শাহজাহানপুর ইউনিয়ন, মাধবপুর

স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′১৩.০০১″ উত্তর ৯১°২২′৫৩.০০০″ পূর্ব / ২৪.১২০২৭৮০৬° উত্তর ৯১.৩৮১৩৮৮৮৯° পূর্ব / 24.12027806; 91.38138889
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহজাহানপুর
ইউনিয়ন
শাহজাহানপুর সিলেট বিভাগ-এ অবস্থিত
শাহজাহানপুর
শাহজাহানপুর
শাহজাহানপুর বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
শাহজাহানপুর
শাহজাহানপুর
বাংলাদেশে শাহজাহানপুর ইউনিয়ন, মাধবপুরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′১৩.০০১″ উত্তর ৯১°২২′৫৩.০০০″ পূর্ব / ২৪.১২০২৭৮০৬° উত্তর ৯১.৩৮১৩৮৮৮৯° পূর্ব / 24.12027806; 91.38138889 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাহবিগঞ্জ জেলা
উপজেলামাধবপুর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
স্থাপিত১৯৯৯
আয়তন
 • মোট৪,০৫০ হেক্টর (১০,০২০ একর)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৩,৯১৩
 • জনঘনত্ব৮৪০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৩৬ ৭১ ৯৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

শাহজাহানপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

শাহজাহানপুর ইউপি আয়তনে মাধবপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এর আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার। এটি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তঘেষা পাহাড়ী এলাকা,চা বাগান, টিলা ও সমতলভূমির সমন্বয়ে গঠিত একটি দর্শনীয় পর্যটন সমৃদ্ধ ইউনিয়ন। এর উত্তর-পশ্চিমে জগদীশপুর ইউপি, পশ্চিমে আন্দিউড়া ইউপি, দক্ষিণ-পশ্চিমে বহরা ইউপি, উত্তর-পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী ইউপি ও দক্ষিণ -পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত এলাকা অবস্হিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে শাহজাহানপুর ইউপি'র নাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বের দিক থেকে মুজিবনগরের পরই এই ইউপি'র তেলিয়াপাড়া চা বাগানের অবস্হান। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে এই ইউনিয়নটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ ও তাৎপর্যের দিক থেকে অবহেলিত। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল এই ইউপি'র তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজারের বাঙলোয় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে ১১টি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, অনেক জাতীয়, হবিগঞ্জ তথা সিলেটের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি'র কৃতি সন্তান জনাব খোরশেদ আলম চৌধুরী, জনাব দেওয়ান আশ্রব আলী ও জনাব আব্দুস সাত্তার মেম্বার প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

পাহাড়ী ঢাল, সমতল ভূমির সমন্বয়ে এক ব্যতিক্রমী মৃত্তিকা বৈশিষ্ট্য নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি।

প্রশাসনিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়টি ৪টি মৌজার ছোট বড় প্রায় ৪০টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত।

  • গ্রাম -

এই ইউনিয়নের কয়েকটি বিখ্যাত গ্রাম হল-

  • শাহজাহানপুর
  • রতনপুর
  • উত্তর সুরমা (গোয়াছনগর)
  • সুরমা
  • নাজিরপুর
  • লোহাইদ (শাহপুর)
  • জামালপুর (ভান্ডারুয়া)
  • নোয়াগাঁও
  • জালুয়াবাদ
  • ফরহাদপুর
  • বাগবাড়ী। এছাড়াও এই ইউনিয়নে ছোট ছোট অনেকগুলো গ্রাম রয়েছে।

জনসংখ্যা উপাত্ত[সম্পাদনা]

নির্বাচিত জন-প্রতিনিধি[সম্পাদনা]

শিক্ষাব্যবস্থা[সম্পাদনা]

আয়তনে মাধবপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে আছে এই ইউনিয়নটি। এখানে একটিমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক আলিয়া মাদ্রাসা, ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২টি কিন্ডার গার্টেন, ২টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ব্র্যাক পরিচালিত কয়েকটি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত কয়েকটি প্রাক-প্রাথমিক গণশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়নের চিকিৎসার এখনও পর্যন্ত প্রধান অবলম্বন ইউনিয়ন স্বাস্হ্যকেন্দ্রটি। এর পাশাপাশি কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক, সুরমা চা বাগান ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানের নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। এখানে বেসরকারী সংস্হা- হীড বাংলাদেশ বিদেশী সহায়তায় যক্ষার চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এছাড়া শাহজাহানপুর ডাক্তার বাড়ীর পল্লী চিকিৎসক বাবু নগেন্দ্র চন্দ্র শর্ম্মা বিনামূল্যে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষি[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়নের ভূমিরুপের বৈচিত্র্যের জন্য এখানে কৃষিক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। সমতল ভূমি পরিবেষ্টিত অংশে যেমন দেখা যায় ধান, আলু, টমেটো,মুলাসহ বিভিন্ন রবিশস্যের চাষ, তেমনি পাহাড়ি ঢাল ও টিলাসমৃদ্ধ অংশে রয়েছে চা, রাবার ইত্যাদি অর্থকরী ফসলের চাষ।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

এই ইউনিয়ন কৃষিপ্রধান অর্থনীতি নির্ভর। তবে এর একটি বড় অংশের মানুষ চা শিল্পের সাথে জড়িয়ে জীবন নির্বাহ করছে। এছাড়া এখানকার অধিবাসীদের একটা ছোট অংশ সরকারী- বেসরকারী বিভিন্ন চাকুরীতে নিয়োজিত আছে। অধিবাসীদের অনেকে ইউরোপ- আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্হান করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে এবং পরিবার তথা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। এই ইউনিয়নে বর্তমানে কয়েকটি বস্ত্রকল গড়ে উঠেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

অবস্হানগত দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্হায় থাকার কারণে এর যোগাযোগ ব্যবস্হা যথেষ্ট সমৃদ্ধ বলা যায়। প্রাক্তন ঢাকা সিলেট মহাসড়কটি এই ইউনিয়নের সদরখ্যাত তেলিয়াপাড়ার উপর দিয়ে বয়ে যায়। এখান থেকে বাসযোগে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ প্রায় সব বিভাগীয় শহরে যাওয়া সহজ। চট্টগ্রাম সিলেট ও ঢাকা সিলেটগামী ট্রেনগুলো এই ইউনিয়নের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এই ইউনিয়নে তেলিয়াপাড়া ও শাহপুর নামে দুইটি রেলস্টেশন রয়েছে। যেগুলোতে কোন আন্ত: নগর ট্রেন না থামলেও লোকাল বাল্লা, কুশিয়ারা ইত্যাদি ট্রেনে চড়ে ইউনিয়নের মানুষ পার্শ্ববর্তী আখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরব এবং শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও সিলেটে এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে যাতায়াত করতে পারে।

কৃতি ব্যক্তিত্ত্ব[সম্পাদনা]

  • শাহ্ চাঁন মিয়া চৌধুরী - আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব;
  • মো: রফিকুল আলম চৌধুরী - বীর শহীদ;

দর্শনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা[সম্পাদনা]

  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ - তেলিয়াপাড়া চা বাগান
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ - তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশন;
  • তেলিয়াপাড়া চা বাগান;
  • সুরমা চা বাগান;
  • শাহ চাঁন মিয়া চৌধুরী-এর মাজার শরীফ, সুরমা সাহেববাড়ী;
  • শাহনুর-এর মাজার - শাহপুর।

বিবিধ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]