মিরিয়াম হপকিন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিরিয়াম হপকিন্স
Miriam Hopkins
১৯৩০-এর দশকে হপকিন্স
জন্ম
এলেন মিরিয়াম হপকিন্স

(1902-10-18) অক্টোবর ১৮, ১৯০২ (বয়স ১২১)
স্যাভানা, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুঅক্টোবর ৯, ১৯৭২(1972-10-09) (বয়স ৬৯)
নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯২১-১৯৭০
দাম্পত্য সঙ্গীব্র্যান্ডন পিটার্স
(বি. ১৯২৬; বিচ্ছেদ. ১৯২৭)

অস্টিন পার্কার
(বি. ১৯২৮; বিচ্ছেদ. ১৯৩১)

অ্যানাটোল লিটভাক
(বি. ১৯৩৭; বিচ্ছেদ. ১৯৩৯)

রেমন্ড বি. ব্রক
(বি. ১৯৪৫; বিচ্ছেদ. ১৯৫১)
সন্তান

এলেন মিরিয়াম হপকিন্স (১৮ অক্টোবর ১৯০২ - ৯ অক্টোবর ১৯৭২) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী।[১] তিনি ১৯৩০ সালে প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন এবং আর্নস্ট লুবিচজোয়েল ম্যাক্রিয়াসহ অন্যান্য পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। অভিনেত্রী বেটি ডেভিসের সাথে তার দীর্ঘকাল ব্যাপী দ্বন্দ্ব বিপুল আলোচিত ছিল। বেকি শার্প চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। হপকিন্স পরবর্তীকালে টেলিভিশন নাটকের অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

হপকিন্স ১৯০২ সালের ১৮ই অক্টোবর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যাভানা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হোমার হপকিন্স ও মাতা এলেন কাটলার।[২] তিনি অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী বেইনব্রিজে বেড়ে ওঠেন। তার এক বড় বোন ছিল, তার নাম রুবি (১৯০০-১৯৯০)।[৩] তার প্র-মাতামহ ছিলেন বেইনব্রিজের চতুর্থ নগরপাল, যিনি এই শহরে সেন্ট জন্‌স এপিস্কোপাল গির্জা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন।[৪]

১৯০৯ সালে তিনি কিছুদিন তার পরিবারের সাথে মেক্সিকোতে বসবাস করেন। তার পিতামাতার বিচ্ছেদের পর হপকিন্স তার মায়ের সাথে নিউ ইয়র্কের সাইরাকাস শহরে চলে যান। সেখানে তার চাচা টমাস ক্রেমার হপকিন্স সাইরাকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ছিলেন।[৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৩০ সালে হপকিন্স প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং ফাস্ট অ্যান্ড লুজ দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি চলচ্চিত্রে প্রথম সফলতা লাভ করেন ১৯৩১ সালের ভীতিপ্রদ নাট্যধর্মী ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড চলচ্চিত্র দিয়ে। এতে তিনি আইভি পিয়ারসন নামে একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি বিপুল প্রশংসা লাভ করেন, তন্মধ্যে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মর্ডাউন্ট হল তার আইভি চরিত্রে কাজকে "চমৎকার" বলে উল্লেখ করেন।[৬]

তার সাফল্যে ধারাবাহিকতা চলতে থাকে এবং তিনি এই দশকে প্রণয়ধর্মী হাস্যরসামতক দ্য রিচেস্ট গার্ল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৩৪), বারবারি কোস্ট (১৯৩৫), দিজ থ্রি (১৯৩৬) ও দ্য ওল্ড মেইড (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী বেকি শার্প (১৯৩৫) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "অবিচুয়ারি", ভ্যারাইটি, ১১ অক্টোবর ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৭১।
  2. Virginia, Marriage Records 1936-2014
  3. 1910 United States Federal Census
  4. "St. John's Episcopal Church, Bainbridge, GA"Episcopal Church। জুন ১৩, ২০১১। 
  5. "Profile"। ২০১৪-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৮ 
  6. The New York Times Book of Movies: The Essential 1,000 Films to See, Universe Publishing, 2019, 'Dr. Jekyl and Mr. Hyde,' p. 310, first published January 2, 1932
  7. "The 8th Academy Awards - 1936"অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]