কিলিমানজারো (সঙ্গীত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
"কিলিমানজারো"
প্রচ্ছদ
এন্থিরান(চলচ্চিত্র সঙ্গীত) অ্যালবাম থেকে
এ আর রহমান (সঙ্গীত পরিচালক) এবং জাভেদ আলী, চিন্ময়ী শ্রীপদা (কন্ঠ) কর্তৃক চলচ্চিত্র সঙ্গীত
মুক্তিপ্রাপ্ত৩১ জুলাই, ২০১০
রেকর্ডকৃত২০১০
স্টুডিওপঞ্চটন রেকর্ড ইন, চেন্নাই
ধারাউপজাতীয় সঙ্গীত
দৈর্ঘ্য:৩২
লেবেলভেনাস(হিন্দি)
থিঙ্ক মিউজিক(তামিল ও তেলুগু)
গান লেখকএ আর রহমান (সঙ্গীত)
পা বিজয় (গীত-তামিল)
স্বানন্দ কিরকিরে (গীত-হিন্দি)
ভুবন চন্দ্র(গীত-তেলুগু)
প্রযোজকএ আর রহমান
বহিঃস্থ ভিডিও
video icon ইউটিউবে "তামিল সংস্করণ"
video icon ইউটিউবে "তেলুগু সংস্করণ'"
video icon ইউটিউবে "হিন্দি সংস্করণ'"

কিলিমানজারো এস শঙ্কর নির্মিত ২০১০ সালের তামিল চলচ্চিত্র এন্থিরানের একটি সঙ্গীত। এ আর রহমানের সুর ও সঙ্গীত প্রযোজনায় কিলিমানজারো সঙ্গীতে কন্ঠ দিয়েছেন জাভেদ আলীচিন্ময়ী শ্রীপদা। পা বিজয় মূল তামিল সংস্করণের গীত লিখেছেন; এছাড়াও এই গানের হিন্দি এবং তেলুগু সংস্করণের গীত যথাক্রমে স্বানন্দ কিরকিরে এবং ভুবন চন্দ্র কর্তৃক লিখিত। এই গানের সঙ্গীতে এ রহমান রাগ করাহারাপ্রিয়ার সাথে আফ্রিকার বিভিন্ন উপজাতিদের বাদ্যযন্ত্রের লয় ও নেপথ্যে কোরাস ব্যবহার করেছেন।[১] সম্পূর্ণ গানের চিত্রায়ন পেরুর মাচু পিচুতে করা হয়েছে। মূল চলচ্চিত্রে এই গানের চিত্রায়নে রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্যা রায় ছাড়াও একদল পেরুর উপজাতীয় গোষ্টি ও নৃত্যদল অংশগ্রহণ করে। এটি ২০১০ সালে চিত্রায়িত সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভারতীয় গান। এই গানে কন্ঠ দেয়ার জন্য গায়িকা চিন্ময়ী 'সেরা নেপথ্য গায়িকা' ২০১০ সালে উল্লেখযোগ্য পুরস্কার অর্জন করেন।

সঙ্গীত কাঠামো এবং গীতি[সম্পাদনা]

কিলিমানজারোর সুর কর্ণাটকি রাগ করাহারাপ্রিয়া ভিত্তিতে আয়োজিত। সুর ও সঙ্গীত আরো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করার জন্য আফ্রিকার উপজাতীয় আবহ ও সুর সংযোজনের জন্য একাধিক অক্টাপ্যাড ও নেপথ্য কোরাস ব্যবহার করা হয়েছে। তামিল ছাড়াও কিলিমানজারোর তেলুগু ও হিন্দি সংস্করণ রয়েছে। পা বিজয়, স্বানন্দ কিরকিরে ও ভুবন চন্দ্র যথাক্রমে তামিল, হিন্দি ও তেলুগু ভাষায় এই গানের গীত লিখেছেন। তিন সংস্করণেই সঙ্গীত শিল্পী জাভেদ আলী এবং চিন্ময়ী শ্রীপদা কন্ঠ দিয়েছেন।[২] ক্লিনটন সেরেজো এই গানের অতিরিক্ত ও নেপথ্য কন্ঠ বিন্যাস করেছেন।[১] তিনটি সংস্করণেই গানের শিরোনাম কিলিমানজারো রাখা হয়েছে। পা বিজয়ের মূল তামিল সংস্করণে ব্যবহৃত "কিলিমানজারো", "মহেঞ্জো-দারো" শব্দগুলি অপরাপর সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত আছে।

মুক্তি এবং অভ্যর্থনা[সম্পাদনা]

৩১ জুলাই ২০১০-এ কিলিমানজারো গানটি এন্থিরান চলচ্চিত্র সঙ্গীত এ্যালবামের অংশ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশের পর অবিচ্ছিন্ন ভাবে ভারতের বিভিন্ন জনপ্রিয় সঙ্গীতের সাপ্তাহিক তালিকার প্রথম স্থান দখল করে ছিল।[৩][৪] গানটি তামিল চলচ্চিত্র সঙ্গীতের জনপ্রিয়তার তালিকায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শীর্ষস্থান ধরে রাখে।[৫] কিলিমানজারো ছাড়াও এন্থিরানের সঙ্গীত এ্যালবামের অন্যান্য সঙ্গীত ভারতের বিভিন্ন সঙ্গীত তালিকায় লম্বা সময় অবস্থান করেছে এবং ডিজিটাল ডাউনলোডের রেকর্ড ভেঙ্গেছে।[৬]

চলচ্চিত্রায়ণ[সম্পাদনা]

এন্থিরান চলচ্চিত্রে কিলমানজারোর চিত্রায়নে ঠোট মিলিয়েছেন চলচ্চিত্রটির মূখ্য চরিত্রে রূপদানকারী রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্যা রাই। সম্পূর্ণ গানের চিত্রায়ন পেরুর মাচু পিচুতে করা হয়। মূখ্য শিল্পীদের নেপথ্যে উপজাতীয় গোষ্টি ও একদল নৃত্যশিল্পী ছিলেন। রাজু সুন্দরম এই গানের নৃত পরিচালক ছিলেন। এই গানে শিল্পীদের মজার পোশাক এবং কৌতুকাশ্রয়ী নৃত্য হাস্যরসের উদ্রেক ঘটায়। গানটি মাচু পিচুর সংরক্ষিত বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানে চিত্রায়িত প্রথম ভারতীয় ভিডিও।[৭] সরকারী সুত্রানুসারে, গানের চিত্রগ্রহণের অনুমতির জন্য ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল, কারণ ইতোপূর্বে কোয়ান্টাম অফ সোলাসের মতো হলিউড চলচ্চিত্র মাচু পিচুতে চিত্রগ্রহণের অনুমোদন পায়নি।[৮]

চিত্রায়ণের সময় কিলিমানজারো গানের সঙ্গীত ভিডিও ভারতীয় গানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিডিও ছিল। এন্থিরান চলচ্চিত্রের প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স ২০১০ সালে এই গানের চিত্রায়ণে ৪ কোটি ভারতীয় রূপী[৯](৮,৭৫,০০০ ডলার)[১০] ব্যয় করেছিল।

পুরস্কার এবং মনোনয়ন[সম্পাদনা]

কিলিমানজারো গানে কন্ঠদানের জন্য 'সেরা নেপথ্য গায়িকা' বিভাগে চিন্ময়ী শ্রীপদা বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনায়ন অর্জন করেন।

বছর পুরস্কার বিভাগ শিল্পী ফলাফল সূত্র
২০১০ বিজয় পুরস্কার সেরা মহিলা নেপথ্য গায়িকা চিন্ময়ী শ্রীপদা মনোনীত
বিজয় সংগীত পুরস্কার বছরের জনপ্রিয় গান জাভেদ আলী

চিন্ময়ী শ্রীপদা

বিজয়ী [১১]
সেরা মহিলা নেপথ্য গায়িকা চিন্ময়ী শ্রীপদা বিজয়ী [১]
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - তামিল মনোনীত
মিরচি সঙ্গীত পুরস্কার - তামিল বিজয়ী
তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী [১২]
এমজিআর শিবাজি একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী [১৩]
সিএসকে একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস এবং সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী [১৪]


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Endhiran - TAMIL MOVIE ENDHIRAN MUSIC REVIEW - Endhiran | Rajinikanth | Aishwarya Rai | A.R. Rahman | Shankar - Behindwoods.com"www.behindwoods.com। ২০১৫-০২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৬ 
  2. "´Kilimanjaro´ A Dream Come True: Chinmayi Sripada - Planet Bollywood News"www.planetbollywood.com। ২০২০-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৬ 
  3. "Archived copy"। ২০১০-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৭ 
  4. "Archived copy"। ২০১০-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৭ 
  5. "Who is topping the charts in K'wood?"। Sify। ২০১০-১২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৬ 
  6. "A phenomenon called Rajini!"টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০১০-১০-০১। ২০১২-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৬ 
  7. "Endhiran The Robot : First Indian movie to shoot at Machu Pichu"। One India। ৮ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১০ 
  8. "Enthiran beats James Bond"। Behindwoods। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৪ 
  9. "Here Are The 12 Most Expensive Songs Ever Made In Bollywood"UC News। ২০১৮-০৫-১৯। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. "Official exchange rate (LCU per US$, period average)"বিশ্ব ব্যাংক। ২৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৪ 
  11. "Archive News"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৬ 
  12. "TN Govt. announces Tamil Film Awards for six years"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-১৪। আইএসএসএন 0971-751X। ২০২০-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৬ 
  13. seeucom (২০১১-০১-০৩)। "Enthiran was awarded the best commercial film of the year in MGR-Sivaji Awards"। Tamilmoviestar.com। ২০১১-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-২০ 
  14. "தமிழ் திரைப்பட விருதுகள் : 2010" (তামিল ভাষায়)। WriterCSK। ২০১০-১২-২৫। ২০১১-১১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-২০