সুধর্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুধর্মা
ধরনদৈনিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটব্রডশিট
সম্পাদককে ভি সম্পাথকুমার
প্রতিষ্ঠাকাল১৪ জুলাই ১৯৭০; ৫৩ বছর আগে (1970-07-14)
ভাষাসংস্কৃত
সদর দপ্তরমহীশূর, কর্ণাটক
প্রচলন৩৫০০
ওয়েবসাইটepaper.sudharmasanskritdaily.in

সুধর্মা (সংস্কৃত: सुधर्मा) ভারতের সবচেয়ে পুরনো দুইটি সংস্কৃত সংবাদপত্রের একটি। [১] অন্যা দৈনিকটি হচ্ছে বিশ্বস্যা বৃত্তান্তম। [২] কাগজটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মহীশূর শহর থেকে প্রকাশিত হয়। [৩] ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত, কাগজটি প্রচলন মূলত ডাক মারফত হয়। এর কারণ বিক্রেতারা কাগজটি বিলি করতে অস্বীকার করলে এর প্রতিষ্ঠাতা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

২০১৮ এর হিসাবে, সংবাদপত্রটি তহবিলের অভাবে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। [৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সংস্কৃত পণ্ডিত কালাল নাদাদুর বরদারাজা আয়েঙ্গার ১৯৭০ সালে ভাষার প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে এটি চালু করেছিলেন। তিনি সংস্কৃত বইয়ের প্রকাশকও ছিলেন। [১] সংশয়ীদের উপেক্ষা করে, ভারদারাজ আয়েঙ্গার মহারাজার সংস্কৃত কলেজের 'গণপতি তট্টি' নামক স্থান থেকে ১৪ ই জুলাই, ১৯৭০ সালে সুধর্মার প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একটি সংস্কৃত সংবাদ বুলেটিন শুরুর সহায়ক ছিলেন, এই কাজে তাকে আইকে গুজরাল, তৎকালীন ভারত সরকারের সম্প্রচার মন্ত্রীকে রাজি করাতে হয়েছিল। ১৯৯০ সালে বরদারাজা আয়েঙ্গার মারা যান। কাগজটি মহীশুরের রামচন্দ্র অগ্রহরার একটি প্রেসের বাইরে প্রকাশিত হয়।

প্রচলন[সম্পাদনা]

সংবাদপত্রের বেশিরভাগ গ্রাহক সংস্কৃত পণ্ডিত এবং শিক্ষার্থী। কাগজটির প্রায় ৩৫০০ কপি দৈনিক প্রচলন রয়েছ। এর বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ ৫০০ রুপি (প্রায় ৭.৫০ ডলার) এবং পোস্টের মাধ্যমে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, পাবলিক লাইব্রেরি এবং সমগ্র ভারত জুড়ে পাঠকদের কাছে প্রচারিত হয়। কাগজটি জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের পাঠকদের কাছেও পৌঁছানো হয়, বার্ষিক বিদেশী চাঁদার পরিমাণ ৫০ ডলার। [৫]

বর্তমান পরিস্থিতি[সম্পাদনা]

সংবাদপত্র প্রচারের মাধ্যমে যে লাভ হয়েছিল তা নগণ্য তবে সম্পদ কুমার সাংবাদিকতা এবং সংস্কৃত ভাষার প্রতি তাঁর আগ্রহের কারণে পত্রিকাটির প্রকাশ অব্যাহত রাখতে চান। প্রকাশনাকে চালিয়ে রাখতে তাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। [৬] কাগজটি তার পাঠকদের ভাষা জ্ঞান শিখতে ও উন্নত করতে সহায়তা করেছে। ১৫ জুলাই ২০১১, কাগজ প্রকাশের ৪২ তম বার্ষিকী মহীশূরে উদযাপিত হয়েছিল। উদযাপনের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিল যে সমস্ত বক্তৃতা সংস্কৃত ভাষায় হয়েছিল, এটি বিরল এবং সেই উপলক্ষে দু'জন সংস্কৃত পণ্ডিতকে সম্মানিত করা হয়েছিল। এই পত্রিকাটি অনলাইনেও পাওয়া যায়। [৭]

বর্তমান সম্পাদক শ্রী কে ভি সম্পথকুমার এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি জয়লক্ষ্মী কে এস। জয়লক্ষ্মী কে এসকে ২০২০ সালে ভারত সরকার সাংবাদিকতায় (সাহিত্য ও শিক্ষা বিভাগের অধীনে) অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। [৮]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

  1. Muralidhara Khajane (২০০৭-০৭-২১)। "Keeping Sanskrit alive"Online Edition of The Hindu, dated 2007-07-21। Chennai, India। ২০০৮-০৬-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-১৬ 
  2. newspaper, Vishvasya Vrutantam : Online Daily Sanskrit। "Vishvasya Vrutantam - Daily Sanskrit Newspaper."Vishvasya Vrutantam (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  3. "Language and love: The story of India's oldest surviving Sanskrit newspaper"। ২০১৭-১১-১১। 
  4. Anand, Kunal। "India's Only Sanskrit Daily Newspaper Is Dying, And No One Cares"। India Times। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৮ 
  5. "Subscription instructions"Sudharma official website। Sudharma। ৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৮ 
  6. Sharath S. Srivatsa (২০০৬-০৭-০৩)। "Fighting against odds to keep the daily afloat"Online Edition of The Hindu, dated 2006-07-03। Chennai, India। ২০১২-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-১৬ 
  7. "Sudharma The only Sanskrit newspaper"। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২০ 
  8. Jan 25, Shrinivasa M. | TNN | Updated; 2020। "Editors of Mysuru-based Sanskrit daily selected for Padma Shri | Mysuru News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]