জন হেইস
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন আর্থার হেইস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ১১ জানুয়ারি ১৯২৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭ অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৮০)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হেবেগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫১) | ১৭ মার্চ ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ জুলাই ১৯৫৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ জুন ২০২০ |
জন আর্থার জনি হেইস (ইংরেজি: John Hayes; জন্ম: ১১ জানুয়ারি, ১৯২৭ - মৃত্যু: ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৭) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন জনি হেইস নামে পরিচিত জন হেইস।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত ‘হেবেগ’ ডাকনামে পরিচিত জেন হেইসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘকায় ডানহাতি বোলার ছিলেন জন হেইস। নিজের দিনগুলোয় বেশ দ্রুততার সাথে প্রকৃতমানের বল ফেলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের মৃত্যুদূতে পরিণত হতেন।
অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী জন হেইসের ডিসেম্বর, ১৯৪৬ সালে অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মাত্র দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পর জনৈক শুভাকাঙ্ক্ষীর সহায়তায় জ্যাক কাউয়ি’র দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জন হেইস। ১৭ মার্চ, ১৯৫১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ জুলাই, ১৯৫৮ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। মূলতঃ উচ্চ ভঙ্গীমায় দেরি করে বাইরের দিকে সুইং বোলিং করানোয় দক্ষ ছিলেন। অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলো থেকে ৩০ উইকেট লাভ করেছেন।
মাত্র দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ শেষে যাচাই-বাছাইয়ের খেলার জন্যে মনোনীত হন। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নেন ও ঐ বছরে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ খেলায় তিনি ৫/৭৩ পান ও ওয়াল্টার হ্যাডলি’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলে যুক্ত হন। এ সফরে ৩৩ গড়ে ২৬ উইকেট পান। তবে, কুঁচকির আঘাতের কারণে সফরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে জুলাই মাসে দলের বাইরে অবস্থান করেন ও আর কোন খেলায় অংশ নিতে পারেননি। জন রিড তাকে ১৯৪৯ সালে দ্রুততম বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[১] পরের মৌসুমে নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। আট বলের ব্যবধানে জেরি গোমেজ, ক্লাইড ওয়ালকট ও ফ্রাঙ্ক ওরেলকে বিদেয় করে সম্ভবতঃ নিজের সবচেয়ে সেরা খেলা প্রদর্শনে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি[সম্পাদনা]
হেবেগ ডাকনামে পরিচিত জন হেইস মার্চ, ১৯৫১ সালে ক্রাইস্টচার্চে সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম খেলেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। আমদানী-রপ্তানী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকায় সর্বদা ছুটি লাভে সক্ষম ছিলেন না ও ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে পারতেন না। ফলশ্রুতিতে, ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করা থেকে বঞ্চিত হন ও চাকুরীজনিত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারেননি। তবে, ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে নিজ দেশে খেলার সুযোগ পান। এরপর, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে পাকিস্তান ও ভারত গমন করেন।
কিন্তু, মার্চ, ১৯৫৬ সালে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয় উদ্যাপন করতে পারেননি। অকল্যান্ডে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড দল তাদের প্রথম টেস্ট জয় পেয়েছিল। ১৯৫৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিজস্ব শেষ চার টেস্টে অংশ নেন। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের মাধ্যমে তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপন ঘটে। কিন্তু, অংশগ্রহণকৃত কোন টেস্টেই তিনি জয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেননি।
১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তান গমন করেও সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। নতুন বল হাতে নিয়ে ৩২.১১ গড়ে ৩৫ উইকেট পান। তবে, টেস্টগুলোয় কম সফল ছিলেন। ছয় টেস্টে ৪৬.৬১ গড়ে ১৩ উইকেট লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। ৬২ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, লর্ডসে এমসিসি’র বিপক্ষে খেলায় এগারো উইকেট পান। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ড দল বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বাজেভাবে বিদেশ সফর করে। চার টেস্টে অংশ নিয়ে মাত্র ছয় উইকেট দখল করেন। লর্ডসে ইংল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা ৪/৩৬ পান।
অবসর[সম্পাদনা]
১৯৫৮ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যালমেনাক কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে নিজস্ব সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬১ সালে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড গভর্নর-জেনারেল একাদশের সদস্যরূপে খেলেছিলেন তিনি।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অকল্যান্ডভিত্তিক আমদানী ও রপ্তানীবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে মরক্কোয় নিউজিল্যান্ডের অনাররি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৫ ডিসেম্বর, ২০০৭ তারিখে ৮০ বছর বয়সে অকল্যান্ড এলাকায় জন হেইসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Joseph Romanos, John Reid: A Cricketing Life, Hodder Moa Beckett, Auckland, 2000, p. 212.
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- টনি ম্যাকগিবন
- ম্যাক অ্যান্ডারসন
- নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন হেইস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন হেইস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Obituary - NZ Cricket
- Obituary - The Daily Telegraph - 4 January 2008