সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মনোরম বিদ্যায়তন
অবস্থান
মানচিত্র
আমতলা

, ,
৯৪০০
স্থানাঙ্ক২২°৪৩′৩২″ উত্তর ৮৯°০৪′৩৯″ পূর্ব / ২২.৭২৫৬৭৫০° উত্তর ৮৯.০৭৭৫৫২৮° পূর্ব / 22.7256750; 89.0775528
তথ্য
ধরনসরকারি
নীতিবাক্যহে প্রভু, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর
প্রতিষ্ঠাকাল১ জুলাই ১৯৬২ (1962-07-01)
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর
বিদ্যালয় জেলাসাতক্ষীরা জেলা
ইআইআইএন১১৮৮১৩
প্রধান শিক্ষকসমরেশ কুমার দাশ
সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতি)মোঃ সিরাজুল ইসলাম
সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা)হামিদুর রহমান
শ্রেণী৩য়-১০ম
শিক্ষার্থী সংখ্যা২২০০ জন (প্রায়)
শিক্ষায়তন১০০ বর্গ মিটার
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (ইংরেজি: Satkhira Government High School) বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত একটি স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৮ সালে জাতীয়করণ করা হয় । বিদ্যালয়টি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

খুলনা-সাতক্ষীরা প্রধান সড়কের পূর্ব পার্শে চাচেঁর বেড়া ও গোলপাতার ছাউনি বিশিষ্ট কক্ষ দিয়ে বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তৎকালীন সময়ে এটি সাতক্ষীরা টাউন হাই স্কুল নামে পরিচিত ছিল। বিদ্যালয়ের মোট জমি ৯ একর ৫৬ শতক। ১লা মে ১৯৬৮ বিদ্যালয়টিকে সাতক্ষীরা সরকারি টাউন হাই স্কুল নামেই জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তীতে ০১লা জানুয়ারি ১৯৬৯ সাল থেকে বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়।[২]
বিদ্যালয়টির পিছনে একটি গনকবর রয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী অনেক মানুষকে হত্যা করে এখানে গনকবর দেয়।

অবস্থান[সম্পাদনা]

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা ও সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে আমতলা মোড়ে স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ০১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[২]

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পতাকা স্ট্যান্ড

প্রতিষ্ঠার শুরুতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয় এবং স্থানীয় জনগনের চাহিদার প্রেক্ষিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কো-এডুকেশন রাখা হয়। পরবর্তীতে জাতীয়করণের পর ১ম ও ২য় শ্রেণি উঠিয়ে দিয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কো-এডুকেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে ২০১০ সাল হতে ২ টি শিফট চালু করা হয়েছে। প্রায় ২২০০ ছাত্র এখানে লেখা পড়া করে। এখানে আনুমানিক প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে নামে।[৩]

এটি এখন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। [২][৪]

বিদ্যালয়ের পোশাক নীতিমালা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের পোশাক নীতি নিম্নরূপ-

  • সাদা হাফ শার্ট বিদ্যালয় লোগো সংবলিত (গ্রীষ্মকালীন)
  • সাদা ফুল শার্ট বিদ্যালয় লোগো সংবলিত (শীতকালীন)
  • কৃষ্ণসবুজ বর্ণের প্যান্ট
  • কালো বেল্ট
  • সাদা জুতা ও মোজা
  • শোল্ডার ব্যাজ
  • প্রাতকালীন ছাত্রদের বিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত লাল ব্যাজ ও দিবাকালীনদের সবুজ ব্যাজ

পরিবেশ[সম্পাদনা]

বৃক্ষশোভিত সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এর পাশ দিয়ে চলে গেছে সাতক্ষীরা-খুলনা মেইন রোড। এই বিদ্যালয়ের ২টি খেলার মাঠ আছে। ছাত্ররা স্কুলের সময় সামনের মাঠটিই ব্যবহার করে। কোন অনুষ্ঠানে পিছনের মাঠ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর সমাবর্তন, প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী এবং বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান করা হয়। খেলাধুলায়ও বিদ্যালয়টি যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে, প্রতি বছর এখানে নিয়মিতভাবে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।[৫] এছাড়াও প্রতিবছর বার্ষিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস"দাপ্তরিক ওয়েবসাইট-সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৬ 
  2. "সাতক্ষীরা-সরকারি-উচ্চ-বিদ্যালয়"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন"। লেখাপড়া ২৪ ডটকম। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. "সাতক্ষীরা সদর উপজেলা"বাংলা পিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ"। সাতক্ষীরা নিউজ। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]