জামে মসজিদ রাহমানিয়া ভৈরহওয়া (নেপাল)

স্থানাঙ্ক: ২৭°৩০′০০″ উত্তর ৮৩°২৭′০০″ পূর্ব / ২৭.৫০০০° উত্তর ৮৩.৪৫০০° পূর্ব / 27.5000; 83.4500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামে মসজিদ রাহমানিয়া
মসজিদ রাহমানিয়া
২০১৩ সালে রাহমানিয়া মসজিদের সামনের অংশ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানভৈরহওয়া, নেপাল
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামিক
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা৫০০ মানুষ
গম্বুজসমূহ
মিনার
মিনারের উচ্চতা২২ মিঃ

জামে মসজিদ রাহমানিয়া হচ্ছে নেপালের ভৈরহওয়ার রূপদেহে অবস্থিত একটি প্রাচীনতম মসজিদ। এটি নেপালের রূপান্ডেহি জেলার বৃহত্তম ও সর্বাধিক পরিচিত মসজিদ। এটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (২০০৭ বিএস) সম্পন্ন হয়েছিল। এটি নেপালের প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি।

মাদ্রাসা আরাবিয়া আশারফিয়া ফয়জুল ইসলাম[সম্পাদনা]

মাদ্রাসা আরাবিয়া আশারফিয়া ফয়জুল ইসলাম ২০১১-গাল্লামণ্ডি, ভৈরহওয়া

নেপালের অতি প্রাচীনতম ইসলামী বিদ্যালয়টি হলো মাদ্রাসা আরাবিয়া আহসরিয়া ফয়জুল ইসলাম। এটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে (২০০৭ বিএস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[১] এই মাদ্রাসার (ইসলামিক স্কুল) বর্তমান অধ্যক্ষ হলেন মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি। বর্তমানে মোট ২০০ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে,তাদের মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী দাখিলায় (ছাত্রাবাসে) বসবাস করে। এই অঞ্চলে এটিই একমাত্র ইসলামী স্কুল, যা দাখিলা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইসলামী শিক্ষা, খাবার ও আবাসন সরবরাহ করে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়সমূহ হচ্ছে: আরবি, ফার্সি, উর্দু, ইংরেজি, নেপালি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক গবেষণা, অর্থনৈতিক ইত্যাদি। মাদ্রাসাটি নেপাল সরকার দ্বারা অনুমোদিত। এখানে প্রতিটি বিষয়ে পাঠদানের জন্য শিক্ষক আছে। মাদ্রাসার সকল শিক্ষকই যোগ্য।[২]

মাদ্রাসা বর্তমানে নিম্নলিখিত ইসলামিক কোর্স প্রদান করে[সম্পাদনা]

  • হিফজ-উল-কোরআন
  • আলিম কোর্স
  • উস্তাদ প্রশিক্ষণ কোর্স বা মৌলভী
  • ইমাম খতিব প্রশিক্ষণ
  • ইফতা
  • সাব'আহ কিরাত

মসজিদ রাহমানিয়ার ইমাম[সম্পাদনা]

মসজিদ রাহমানিয়ার প্রথম ইমাম হলেন মাওলানা ইসহাক শাহাব, যিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের বাঁকতওয়ার বাসিন্দা, দ্বিতীয় ইমাম হলেন ভারতেরলারের বাসিন্দা মাস্টার মৌলভী নসরুদ্দীন আনসারী এবং তারপরে মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ঈদ-উল-ফিতর নামাজ চলাকালে ঈদগাহে মাদ্রাসা আরাবিয়ার আশারফিয়া ফয়জুল ইসলামের অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি

মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি (উর্দু : مولانا فضل الله; জন্ম ১৯৫৯ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, সোমবার; এছাড়াও মাওলানা ফয়জুল্লাহ নামেও পরিচিতি) হলেন একজন ইসলামিক পণ্ডিত। তাঁর বাবা-মা হলেন সাফত আলী শাহাব এবং সাহিলুন নিশা সিলদহ ওরফে কেভালদা; তারা ভারতের উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের খাইরাবাদে মাওলানা আলিম এবং ভারতের উত্তর প্রদেশের গন্ডার বলরাম পুরের ফখরাম উলুম থেকে দস্তর ব্যান্ড পাস করেছেন। মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশারফি ১৯৭৩ সাল থেকে মসজিদ রাহমানিয়ায় ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা আরাবিয়া আশারফিয়া ফয়জুল ইসলামের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পরে মাওলানা ফয়জুল্লাহ শাহাব ২০১৪ সালে মসজিদ রহমানিয়া ছেড়েছিলেন।

আহলে সুন্নাত ওয়া জামাত আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটি[সম্পাদনা]

আহলে সুন্নাত ওয়া জামাত আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটি (হিন্দি: अहले सुन्नत व जमात अन्जुमन इस्लामिया कमिटी, উর্দু: احلسنت و جماعت انجمن اسلامیہ جانچ) হচ্ছে একটি ইসলামী সামাজিক সংস্থা, যা ১৯৫০ সালে নেপালের ভৈরহাওয়ার স্থানীয় মুসলিম জনগণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরে এটি ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকারের সাথে নিবন্ধিত হয়েছিল (২০৫৩ বিএস)। এই কমিটি মুসলিম সমাজকে সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়া জামাত আঞ্জুমান ইসলামিয়া কমিটি ১৩ সদস্যের একটি দল। সমস্ত সদস্য তাদের নিজস্ব পদের জন্য স্থানীয় মুসলিম জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়। এটি নেপালের স্থানীয় সরকার দ্বারা নিবন্ধিত একটি প্রাচীনতম ইসলামী কমিটি। জামে মসজিদ রহমানিয়া (মসজিদ রহমানিয়া), মাদ্রাসা আরাবিয়া আশারফিয়া ফয়জুল ইসলাম (ইসলামী বিদ্যালয়), ঈদগাহ শরীফ, কারবালা ও কবরস্থান (কাবরিস্তান) রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য এই কমিটি নিয়োজিত। এই কমিটির সাধারণ মিশন হল প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু ও এতিম শিশুদের উন্নত ইসলামী শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ছেলেদের জন্য ছাত্রাবাসের সুবিধা, কল্যাণমূলক কাজ, দ্বীন ইসলামের দাওয়াহ ও ধর্মীয় কর্মসূচী, পরিচর্যার কল্যাণ কর্মসূচী - এতিমদের জন্য, আর্থিক সহায়তা প্রোগ্রাম, স্যানিটেশন প্রোগ্রাম, ইফতারের প্রোগ্রাম ইত্যাদি।[৩]

ছবি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]