বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ২৬০০

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ২৬০০
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে অয়েল ট্যাংকারের সাথে লোকোমোটিভ ২৬০৫
ধরন ও উদ্ভব
শক্তির ধরনডিজেল-বৈদ্যুতিক
নকশাকারইলেক্ট্রো-মোটিভ ডিভিশন (ইএমডি)
নির্মাণকারীজেনারেল মোটরস ডিজেল
অর্ডার নম্বরসি৪৬৬
ক্রমিক সংখ্যাএ৪৭২৯–এ৪৭৪৪
মডেলইএমডি জিটি১৮এলএ-২
নির্মাণের তারিখ১৯৮৮
মোট উৎপাদন১৬টি
সবিস্তার বিবরণী
চাকার বিন্যাস:
 • এএআরএ১এ-এ১এ
গেজ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি)
চাকার ব্যাস৪০ ইঞ্চি (১.০১৬ মিটার)
লোকোর ওজন৭২ টন (৭১ লং টন; ৭৯ শর্ট টন)
জ্বালানির ধরনডিজেল
জ্বালানি সক্ষমতা৩,০০০ লিটার (৬৬০ ইম্পেরিয়াল গ্যালন; ৭৯০ ইউএস গ্যালন)
প্রাইম মুভারইএমডি ৮-৬৪৫ই৩সি
ইঞ্জিনের ধরনদুই-স্ট্রোক ভি৮
Aspirationরুট্স‌-টাইপ সুপারচার্জার
Traction motorsডিসি
সিলিন্ডার৮টি
সঞ্চালনডিজেল-বৈদ্যুতিক
লোকোর ব্রেকএয়ার
কাপলারনরওয়েজিয়ান
কার্যক্ষমতা
সর্বোচ্চ গতি১০৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৬৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা)
পাওয়ার আউটপুট১,৫০০ অশ্বশক্তি (১,১০০ কিলোওয়াট)
ট্র্যাকটিভ বলপ্রয়োগ৯৮,০০০ পা-বল (৪৩৫.৯৩ কিN)
কার্যকাল
পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
শ্রেণীএমইজি-১৫
নম্বর২৬০১–২৬১৬
বর্তমান মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
বিলিব্যবস্থাসচল

বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ২৬০০ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের মিটার-গেজ ডিজেল–বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভের একটি শ্রেণী। এই শ্রেণীর মোট ১৬টি লোকো ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হয়।[১][২]

এই শ্রেণীর লোকো যাত্রীবাহী ও মালবাহী উভয় ধরনের ট্রেনেই ব্যবহৃত হয়। প্রথমে আন্তঃনগর ট্রেনে এদের খুব ব্যবহার করা হলেও ২৯০০ শ্রেণীর লোকো আসার পর এদেরকে আন্তঃনগর ট্রেনে খুব কমই দেখা যায়। কন্টেইনারঅয়েল ট্যাংকার সহ অন্যান্য মালবাহী ট্রেনেও এদের ব্যবহার করা হয়।

প্রস্তুতকারকের বিবরণ[সম্পাদনা]

২৬০০ শ্রেণীর লোকো কানাডার জেনারেল মটরস ডিজেল (জিএমডি) উৎপাদন করে। এদের মডেল ইএমডি জিটি১৮এলএ-২, যা ২৯০০ শ্রেণীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।।[৩] এই ১৬টি লোকো ১৯৮৮ সালের মার্চ–এপ্রিলের দিকে বাংলাদেশে আসে।

যান্ত্রিক বিবরণ[সম্পাদনা]

এই লোকোগুলোতে ইএমডি ৮–৬৪৫ই৩সি প্রাইম মুভার ব্যবহার করা হয়েছে। এদের ক্ষমতা ১,৫০০ অশ্বশক্তি এবং এরা সর্বোচ্চ ১০৭ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। এদের চাকার বিন্যাস হলো এ১এ-এ১এ

এদেরকে বাংলাদেশের অন্যতম সফল লোকো শ্রেণী বলা হয়ে থাকে। ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় সকল লোকো সচল রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ২৯০০ সিরিজের লোকো বাংলাদেশে আসে। ২৯০০ ও ২৬০০ একই ধরনের লোকো। শুধু ২৯০০ শ্রেণীরগুলো হুন্দাই রোটেমের তৈরি। ২৭০০ শ্রেণীর লোকোর সাথেও এদের মিল রয়েছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার Keretapi Tanah Melayu জন্য ১৭টি, ঘানার ঘানা রেলওয়ের জন্য ১৪টি ও জেনারেল মোটরসের জন্য একটি, সবমিলিয়ে মোট ৩১টি ইএমডি জিটি১৮এলসি-২ মডেলের লোকো উৎপাদন করা হয়। এই লোকো ও ইএমডি জিটি১৮এলএ-২ লোকো প্রায় একই। তবে কিছু পার্থক্য রয়েছে যেমন, সেগুলোর চাকার বিন্যাস এ১এ–এ১এ না হয়ে সি–সি হয়েছে।

শ্রেণীকরণ এবং সংখ্যায়ন[সম্পাদনা]

এই লোকোগুলোর সংখ্যা–সিরিজ/শ্রেণী হচ্ছে ২৬০০, এবং এদেরকে ২৬০১ থেকে ২৬১৬ পর্যন্ত সংখ্যায়িত করা হয়েছে। এদের শ্রেণী-নাম/স্পেসিফিকেশন হচ্ছে “এমইজি-১৫”। এখানে, এম = মিটার-গেজ, ই = ডিজেল-ইলেক্ট্রিক, জি = জিএমডি এবং ১৫ = ১৫ × ১০০ = ১,৫০০ অশ্বশক্তি।

রং[সম্পাদনা]

  1. আকাশী নীল-হলুদ
  2. সবুজ-হলুদ
  3. গাঢ় নীল-হলুদ

রক্ষণাবেক্ষণ[সম্পাদনা]

২০০০ শ্রেণীর লোকোগুলোর বেজ চট্টগ্রাম রেল বিভাগে। এদেরকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Locomotive database - 1435mm.net"www.1435mm.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Analysis of Problems" (পিডিএফ)Bangladesh Railway। ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Strack, Don (অক্টোবর ২, ২০১৪)। "GM Locomotives Built In Canada"UtahRails.net। অক্টোবর ৩১, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৫, ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

উইকিমিডিয়া কমন্সে Category:Bangladesh Railway Class 2600 সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।