ন্যান্সি ক্যারল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ন্যান্সি ক্যারল
Nancy Carroll
১৯৩০ সালে ক্যারল
জন্ম
অ্যান ভেরোনিকা লাহিফ

(১৯০৩-১১-১৯)১৯ নভেম্বর ১৯০৩
মৃত্যুআগস্ট ৬, ১৯৬৫(1965-08-06) (বয়স ৬১)
নিউ ইয়র্ক সিটি
সমাধিকালভারি সেমেটারি, কুইন্স, নিউ ইয়র্ক
পেশাঅভিনেত্রী, গায়িকা
কর্মজীবন১৯২৩-১৯৬৫
দাম্পত্য সঙ্গীজ্যাক কার্কল্যান্ড
(বি. ১৯২৫; বিচ্ছেদ. ১৯৩০)

ফ্রান্সিস বোল্টন ম্যালরি
(বি. ১৯৩১; বিচ্ছেদ. ১৯৩৫)

সি. এইচ. "জেপ" গ্রোয়েন
(বি. ১৯৫৩; মৃ. ১৯৬৫)

ন্যান্সি ক্যারল (জন্ম অ্যান ভেরোনিকা লাহিফ; ১৯ নভেম্বর ১৯০৩ - ৬ আগস্ট ১৯৬৫) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা।[১] তিনি দ্য ডেভিল্‌স হলিডে (১৯৩০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লাফটার (১৯৩০), প্যারামাউন্ট অন পেরেড (১৯৩০), হট স্যাটারডে (১৯৩২), দ্য কিস বিফোর দ্য মিরর (১৯৩৩), দ্য ম্যান আই কিলড (১৯৩২)।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ন্যান্সি ক্যারল ১৯০৩ সালের ১৯শে নভেম্বর নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম অ্যান ভেরোনিকা লাহিফ। তার পিতা টমাস লাহিফ ও মাতা অ্যান লাহিফ। তারা দুজনেই আইরিশ বংশোদ্ভূত ছিলেন। ক্যারল নিউ ইয়র্কের হলি ট্রিনিটি স্কুলে পড়াশোনা করেন, কিন্তু তিনি ১৬ বছর বয়সেই একটি ফিতা প্রস্তুতকারক কোম্পানির অফিসে স্টেনোগ্রাফারের কাজ পাওয়ার পর বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।[২]

ক্যারল ও তার বোন এলসি অপেশাদার প্রতিভার স্থানীয় প্রতিযোগিতায় নৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমেই তার মঞ্চে অভিনয় জীবন শুরু হয় এবং পরবর্তীকালে পর্দায় তারকা খ্যাতি লাভ করেন। তিনি ব্রডওয়ের সঙ্গীতনাট্যে কাজ করার মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ন্যান্সির চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯২৭ সালে লেডিজ মাস্ট ড্রেস দিয়ে। পরের বছর তিনি আটটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন, তন্মধ্যে রিচার্ড ডিক্সের বিপরীতে তার অভিনীত ইজি কাম, ইজি গো তাকে তারকা খ্যাতি পাইয়ে দেয়। ১৯২৯ সালে তিনি দ্য ড্যান্স অব লাইফ চলচ্চিত্রে হাল স্কেলির বিপরীতে এবং দ্য উল্‌ফ অব ওয়াল স্ট্রিট চলচ্চিত্রে জর্জ ব্যানক্রফ্‌ট ও ওলগা ব্যাক্লানোভার সাথে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।

তিনি ১৯৩০-এর দশকে সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্রে কাজ করে সফলতা অর্জন করেন। তিনি ১৯৩০ সালে দ্য ডেভিল্‌স হলিডে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, কিন্তু দ্য ডিভোর্সি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা নর্মা শিয়েরারের নিকট হেরে যান।[৩] পরবর্তীকালে তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লাফটার (১৯৩০), প্যারামাউন্ট অন পেরেড (১৯৩০), ক্যারি গ্র্যান্ট ও র‍্যান্ডলফ স্কটের বিপরীতে হট স্যাটারডে (১৯৩২), জেমস হোয়েল পরিচালিত দ্য কিস বিফোর দ্য মিরর (১৯৩৩), এবং আর্নস্ট লুবিচ পরিচালিত দ্য ম্যান আই কিলড (১৯৩২)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "অবিচুয়ারি", ভ্যারাইটি, ১১ আগস্ট ১৯৬৫।
  2. অ্যাকার, এভারেট (২০১৩)। George Raft: The Films (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ৩৪–৩৫। আইএসবিএন 9780786493135। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০ 
  3. "The 3rd Academy Awards - 1931"অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]