আব্দুল মালেক (মানিকগঞ্জের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কর্ণেল (অবঃ)
আব্দুল মালেক
পিএসসি
বাংলাদেশের বস্ত্র মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩ অক্টোবর ১৯৮৯ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯
মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৯০
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীনিজাম উদ্দীন খান
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৮৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমানিকগঞ্জ জেলা
মৃত্যু১৬ জুলাই ২০০০
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীফৌজিয়া মালেক
সন্তানজাহিদ মালেক স্বপন
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেবেন্দ্র কলেজ
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদ কর্নেল

আব্দুল মালেক (১৯৩৫-২০০০) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল (পিএসসি), মানিকগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আব্দুল মালেক ১৯৩৫ সালে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এম কে মোল্লা এবং মাতা বেগম ইসাতুন্নেছা। মানিকগঞ্জ মডেল হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাস করে দেবেন্দ্র কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তার স্ত্রী ফৌজিয়া মালেক।[১] তার ছেলে জাহিদ মালেক স্বপন মানিকগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও তৃতীয় হাসিনা মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং চতুর্থ হাসিনা মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।[২] মেয়ে রুবিনা হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আব্দুল মালেক ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৭৫ সালে কর্ণেল পদে থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায়ে নিয়োজিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়ে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৪]

তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। ১৯৮৯ সালে তিনি বস্ত্রমন্ত্রী হিসেবে এরশাদের মন্ত্রী পরিষদে যোগদেন।[১][২]

১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।[৫]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আব্দুল মালেক ১৬ জুলাই ২০০০ সালের জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২০ 
  2. "৩০ বছর পর পিতার আসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক"দৈনিক ইত্তেফাক। ৮ জানুয়ারি ২০১৯। ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২০ 
  3. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "এম এ মালেক, আসন নং: ১৭০, মানিকগঞ্জ-৩, দল: জাতীয় পার্টি (লাঙল)"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২০