পাকিস্তান পিপলস মুসলিম লীগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাকিস্তান পিপলস মুসলিম লীগ (পিপিএমএল) হচ্ছে পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল। দলটি পূর্বে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (লাইক-মাইন্ডেড) নামে এবং সংক্ষিপ্ত রূপে পিএমএল (এলএম) পরিচিত ছিল।'[১] দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সিন্ধু প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরবাব গোলাম রহিম[২][৩][৪] ২০০৯ সালে পিএমএল-কিউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫] তবে ২০১৩ সালের মে মাসে দলটি পিএমএল-এন এর সাথে একীভূত হয়ে যায়।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে গুজরাটের চৌধুরীদের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের কারণে পিএমএল-কিউ'র বহু সদস্য হতাশ হয়ে পড়েছিল। চৌধুরীদের বিরুদ্ধে দলের সিনিয়র কোনো সদস্যের সাথে পরামর্শ না করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং দলকে অগণতান্ত্রিক "পারিবারিক দল"-এ রূপান্তরিত করার অভিযোগ করা হয়েছিল। এর ফলে তাদের অনেকেই আলাদা হয়ে নতুন দল গঠন করে।

আরবাব গোলাম রহিম, হামিদ নাসির চত্তা, খুরশিদ মাহমুদ কাসুরী, হুমায়ুন আক্তার খান, হারুন আক্তার খান, সেলিম সাইফুল্লাহ খান, হুমায়ুন সাইফুল্লাহ খান, গওহর আইয়ুব খান, ওমর আইয়ুব খান, কাশমালা তারিক, আতা মুহাম্মদ মানেকার মত পিএমএল (কিউ)-এর অনেক হেভিওয়েট নেতাসহ আরও অনেক সমমনা রাজনীতিবিদ একত্রিত হয়ে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা বিশ্বাস করতেন এই দলটি হচ্ছে পিএমএল (কিউ)-এর বৈধ সংস্করণ।

এর ফলে মূল দল পিএমএল (কিউ)-এর মধ্যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়। কারণ ২০১১ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পাঞ্জাবের ক্ষমতা হারালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে পিএমএল (কিউ)-র প্রায় অর্ধেকের মত সদস্য তাদের মূল দলকে বাদ দিয়ে পিএমএন (এন)-এর সাথে হাত মিলিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে সমর্থন করে।

২০১০ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ লাইক-মাইন্ডেড একটি ছত্রছায়ায় মুসলিম লীগের দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা শুরু করে এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের শেখ রশীদ আহমেদ, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (ফাংশনাল)-এর মখদুম সৈয়দ আহমেদ মেহমুদ এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের (জিয়া)-এর ইজাজ-উল-হক সহ মুত্তাহিদা মুসলিম লীগ নামে একটি নির্বাচনী জোট গঠন করে।

২০১২ সালের মে মাসে লাইক-মাইন্ড গ্রুপটি পিটিআই সহ পিপিপি এবং পিএমএল(কিউ)-এর ক্ষমতাসীন জোটকে পরাজিত করার করতে সব মুসলিম লীগ দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে পিএমএল-এন এর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী জোট গঠন করে।

২০১৩ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (লাইক-মাইন্ডেড) নাম পরিবর্তন করে দলের নাম পাকিস্তান পিপলস মুসলিম লীগ রাখে। [১] তবে শেষ অবধি দুই মাসের মধ্যেই দলটি বিলুপ্ত হয়ে যায় কারণ এটি ২০১৩ সালের মে মাসে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন)-এর সাথে একীভূত হয়ে যায়।[৬]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://dawn.com/2013/03/28/arbab-renames-his-party-as-peoples-muslim-league/
  2. "Haroon Akhtar named PML-LM SVP"। ২০১২-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৬ 
  3. "PML LM to support 20th Amend Bill"। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০ 
  4. "Likeminded elects Chattha chairman, Rahim president"। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০ 
  5. Under new management: Arbab elected new PML-Q likeminded president
  6. "Arbab Ghulam Rahim's PPML merges with PML-N"The Express Tribune। ২৬ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩