অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি
ভৌগলিক সীমাইউরেশীয় স্তেপ
সময়ব্রোঞ্জ যুগ
তারিখআনু. 2000 BC – 900 BC
পূর্বসূরীকর্ডেড অয়ার সংস্কৃতি, সিনতাশতা সংস্কৃতি, ওকুনেভ সংস্কৃতি
উত্তরসূরীকারাসুক সংস্কৃতি
ইন্দো-ইরানীয় অভিপ্রায়ণের সাথে সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতি: অ্যান্দ্রোনোভো, বিএমএসিইয়াজ সংস্কৃতিকে ইন্দো-ইরানীয় অভিপ্রায়ণের সাথে সম্পর্কিত ধরা হয়। গান্ধার গ্রেভ (বা সোয়াট), সিমেট্রি এইচ, কপার হোর্ডপেইন্টেড গ্রে অয়ার সংস্কৃতিসমূহকে দক্ষিণ এশিয়ার ইন্দো-আর্য অভিপ্রায়ণের সাথে সম্পর্কিত ধরা হয়।

অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি (Andronovo culture) হ'ল পশ্চিমে সাইবেরিয়া এবং মধ্য ইউরেশীয় স্তেপে আনু. খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-৯০০ অব্দে একই রকম ব্রোঞ্জ যুগীয় সংস্কৃতিসমূহের একটি সমষ্টি।[১] কিছু গবেষক এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক সমষ্টি (Archeological complex) বা প্রত্নতাত্ত্বিক দিগন্ত (Archeological horizon) হিসেবে অভিহিত করেন।[২] বা প্রত্নতাত্ত্বিক দিগন্ত হিসাবে অভিহিত করতে পছন্দ করেছেন । এর পূর্ববর্তী সিনতাশতা সংস্কৃতিকে (খ্রিস্টপূর্ব ২২০০-১৮০০ অব্দ) অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত করা হত, এখন এটিকে আলাদাভাবে প্রারম্ভিক অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৩]

বেশিরভাগ গবেষক অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তকে প্রাথমিক ইন্দো-ইরানীয় ভাষার সাথে সম্পর্কিত করেছেন যদিও এটি এর উত্তর প্রান্তের প্রাথমিক উরালীয়-ভাষী অঞ্চলটির সাথে সমাপতিত হতে পারে।[৪]

অ্যালেনটফ্‌ট প্রমুখ (২০১৫) এর দ্বারা পরিচালিত জিনগত গবেষণা অনুসারে, অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি এবং এর পূর্ববর্তী সিনতাশতা সংস্কৃতি আংশিকভাবে কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতির উত্তরসুরি, কেননা ইউরোপের প্রাথমিক কৃষকদের পূর্বপুরুষত্বের সাথে মিলে যাওয়া পূর্বপুরুষত্বের অনেকাংশই কর্ডেড অয়ার জনগোষ্ঠীর জিনোমে প্রাপ্ত মিশ্রণের অনুরূপ।[৫]

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

নামটি ক্রাসনোয়ারস্ক ক্রাই অঞ্চলের (৫৫°৫৩′ উত্তর ৫৫°৪২′ পূর্ব / ৫৫.৮৮৩° উত্তর ৫৫.৭০০° পূর্ব / 55.883; 55.700) অ্যান্দ্রোনোভো নামের একটি গ্রাম থেকে এসেছে, যখন রুশ প্রত্নতাত্ত্বিক আরকাদি তুগারিনভ ১৯১৪ সালে এখান থেকে প্রথম অবশেষসমূহ আবিষ্কার করেছিলেন। বেশ কয়েকটি সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যেখানে বাঁকানো অবস্থায় কঙ্কালকে রাখা হয় ও প্রচুর মৃৎশিল্পের দ্বারা সেগুলোকে সাজানো হয়। অ্যান্ড্রোনোভো সংস্কৃতিটি প্রথম ১৯২০ সালে রুশ প্রত্নতাত্ত্বিক সের্গেই টেপলৌখভ শনাক্ত করেছিলেন।[৬]

ডেটিং এবং উপসংস্কৃতি[সম্পাদনা]

অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তের কমপক্ষে চারটি উপ-সংস্কৃতি পৃথক করা হয়েছে, এগুলো দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়েছিল:

পূর্ব মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলির পূর্ববর্তী উপস্থিতির ক্রমবর্ধমান প্রমাণের কারণে কিছু গবেষক পূর্ব দিকে ছড়িয়ে পড়ার কালানুক্রম এবং মডেলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।[১১]

ভৌগোলিক পরিধি[সম্পাদনা]

এই সংস্কৃতির ভৌগোলিক পরিধি বিস্তৃত এবং সঠিকভাবে বর্ণনা করা কঠিন। তার পশ্চিমা প্রত্যন্তে, ভলগা-ইউরাল ইন্টারফ্লুভিয়ালে এটি প্রায় সমসাময়িক কিন্তু স্বতন্ত্র সংস্কৃতি স্রুবনায়া সংস্কৃতির (Srubnaya culture) সাথে উপরিপাতিত হয়। পূর্ব দিকে, এটি মিনুসিনস্কের নিম্নাঞ্চলে পৌঁছেছে। অনেক পশ্চিমে, ইউরাল পর্বতমালার দক্ষিণাঞ্চলের মতো পশ্চিমেও এই সংস্কৃতির কিছু প্রত্নস্থল রয়েছে, যা এর পূর্ববর্তী আফানাসেভো সংস্কৃতির অঞ্চলের সাথে উপরিপাতিত হয়। কোপেত দাগ (তুর্কমেনিস্তান), পামির পর্বতমালা(তাজিকিস্তান ) এবং তিয়ান শান ( কিরগিজস্তান) এর মতো অনেক দক্ষিণে অন্যান্য প্রত্নস্থল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উত্তর সীমানা অস্পষ্টভাবে তাইগা অঞ্চলের শুরুর সাথে মিলে যায়। সাম্প্রতিককালে, দূর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং-এ এই সংস্কৃতির উপস্থিতির প্রমাণও পাওয়া গেছে।[১১] ভলগা অববাহিকায় এই সংস্কৃতির সাথে স্রুবনায়া সংস্কৃতির (Srubnaya culture) সাথে মিথষ্ক্রিয়া সবচেয়ে তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী এবং ফেদেরোভো শৈলীর মৃৎশিল্প পশ্চিমে ভলগোগ্রাদ পর্যন্ত পাওয়া যায়। ম্যালোরি উল্লেখ করেছেন যে অ্যান্ড্রোনোভো সংস্কৃতির দক্ষিণে অবস্থিত তাজাবাগিয়াব সংস্কৃতি অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি বা স্রুবনায়া সংস্কৃতির শাখা হয়ে থাকতে পারে, আবার সেটা না হয়ে স্তেপ সংস্কৃতিসমূহ ও মধ্য এশীয় মরুদ্যান সংস্কৃতিসমূহের সংমিশ্রণেরও ফল হতে পারে (বিশকেন্ত সংস্কৃতিভক্‌ষ সংস্কৃতি)।[১]

প্রাথমিক সিনতাশতা-পেত্রোভকা দশায়,[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউরাল-কাজাখস্তান এর উত্তরাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় স্তেপেই সীমাবদ্ধ ছিল।[১] দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়ের দিকে আলাকুল দশা (খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০-১৫০০ অব্দ)[১২] ফেদোরোভো দশা (১৯০০-১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) [১৩] এবং চূড়ান্ত আলেকসেয়েভকা দশায় (১৪০০-১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি তীব্রভাবে পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে, আলতাই পর্বতমালার উচ্চতর ইয়েনিসেই নদী পর্যন্ত পূর্ব-পূর্বদিকে প্রসারিত হয়, এবং অ-ইন্দো-ইউরোপীয় ওকুনেভ সংস্কৃতির অঞ্চলকে দখল করে সেই অঞ্চলে অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে।

দক্ষিণ সাইবেরিয়া এবং কাজাখস্তানে, অ্যান্ড্রোনোভো সংস্কৃতির পরবর্তীতে আসে কারাসুক সংস্কৃতি (খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০-৮০০ অব্দ)। এর পশ্চিম সীমান্তে, এটি মোটামুটিভাবে স্রুবনায়া সংস্কৃতির সাথে সমকালীন, যা আংশিকভাবে আবাশেভো সংস্কৃতি (Abashevo culture) থেকে উদ্ভূত। এই অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত প্রাচীনতম ঐতিহাসিক জনগোষ্ঠী হচ্ছে কিমেরীয়, শক/সিথীয়রা এবং সিগিনী জনগোষ্ঠীআসিরীয় নথিতে আলেকসেয়েভকা সংস্কৃতির (অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তের অন্তর্ভূক্ত) পতনের পর কিমেরীয় ও শক/সিথীয়দের কথা উঠে আসে। এরা খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতকে ইউক্রেনে পাড়ি জমায় (আরও দেখুন ইউক্রেনীয় প্রস্তরস্তম্ভ), খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতকে ককেশাস হয়ে আনাতোলিয়াআসিরিয়ায় প্রবেশ করে, এবং সম্ভবত থ্রেসীয় হিসেবে (দেখুন থ্রেকো-কিমেরীয়) পশ্চিমের দিকে গিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। সিগিনী জনগোষ্ঠীর কথা উঠে আসে ঐতিহাসিক হেরোডোটাসস্ট্রাবোর লেখায়। হেরোডোটাসের বর্ণনা অনুযায়ী সিগিনী জনগোষ্ঠী বাস করত দানিউব নদীর অপর পারে (উত্তর দিকে), থ্রেসীয়দের বসতিরও উত্তরে; স্ট্রাবোর বর্ণনায় এরা থাকত ক্যাস্পিয়ান সাগরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। হেরোডোটাস এবং স্ট্রাবো উভয়ই সিগিনী জনগোষ্ঠীকে ইরানীয় হিসাবে চিহ্নিত করেন।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতিতে ভাসমান সম্প্রদায় ও ছোট ছোট গ্রামে বসতি স্থাপন করা সম্প্রদায় উভয়ই ছিল। বসতিগুলো বিশেষতঃ এই সংস্কৃতির মধ্য এশীয় অংশগুলোতে দেখা যায়। এদের দুর্গসমূহে ছিল খাঁদ, মাটির বাঁধ, এবং সেই সাথে কাঠ দিয়ে নির্মিত ছুঁচালো বেড়া, এরকম ২০টি দুর্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। অ্যান্দ্রোনোভোর গ্রামগুলিতে সাধারণত দুই থেকে বিশটি বাড়ি থাকত, তবে প্রায় একশত বাড়ি বিশিষ্ট বসতিরও সন্ধান পাওয়া গেছে। অ্যান্দ্রোনোভো বাড়িগুলি সাধারণত পাইন, সিডার বা বার্চ থেকে তৈরি করা হত এবং সাধারণত নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে তৈরি করা হত। বৃহত্তর বাড়িগুলি আকারে ৮০ থেকে ৩০০ বর্গমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং এগুলো সম্ভবত যৌথ পরিবারের বাড়ি ছিল, যৌথ পরিবার ছিল প্রাথমিক ইন্দো-ইরানীয়দের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।[১]

অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির প্রাণিসম্পদের মধ্যে ছিল গরু, ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল এবং উট। বসতি অঞ্চলে গৃহপালিত শূকর উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত, শূকর এই সংস্কৃতির ভাসমান অর্থনীতির অঞ্চলেই দেখা যেত। অ্যান্দ্রোনোভোর অবশেষের মধ্যে গবাদি পশুদের হার তাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী স্রুবনায়াদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।[১] অ্যান্দ্রোনোভো প্রত্নস্থলে যে ঘোড়াটি পাওয়া যায় তা অশ্বচালনা এবং গাড়ি টানা উভয় কার্যের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। অ্যান্দ্রোনোভো অর্থনীতিতে কৃষিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।[১৪] ধাতববিদ্যায় আঞ্চলিক অগ্রগতির জন্য অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি উল্লেখযোগ্য। তারা খ্রিস্টপূর্ব ১৪শ শতাব্দী থেকে আলতাই পর্বতমালায় তামার আকরিক খনন করেছিল।[১৫] এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ব্রোঞ্জের জিনিস ছিল এবং তামার কাজ করার জন্য ওয়ার্কশপগুলি বিদ্যমান ছিল।

অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতিতে মৃতদেহকে উভয়কে বৃত্তাকার এবং আয়তক্ষেত্রাকার কুর্গান (ট্যুমুলাস) এর নীচে কাঠ বা পাথরের কক্ষগুলিতে সমাহিত করা হয়েছিল। কবরস্থানের সাথে ছিল পশুসম্পদ, চাকাযুক্ত যানবাহন, ঘোড়ার লাগাম, অস্ত্র, সিরামিক এবং অলঙ্কার। সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবশেষগুলির মধ্যে রথের অবশেষগুলো রয়েছে যা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দ বা তারও পূর্বের। জোড়া ঘোড়ার দলের সাথে রথগুলি পাওয়া যায়, এবং একটি "মাথা এবং খুড়" কাল্টে ( "head and hooves" cult) ঘোড়ার আনুষ্ঠানিক সমাধিও পাওয়া যায়।[১] অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতিতে মৃতদেহকে জোড়ায় জোড়ায় সমাহিত করা হত, এক্ষেত্রে জোড়া প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে, অথবা প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু নিয়ে তৈরি হত।[১৬]

মঙ্গোলিয়া এবং কাজাকস্থান মধ্যবর্তী অঞ্চলের রাশিয়ার আলতাই ক্রাই অঞ্চলের কিটমানোভোতে একটি সমাধিতে প্রাপ্ত খ্রিস্টপূর্ব ১৭৪৬-১৬২৬ অব্দের একজন নারী অবশেষের দাঁত থেকে ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাক্টেরিয়ার একটি স্ট্রেইন নিষ্কাশন করা হয়, যা একই সমাধিতে তার দুই সন্তানের মধ্যেও পাওয়া যায়।[১৭] এই স্ট্রেনের জিনগুলি ফ্ল্যাজেলিন প্রকাশ করে যা মানুষের রোগ-প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়াটিকে চালু করে। তবে অন্যান্য প্রাগৈতিহাসিক ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়াগুলির স্ট্রেইনের তুলনায় এই স্ট্রেইনটি এত দুর্বলভাবে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে যে; পরবর্তীকালে ঐতিহাসিক প্লেগ একেবারেই তার ভাইরুলেন্স এর জন্য ফ্ল্যাজেলিন প্রকাশ করে না। কিটমানোভো স্ট্রেইন তাই একটি প্লেগ রোগের দিকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়াধীনে ছিল[১৮] (যদিও এটা প্লেগ ছিল না)।[১৯] সেই কবরের তিনজন একই সাথে মারা গিয়েছিল এবং গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই প্যারা-প্লেগই তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল।[২০]

সোমরস বা সোমের উদ্ভব সম্ভবত অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতিতেই।[২১]

ইন্দো-ইরানীয়দের সাথে জাতিভাষাগত সম্পর্ক[সম্পাদনা]

পন্ডিতদের মধ্যে এটি প্রায় সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে, অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতিটি ইন্দো-ইরানীয় ছিল;[১][২২] খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দের দিকে স্পোক যুক্ত চাকার রথের আবিষ্কারের কৃতিত্বও এই সংস্কৃতিকে দেয়া হয়।[২৩] অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি ও ইন্দো-ইরানীয়দের মধ্যে যোগসূত্র প্রতিপন্ন হয় অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্ত জুড়ে ইরানীয় নামের স্থানসমূহের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, এবং খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দে সমগ্র অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্ত জুড়ে বিভিন্ন ইরানি জনগোষ্ঠী যেমন শক (সিথীয়), সারমাশীয়অ্যালানদের আধিপত্য।

উচ্চতর ইউরাল নদীতে চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলে অবস্থিত প্রত্নস্থল সিনতাশতা রথের সমাধি এবং ঘোড়ার সমাধি সমৃদ্ধ কুরগান (সমাধির উপর তৈরিকৃত ট্যুমুলাস বা স্তুপ) এর জন্য বিখ্যাত। এই সিনতাশতাকে সিনতাশতা সংস্কৃতির টাইপ সাইট বা আদর্শ প্রত্নস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা "অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তের" সর্বপ্রথম অংশসমূহের একটি ছিল।[২৪] অনুমান করা হয় যে, তাদের ভাষা তখনও প্রত্ন-ইন্দো-ইরানীয় পর্যায়ে ছিল।

অ্যান্দ্রোনোভোর প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ এবং ইন্দো-ইরানীয়দের গ্রন্থগত প্রমাণের (যেমন বেদআবেস্তা) মধ্যে তুলনা বারবার অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির ইন্দো-ইরানীয় পরিচয়কে সমর্থন করেছে। বৃহত্তর ইরান এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ইন্দো-ইরানীয়করণের আধুনিক ব্যাখ্যাগুলি এই ধারণাটির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে গড়ে উঠেছে যে অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি দক্ষিণমুখী হয়ে মধ্য এশিয়ায় প্রসারিত হয়েছিল অথব অন্তত সেই অঞ্চলের ব্রোঞ্জ যুগীয় নগরকেন্দ্রসমূহ যেমন ব্যাক্ট্রিয়া-মারজিয়ানা প্রত্নতাত্ত্বিক সমষ্টি জুড়ে ভাষাগত আধিপত্য অর্জন করেছিল। অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির প্রথম দিকের পর্যায়গুলি ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগত ঐক্যের সাথে সম্পর্কিত বলে বিবেচনা করা হয়, এবং এই সংস্কৃতির পরবর্তী সময়ে ইরানীয় ভাষাসমূহের শাখা তৈরি হয়।[১] নরসিমহান প্রমুখ (২০১৮) গবেষণাটি অনুসারে, ব্যাক্ট্রিয়া মারজিয়ানা প্রত্নতাত্ত্বিক সমষ্টি (BMAC) এর দিকে অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির প্রসারণ ঘটে এশিয়া মধ্যস্থ পার্বত্য পথ ( Inner Asia Mountain Corridor) হয়ে।[২৫]

হাইবার্টের মতে নিকট প্রাচ্যে[২৬] বা কোপেত দাগ এবং পামির-কারাকোরামের মধ্যবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণে[২৭][ক] স্তেপ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যগত কাষ্ঠসমাধি (Timber graves) অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ব্যাক্ট্রিয়া মারজিয়ানা প্রত্নতাত্ত্বিক সমষ্টি (BMAC)-এর ইরানে এবং সিন্ধু উপত্যকার প্রান্তসীমায় বিস্তৃতি হল "ইরান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্দো-ইরানীয় ভাষাভাষীর উদ্ভবের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পর্কের জন্য সর্বোত্তম প্রার্থী,"[২৮]। ম্যালোরি অ্যান্দ্রোনোভো থেকে উত্তর ভারতে বিস্তারের অসুবিধা বা জটিলতাকে স্বীকার করেছেন এবং ইন্দো-আর্যদেরকে বিশকেন্ত ও ভক্‌ষ সংস্কৃতির মতো প্রত্নস্থলের সাথে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা "ইন্দো-ইরানীয়দেরকে কেবল মধ্য এশিয়া পর্যন্তই নিয়ে যায়, মিড, পারস্য বা ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠীর মত অত দূরে নিয়ে যেতে পারেনা"। তিনি কালটুরকুগেল (culture bullet) মডেলটি তৈরি করেন যেখানে ইন্দো-ইরানীয়রা ব্যাক্ট্রিয়া-মার্জিয়ানার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করে নেয়, কিন্তু ইরান ও ভারতে যাওয়ার সময় তারা তাদের ভাষা ও ধর্ম সংরক্ষণ করে।[২৬][২৮] ফ্রেড হাইবার্টও সম্মত হন যে ইরান ও সিন্ধু উপত্যকার প্রান্তসীমায় বিএমএসি এর বিস্তৃতি হচ্ছে "ইরান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্দো-ইরানীয় ভাষাভাষীদের উদ্ভবের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পর্কের সেরা প্রার্থী।"[২৮]

মিতানি এবং বৈদিক ভারতে ইন্দো-আর্যদের দ্বারা রথের ব্যবহার, এর পূর্বে নিকট প্রাচ্য এবং হরপ্পান ভারতে রথের অনুপস্থিতি এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৭শ-১৬শ শতাব্দীতে অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তের প্রত্নস্থল সিনতাশতায় রথ ব্যবহারের প্রমাণের ভিত্তিতে কুজমিনা (১৯৯৪) যুক্তি দেন যে, অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি ইন্দো-ইরানীয় ছিল। ক্লেইন (১৯৭৪) এবং ব্রেন্টজেস (১৯৮১) দেখেন, খ্রিস্টপূর্ব ১৫শ শতাব্দীর মধ্যে মিতানিতে রথ ব্যবহারকারী ইন্দো-আর্যদের উপস্থিত হওয়ার কারণে ইন্দো-ইরানীয় শনাক্তকরণের জন্য অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি বেশি বিলম্বিত। তবে (অ্যান্থনি ও ভিনোগ্রাদভ ১৯৯৫) চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলে ক্রিভয়ে হ্রদে একটি রথ-সমাধি খুঁজে পান যা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দের।[২৯]

ইউজিন হেলিমস্কি প্রস্তাব দিয়েছেন, অ্যান্দ্রোনোভো জনগোষ্ঠী ইন্দো-ইরানীয় ভাষার একটি পৃথক শাখার ভাষায় কথা বলত। তিনি দাবি করেন যে, ফিনো-উগ্রিক ভাষায় ইন্দো-আর্য শব্দসমূহের ধার নেওয়া এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে।[৩০] ভ্লাদিমির নেপলসকিখ প্রস্তাব দিয়েছেন যে ফিনো-ইউগ্রিক ভাষাসমূহে এই ইন্দো-আর্য শব্দসমূহের প্রবেশ ইঙ্গিত দেয় যে ভাষাটি বিশেষত ইন্দো-আর্য ধরনের ছিল।[৩১]

যেহেতু ইন্দো-ইরানীয় শব্দের পুরানো রূপগুলি ইউরালিক এবং প্রত্ন-ইয়েনিসিয়ান ভাষায় গ্রহণ করা হয়েছে, তাই অন্য কয়েকটি ভাষাতেও (হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলো সহ) যে তাই হবে সে ব্যাপারটি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না, অন্তত অ্যান্দ্রোনোভো অঞ্চলের ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে, যেমন ইউরালিক এবং ইয়েনিসিয়ান।[৩২]

শারীরিক নৃতত্ত্ব[সম্পাদনা]

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বর্ণনা করেছেন, অ্যান্দ্রোনোভো জনগোষ্ঠীর লোকেরা ককেশীয় বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদর্শন করে।[২৩] অন্যান্য গবেষণাযগুলো নিশ্চিত করে যে, বর্তমান চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় ব্রোঞ্জ যুগের সময় ককেশয়েড এবং মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমা ছিল পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার আলতাই পর্বতমালার পূর্ব ঢালে।[৩৩][৩৪] কিছু ককেশয়েড প্রভাব উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ায়ও প্রসারিত হয়েছিল,[৩৫] এবং ব্রোঞ্জ এবং লৌহ যুগে বর্তমান কাজাখস্তানের জনসংখ্যা ককেশয়েড ছিল।[৩৬]

প্রত্নতাত্ত্বিক তদন্ত একইভাবে প্রস্তাব করে, মধ্য এশিয়া এবং আলতাই পর্বতমালার স্তেপ অঞ্চলে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দের শেষদিকে প্রথম খাদ্য উৎপাদন শুরু হয়, এবং সেই অঞ্চলে প্রথম যারা প্রবেশ করে তারা ছিল আফানাসেভো সংস্কৃতির ককেশয়েড যারা আরাল সাগর অঞ্চল (কেল্টেমিনার সংস্কৃতি) থেকে এসেছিলেন।[৩৭]

অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির দেহাবশেষ থেকে জানা যায় তারা ছিল দীঘল মস্তক (dolichocephalic) বিশিষ্ট ইউরোপীয়-সদৃশ (Europoid) জনগোষ্ঠী। তাদের মাথার খুলি পূর্ববর্তী ফাতিয়ানোভো-বালানভো সংস্কৃতি, আবাশেভো সংস্কৃতি এবং সিনতাশতা সংস্কৃতি এবং সমসাময়িক স্রুবনায়া সংস্কৃতির মাথার খুলিগুলির খুব মিল পাওয়া যায়। এগুলি ইয়াম্নায়া সংস্কৃতি, পলতাভকা সংস্কৃতি, ক্যাটাকোম্ব সংস্কৃতি এবং পতাপভকা সংস্কৃতির মাথার খুলি থেকে কিছুটা পৃথক, যেগুলো একই রকম বলিষ্ঠ ইউরোপীয়-সদৃশ আকারের হলেও কম দীঘল মস্তকবিশিষ্ট। আবাশেভো, সিনতাশতা, অ্যান্দ্রোনোভো এবং স্রুবনায়া জনগোষ্ঠীর শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তীতে সিথীয়দের মধ্যে দেখা যায়।[খ] ইরানীয় ও ইন্দো-আর্য অভিবাসনের মধ্য দিয়ে এই দৈহিক প্রকরণটি দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয়েছিল যা সেই অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে মিশ্রিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আধুনিক জনগোষ্ঠী গঠনে অবদান রেখেছিল।[গ]

জিনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

২০০৪ সালের একটি গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রোঞ্জ এবং লৌহ যুগের সময়কালে কাজাখস্তানের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী (ব্রোঞ্জ যুগের সময় অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির অংশ) পশ্চিম ইউরেশীয় বংশোদ্ভূত ছিল (mtDNA হ্যাপলোগ্রুপ U, H, HV, T, I ও W এর বাহক) এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৩শ থেকে ৭ম শতাব্দীর পূর্বে, সকল কাজাখ নমুনা ইউরোপীয় বংশের ছিল।[৪০]

২০০৯ সালে অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি, কারাসুক সংস্কৃতি, তাগার সংস্কৃতি এবং তাশতিক সংস্কৃতি - এই প্রাচীন সাইবেরিয়ার সংস্কৃতিগুলো নিয়ে একটি জিনতাত্ত্বিক গবেষণা হিউম্যান জেনেটিক্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেটায় খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ থেকে ১০০০ অব্দ পর্যন্ত দক্ষিণ সাইবেরিয়ার অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্তের দশজনের অবশেষ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে নয়জনের থেকে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ নিষ্কাশন করা হয়, যাদের মধ্যে হ্যাপ্লোগ্রুপ U4 এর দুটো নমিনা, এবং হ্যাপ্লোগ্রুপ Z1, T1, U2e, T4, H, K2b এবং U5a1 এর একটি নমুনা পাওয়া যায়। একটি অবশেষ থেকে ওয়াই-ডিএনএ নিষ্কাশন করে দেখা যায় তা ওয়াই-ডিএনএ হ্যাপ্লোগ্রুপ C (কিন্তু C3 নয়) এর অন্তর্গত, যেখানে অন্য দুজনের থেকে ওয়াই-ডিএনএ নিষ্কাশন করে দেখা যায় তারা হ্যাপ্লোগ্রুপ R1a1a এর অন্তর্গত, যা প্রারম্ভিক ইন্দো-ইউরোপীয়দের পূর্বমুখী অভিপ্রায়ণকে চিহ্নিত করে। জরিপ করা ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র দু'জন (বা ২২%) মঙ্গোলয়েড হিসাবে নির্ধারিত হয়, যেখানে সাতজন (বা 78%) নির্ধারিত হয় ককেশয়েড হিসাবে, যাদের বেশিরভাগই প্রধানত ফর্সা চোখফর্সা চুল বিশিষ্ট ফর্সা ত্বকের অধিকারী ছিল।[২৩]

২০১৫ সালের জুন মাসে প্রকাশিত নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির একজন পুরুষ ও তিনজন নারী অবশেষ নিয়ে গবেষণা করা হয়। পুরুষটি থেকে নিষ্কাশন করা ওয়াই-ডিএনএ ছিল হ্যাপ্লোগ্রুপ R1a1a1b এর অন্তর্গত। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ নিষ্কাশন করে দেখা যায় তা হ্যাপ্লোগ্রুপ U4 এবং হ্যাপ্লোগ্রুপ U2e এর দুটো করে নমুনাকে নির্দেশ করে।[৪১][৪২] অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির লোকেদেরকে সিনতাশতা সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জিনতাত্ত্বিকভাবে সম্পর্কিত হিসেবে পাওয়া গেছে, যারা আবার কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতির লোকেদের সাথে জিনগতভাবে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ছিল, যা থেকে বোঝা যায়, সিনতাশতা সংস্কৃতি কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতির পূর্বমুখী সম্প্রসারণের প্রতিনিধিত্ব করে। কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতির লোকেরা জিনগতভাবে বিকার সংস্কৃতি, উনেটিসে সংস্কৃতি, এবং বিশেষ করে নর্ডীয় ব্রোঞ্জ যুগীয় সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জিনগত সম্পর্ক দেখায়। সিনতাশতা/ অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি, নর্ডীয় ব্রোঞ্জ যুগ এবং ঋগ্বেদী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য পাওয়া গেছে।[ঘ]

২০১৮ সালের মে মাসে নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি জিনগত গবেষণায় খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দে সমাহিত করা একজন অ্যান্দ্রোনোভো নারীর দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণা করে দেখা যায় তিনি হ্যাপ্লোগ্রুপ U2e1h (mtDNA) এর বাহক ছিলেন।[৪৩]

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি জিনতাত্ত্বিক গবেষণায়, অ্যান্দ্রোনোভো দিগন্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে অবশেষ পরীক্ষা করা হয়েছিল। নিষ্কাশিত ওয়াই-ডিএনএ এর বেশিরভাগ অংশ R1a1a1b বা এর বিভিন্ন সাবক্লেইড (বিশেষত R1a1a1b2a2a) এর অন্তর্গত। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ থেকে নিষ্কাশিত বেশিরভাগ নমুনা হল হ্যাপ্লোগ্রুপ U এর অন্তর্গত, যদিও অন্যান্য হ্যাপ্লোগ্রুপও পাওয়া যায়। অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির লোকেদেরকে কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতি, পতাপভকা সংস্কৃতি, সিনতাশতা সংস্কৃতি এবং স্রুবনায়া সংস্কৃতির লোকদের সাথে জিনগতভাবে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত পাওয়া যায়। এই সংস্কৃতিসমূহের লোকেরা ইয়াম্নায়া সংস্কৃতি এবং মধ্য ইউরোপীয় মধ্য নব্যপ্রস্তরযুগীয় লোকদের মিশ্র পূর্বপুরুষত্বের বাহক ছিল।[ঙ][চ] অ্যান্দ্রোনোভোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লোকেদেরকে সিনতাশতা সংস্কৃতির লোকেদের সাথে "জিনগতভাবে অত্যধিকভাবে একজাতীয়" এবং "জিনগতভাবে প্রায় অপৃথকায়নযোগ্য" হিসাবে দেখা গেছে। জিনগত উপাত্ত নির্দেশ করে যে, অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি এবং এর পূর্বপুরুষ সিনতাশতা সংস্কৃতি শেষ পর্যন্ত স্তেপ অঞ্চলের স্তেপ পূর্বপুরুষত্ব যুক্ত মধ্য ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর পুনরায় স্তেপ অঞ্চলে অভিপ্রায়ণের ফল।[ছ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. সারিয়ানিদি বলেছেন যে "ব্যাক্ট্রিয়া এবং মার্জিয়ানা থেকে প্রাপ্ত প্রত্যক্ষ প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যগুলি সন্দেহের ছায়া ছাড়াই প্রমাণ করে যে অ্যান্দ্রোনোভো জনগোষ্ঠীগুলি ন্যূনতম পরিমাণে ব্যাক্ট্রিয়া এবং মার্জিয়ানা মরুদ্যানে প্রবেশ করেছে"।[২৬]
  2. "ভারি বিস্তৃত মুখের প্রত্ন-ইউরোপয়েড টাইপ হল নিপার নদীর পশ্চিম তীর, ডনেটস ও ডন নদীর অঞ্চলে মারিওপোল-পরবর্তী সংস্কৃতিসমূহ যেমন স্রেডনি স্টগ সংস্কৃতি এবং পিট-গ্রেভ সংস্কৃতির লোকেদের বৈশিষ্ট্য... টিম্বার-গ্রেভ সংস্কৃতি বা স্রুবনায়া সংস্কৃতির (টিম্বার-গ্রেভ সংস্কৃতি স্রুবনায়া সংস্কৃতি নামেও পরিচিত) সময়কালে ইউক্রেইনের জনগোষ্ঠীর চেহারা ছিল মাল্টি-রোলার অয়ার সংস্কৃতি (ব্যাবিনো) এর দীঘল মস্তক (dolichocephalous) ও চিকন চেহারার জনগোষ্ঠী এবং ভোলগা অঞ্চলের টিম্বার-গ্রেভ বা স্রুবনায়া সংস্কৃতির অধিকতর ভারি ও বিস্তৃত চেহারার জনগোষ্ঠীর মাঝামাঝি... নৃতাত্ত্বিক তথ্যের সাহায্যে ভোলগা অঞ্চল থেকে ইউক্রেনে অভিপ্রায়ণের মাধ্যমে স্রুবনায়া সংস্কৃতি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বেলোজারকা পর্যায়ের সময় (পশ্চিম ইউক্রেইনে) দীঘল মস্তক ও চিকন চেহারার ধরণটি ব্যাপকভাবে প্রাধান্য পায়। পন্টিক-স্তেপ অঞ্চল ও বন্য-স্তেপ অঞ্চলের স্রুবনায়া, বেলোজারকা এবং সিথীয় সংস্কৃতিসমূহের অবশেষগুলোর মাথার খুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া গেছে... এটি ইরানীয় ভাষাভাষী সিথীয় জনগোষ্ঠী এবং ইউক্রেইনের স্রুবনায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যকার জিনতাত্ত্বিক ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে... স্রুবনায়া সংস্কৃতি ছিল নব্যপ্রস্তরযুগীয় নিপার-ডনেটস সংস্কৃতি ও স্রেডনি স্টগ সংস্কৃতির উত্তরসুরি। স্রুবনায়া সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর লোকেদের স্বতন্ত্র ইউরোপয়েড বৈশিষ্ট্য ছিল, তারা লম্বা ছিল, এবং তাদের ছিল ভারি ও বৃহৎ মাথার খুলি... পলতাভকা সংস্কৃতির সাথে প্রায় একইসাথে আবাসেভো সংস্কৃতির গোষ্ঠীগুলো বন্য-স্টেপ অঞ্চলে উপস্থিত হয়। আবাসেভানদের দীঘল মস্তক ও সরু চেহারা ছিল। এই জনগোষ্ঠীর শেকড় মধ্য ভোলগার ফাতায়ানোভো-বালানোভো সংস্কৃতিতে এবং মধ্য ইউরোপে... প্রাথমিক টিম্বার-গ্রেভ সংস্কৃতির (পটপভকা সংস্কৃতি) জনগোষ্ঠী ছিল বিভিন্ন পূর্বপুরুষগত উপাদানের মিশ্রণের ফলাফল। এই উপাদানগুলোর মধ্যে একটি ছিল খুব প্রভাবশালী, যার পূর্বসুরি ছিল পিট-গ্রেভ-পলতাভকা প্রকরণ। দ্বিতীয় প্রকরণটি ছিল দীঘল মস্তক ইউরোপয়েড প্রকরণ যা জিনতাত্ত্বিকভাবে সিনতাশতা জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত... স্তেপের নৃসাংস্কৃতিক প্রক্রিয়ায় আরেকটি গোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব ছিল, তারা ছিল পকরভস্কি প্রকরণ (Pokrovskiy)। তারা ছিল দীঘল মস্তক ও চিকন চেহারার ইউরোপয়েড, যারা আবাশেভানদের নিকটস্থ ছিল, কিন্তু পতাপভকানদের থেকে ভিন্ন ছিল... স্রুবনায়া সংস্কৃতির বেশিরভাগ খুলি মাঝারি-প্রশস্ত চেহারার আর দীঘল মস্তকের। এখান থেকে স্রুবনায়া জনসংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পিট-গ্রেভ ও পলতাভকা উপাদানের ভূমিকা প্রমাণিত হয়... কেউ কেউ ইউরাল অঞ্চলের স্রুবনায়া সংস্কৃতির জনগণ এবং ইউরাল ও পশ্চিম কাজাখস্তানের আলাকুল সংস্কৃতির জনগণের মধ্যে জিনগত সংযোগ অনুমান করতে পারে যা সিনতাশতা সংস্কৃতির দীঘল মস্তকীয় সরু চেহারার সাথে সম্পর্কিত... অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির জনগণের পশ্চিম অংশ স্রুবনায়া সংস্কৃতির জনগণের দীঘল মস্তক প্রকরণের।"[৩৮]
  3. "ইউরেশীয় স্টেপ যাযাবর শক জনগোষ্ঠী নিকট প্রাচ্য থেকে আসা জনগোষ্ঠী ছিল না, বরং এরা ছিল অ্যান্দ্রোনোভো জনগোষ্ঠীর সরাসরি উত্তরসুরি, এবং ইরান ও ভারতের ইন্দো-ইরানীয়-ভাষী জনগোষ্ঠীর মিশ্র বৈশিষ্ট্যটি সেই অঞ্চলের আদিম অধিবাসীদের মধ্যে নতুন জনসংখ্যার ছড়িয়ে পড়ার ফলাফল যারা নতুন ভাষা নিয়ে এসেছিল। এই উপসংহারটি ইন্দো-ইরানীয় ঐতিহ্যের দ্বারা প্রমাণিত হয়। আবেস্তায় বর্ণিত আর্যরা লম্বা, ফর্সা চুল সহ ফর্সা ত্বক বিশিষ্ট। তাদের নারীদের ছিল ফর্সা চোখ, ফর্সা চুলের বেণী... ঋগ্বেদে ফর্সা ত্বক সহ ভাষাটাও আর্যদের একটি বৈশিষ্ট্য, যা তাদেরকে কৃষ্ণ বর্ণের, ক্ষুদ্র দেহের ও ভিন্ন ভাষাভাষী দাস-সস্যু থেকে পৃথক করে, এবং আর্যরা বৈদিক দেবদেবীতে বিশ্বাস করত... বৈদিক আর্যদের মধ্যে সামাজিক বিভাজনের ভিত্তি ছিল গায়ের রং, তাদের সমাজ আক্ষরিক অর্থের বর্ণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সামাজিক দলে ভাগ হয়। আর্য পুরোহিত (ব্রাহ্মণ) ও যোদ্ধারা (ক্ষত্রিয়) ছিল কৃষ্ণবর্ণের অধিকারী আদিবাসী দাসদের থেকে উচ্চবর্ণের..."[৩৯]
  4. "ইউরোপীয় শেষ নব্যপ্রস্তরযুগীয় এবং ব্রোঞ্জযুগীয় সংস্কৃতিসমূহ যেমন কর্ডেড অয়ার সংস্কৃতি, বেল বিকার সংস্কৃতি, ইনেটিসে সংস্কৃতি এবং স্ক্যান্ডিনেভীয় সংস্কৃতিসমূহ একে অপরের সাথে খুব সদৃশ ছিল... কর্ডেড অয়ার এবং সিনতাশতা সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য পর্যবেক্ষণ করা যায় তা নির্দেশ করে তাদের জিনতাত্ত্বিক উৎস্য একই... ব্রোঞ্জযুগীয় ইউরোপীয়দের মধ্যে সর্বাধিক ল্যাক্টোজ সহনশীলতার হার পাওয়া যায় কর্ডেড কর্ডেয় অয়ার এবং তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত স্ক্যান্ডিনেভীয় ব্রোঞ্জযুগীয় সংস্কৃতিসমূহে... পরবর্তী ব্রোঞ্জ যুগে মধ্য এশিয়ায় উত্থিত অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি জিনগতভাবে সিনতাশতা সংস্কৃতির জনগোষ্ঠীর সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত ছিল, এবং ইয়াম্নায়া এবং আফানাসিয়েভো সংস্কৃতির লোকেদের সাথে এদের পার্থক্য ছিল স্পষ্ট। তাই অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতি ছিল সিনতাশতা সংস্কৃতির জিন পুলের অস্থায়ী ও ভৌগোলিক সম্প্রসারণ...সিনতাশতা/অ্যান্দ্রোনোভো আচারের মধ্যেও অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, যা ঋগ্বেদে বর্ণিত হয়েছে, এবং এরকম সাদৃশ্য নর্ডিক ব্রোঞ্জযুগীয় সংস্কৃতিসমূহেও পাওয়া যায়।"[৪১]
  5. "আমরা সিনতাশতা সংস্কৃতির দেহাবশেষগুলোর প্রধাণ গুচ্ছকে পর্যবেক্ষণ করেছি যা স্রুবনায়া, পতাপভকা ও অ্যান্দ্রোনোভো সংস্কৃতির সদৃশ ছিল, এবং একে ইয়াম্নায়া সম্পর্কিত আনাতোলীয় নব্যপ্রস্তরযুগীয় (ইউরোপীয় কৃষিবিদ-সম্পর্কিত) পূর্বপুরুষত্বের মিশ্রণ হিসেবে মডেল করা হয়।"[৪৪]
  6. "জিনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয় যে অ্যান্দ্রোনোভো সমষ্টির মধ্যে পড়া দেহাবশেষসমূহকে পতাপভকা, সিনতাশতা ও স্রুবনায়া সংস্কৃতির প্রধাণ গুচ্ছের সাথে সদৃশ, এবং একে ইয়াম্নায়া সম্পর্কিত প্রাথমিক ইউরোপীয় কৃষিবিদ সম্পর্কিত বা আনাতোলীয় কৃষিবিদ সম্পর্কিত পূর্বপুরুষত্ব হিসেবে মডেল করা হয়।"[৪৪]
  7. "এই গ্রুপের অনেক নমুনা ছিল কর্ডেড অয়ার, স্রুবনায়া, পেত্রভকা, সিনতাশতা এবং অ্যান্দ্রোনোভো সমষ্টির শিল্পকর্মের সাথে একত্রে সমাহিত ব্যক্তির দেহাবশেষ, যাদের সবকটিই স্তেপ_ইএমবিএ (প্রাথমিক মধ্য ব্রোঞ্জ যুগীয় স্তেপ জনগোষ্ঠী) পূর্বপুরুষত্ব এবং ইউরোপীয় মধ্য নব্যপ্রস্তরযুগীয় কৃষিবীদ (ইউরোপ_এমএন বা ইউরোপীয় মধ্য নব্যপ্রস্তরযুগীয়) জনগোষ্ঠী পূর্বপুরুষত্বের মিশ্রণের বাহক । এটি পূর্বের গবেষণার ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা পূর্ব ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর পশ্চিমমুখী অভিপ্রায়ণ এবং স্থানীয় ইউরোপীয় কৃষিবিদদের সাথে মিশ্রণ দেখায়, এছাড়া ইউরাল পর্বতমালার দিকে পূর্বমুখী পুনরাভিপ্রায়ণের ঘটনাও ছিল।"[৪৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mallory 1997
  2. Anthony, David W. (২০০৭)। The Horse The Wheel And Language. How Bronze-Age Riders From the Eurasian Steppes Shaped The Modern World। Princeton University Press। 
  3. Hoshko, Tatiana, (2019). "Oriental Technologies in the Production of Cauldrons of Late bronze Age", in _Historiography, Source Studies and Special Historical Disciplines_,SKHID No. 2 (160) March–April 2019, p. 87.
  4. Beckwith 2009: "Archaeologists are now generally agreed that the Andronovo culture of the Central Steppe region in the second millennium BC is to be equated with the Indo-Iranians."
  5. Allentoft, Morten; Sikora, Martin (২০১৫)। "Population genomics of Bronze Age Eurasia": 167–172। ডিওআই:10.1038/nature14507পিএমআইডি 26062507 
  6. Great Soviet Encyclopaedia, Article "Andronovo".
  7. Parpola, Asko, (2017). "Finnish vatsa - Sanskrit vatshá - and the formation of Indo-Iranian and Uralic languages", in SUSA/JSFOu 96, 2017, p. 250.
  8. Parpola, Asko, (2017). "Finnish vatsa - Sanskrit vatshá - and the formation of Indo-Iranian and Uralic languages", in SUSA/JSFOu 96, 2017, p. 249.
  9. Jia, Peter W., Alison Betts, Dexin Cong, Xiaobing Jia, & Paula Doumani Dupuy, (2017). "Adunqiaolu: new evidence for the Andronovo in Xinjiang, China", in _Antiquity 91 (357)_, pp. 632, 634, 637.
  10. Mallory, J.P., (1997). "Andronovo Culture", in J.P. Mallory and Douglas Q. Adams (eds.),_Encyclopedia of Indo-European Culture_, Fitzroy Dearborn Publishers, British Library Cataloguing in Publication Data, London and Chicago, p. 20.
  11. Jia, Peter W., Alison Betts, Dexin Cong, Xiaobing Jia, & Paula Doumani Dupuy, (2017). "Adunqiaolu: new evidence for the Andronovo in Xinjiang, China", in _Antiquity 91 (357)_, pp. 621-639.
  12. Parpola, Asko, (2017). "Finnish vatsa - Sanskrit vatsá - and the formation of Indo-Iranian and Uralic languages", in _Journal de la Societé Finno-Ougrienne 96, 2017_, pp. 249.
  13. Parpola, Asko, (2017). "Finnish vatsa - Sanskrit vatsá - and the formation of Indo-Iranian and Uralic languages", in _Journal de la Societé Finno-Ougrienne 96, 2017_, pp. 250.
  14. "Stone Age: European cultures"Encyclopædia Britannica OnlineEncyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১৫ 
  15. "Central Asian Arts: Neolithic and Metal Age cultures"Encyclopædia Britannica OnlineEncyclopædia Britannica। জুলাই ১০, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১৫ 
  16. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  17. Simon Rasmussen (২০১৫)। "Early Divergent Strains of Yersinia pestis in Eurasia 5,000 Years Ago": 571–582। ডিওআই:10.1016/j.cell.2015.10.009পিএমআইডি 26496604পিএমসি 4644222অবাধে প্রবেশযোগ্য , S14-15. This sample is marked "RISE505".
  18. Rasmussen, 575.
  19. Rasmussen, 578: the phylogenetic tree has RISE505 split off before the common ancestor of historic plague.
  20. Rasmussen, S15.
  21. George Erdosy (2012), The Indo-Aryans of Ancient South Asia: Language, Material Culture and Ethnicity, Walter de Gruyter, p. 371.
  22. Mallory ও Mair 2008
  23. Keyser, Christine; Bouakaze, Caroline (মে ১৬, ২০০৯)। "Ancient DNA provides new insights into the history of south Siberian Kurgan people": 395–410। ডিওআই:10.1007/s00439-009-0683-0পিএমআইডি 19449030 
  24. Koryakova, L. (১৯৯৮)। "An Overview of the Andronovo Culture: Late Bronze Age Indo-Iranians in Central Asia"। The Center for the Study of the Eurasian Nomads (CSEN)। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  25. Narasimhan et al. 2018
  26. Bryant 2001
  27. Francfort, in (Fussman et al. 2005); Fussman, in (Fussman et al. 2005); Francfort (1989), Fouilles de Shortugai.
  28. Parpola 2015
  29. (Anthony ও Vinogradov 1995)

    Kuzmina (1994), Klejn (1974), and Brentjes (1981), as cited in (Bryant 2001)
  30. Helimski, Eugene. The southern neighbours of Finno-Ugrians: Iranians or an extinct branch of Aryans („Andronovo Aryans")? In: Finnisch-ugrische Sprachen in Kontakt. Maastricht 1997, pp. 117–125.
  31. Напольских В. В. Уральско-арийские взаимоотношения: история исследований, новые решения и проблемы. Индоевропейская история в свете новых исследований. М.: МГОУ, 2010. С. 229—242. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে
  32. Witzel, M. Linguistic Evidence for Cultural Exchange in Prehistoric Western Central Asia. 2003, Sino-Platonic Papers 129 (PDF).
  33. González-Ruiz, Mercedes (২০১২)। "Tracing the Origin of the East-West Population Admixture in the Altai Region (Central Asia)": e48904। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0048904পিএমআইডি 23152818পিএমসি 3494716অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  34. Hollard, Clémence (২০১৪)। "Strong genetic admixture in the Altai at the Middle Bronze Age revealed by uniparental and ancestry informative markers": 199–207। ডিওআই:10.1016/j.fsigen.2014.05.012পিএমআইডি 25016250 
  35. Kim, Kijeong (২০১০)। "A western Eurasian male is found in 2000-year-old elite Xiongnu cemetery in Northeast Mongolia": 429–40। ডিওআই:10.1002/ajpa.21242পিএমআইডি 20091844 
  36. Ismagulov, O (২০১০)। "Physical Anthropology of Kazakh People and their Genesis"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  37. Panyushkina, Irina P (২০১৩)। "Climate-Induced Changes in Population Dynamics of Siberian Scythians (700-250 B.C.)"Climates, Landscapes, and Civilizations। Geophysical Monograph Series। পৃষ্ঠা 145–154। আইএসবিএন 9781118704325ডিওআই:10.1029/2012GM001220 
  38. Kuzmina 2007, পৃ. 383-385।
  39. Kuzmina 2007, পৃ. 172।
  40. Fox, Lalueza; Sampietro, M. L. (মে ৭, ২০০৪)। "Unravelling migrations in the steppe: mitochondrial DNA sequences from ancient central Asians.": 941–7। ডিওআই:10.1098/rspb.2004.2698পিএমআইডি 15255049পিএমসি 1691686অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  41. Allentoft 2015
  42. Mathieson 2015
  43. Damgaard et al. 2018
  44. Narasimhan 2019
  45. 2019 Narasimhan

উৎস্য[সম্পাদনা]

বহিঃস্থ সূত্র[সম্পাদনা]