruler rejects pardon", BBC, 30 May 2002.

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
মোদিবো কেইতা
মালি'র প্রেসিডেন্ট
১৯৬৮-১৯৯১
উত্তরসূরী
আমাদু তুমানি তোরে