আত-তাবারানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুলাইমান ইবনে আহমাদ আত-তাবারানি
উপাধিআল-তাবারানি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম২৬০ হিজরী [৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ]
মৃত্যু৩৬০ হিজরী [৯৭১ খ্রিস্টাব্দ]
ধর্মইসলাম
উল্লেখযোগ্য কাজআল মু'জাম আল-কাবীর, আল-মু'জাম আল-আওসাত, আল-মু'জাম আস সাগির

আবুল-কাসিম সুলাইমান ইবনে আহমাদ ইবনে আইয়ূব ইবনে মুতায়ুইর আল-লাখমি আশ-শামী-আত-তাবারানী আল- হানবালি তাঁর যুগের অন্যতম সেরা হাদীসবিশারদ ছিলেন (২৬০ হিজরী/৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩৬০ হিজরী/৯৭১ খ্রিস্টাব্দ)।

জীবনী[সম্পাদনা]

ইমাম আল তাবারানী ২৬০ হিজরীতে 'তাবারিয়া আশ-শাম' এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক হাজারেরও বেশি আলেম (মুহাদ্দিস) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণে বহু অঞ্চল ঘুরে বেড়ান যার মধ্যে সিরিয়া, হারামায়েন তাইয়েবায়েন(মক্কা, মদিনা), ইয়েমেন, মিশর, বাগদাদ, কুফা, বাসরা এবং ইসফাহান ইত্যাদি রয়েছে।[১]

রচনাবলি[সম্পাদনা]

তিনি বহু হাদীস গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, এর মধ্যে হলঃ

  1. আল-মু'জাম আল-কবির,
  2. আল-মুজাম আল-আওসাত এবং
  3. আল-মুজাম আস-সাগীর।

সাইয়্যিদুনা আবুল আব্বাস আহমদ বিন মনসুর বলেছেন: আমি ইমাম তাবারানীর কাছ থেকে তিন লক্ষ হাদীস বর্ণনা/সংগ্রহ করেছি।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি তার শেষ জীবনের বেশিরভাগ সময় ইরানের ইস্ফাহানে বসবাস করেন এবং ২৭শে জিলকদ[৩] ৩৬০ হিজরীতে তিনি মারা যান।[৩][৪]

ছাত্র[সম্পাদনা]

তাঁর ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা ছিলেন: আহমদ বিন 'আমর ইবনে' আবদুল-খালিক আল-বাসরী এবং আবু বকর আল-বাজজার।

কাজ[সম্পাদনা]

তিনি মূলত হাদীস সম্পর্কিত তিনটি কাজের জন্য পরিচিত:

  • আল-মু'জাম আল-কাবার - যা থেকে তিনি আবু হুরায়রার রীতি বাদ দেন।
  • আল-মু'জাম আল-আওসাত - এতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত রীতি রয়েছে
  • আল-মু'জাম আস-সাগীর - যেখানে তার প্রত্যেক হুজুরের কাছ থেকে একটি হাদীস রয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • মাজমা আল জাওয়াইদ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tazkira-tul-Huffaz, vol. 3, pp. 85
  2. Siyar A’laam-un-Nubala, vol. 12, pp. 268
  3. "AT-TABARANI, Sulaimman bin Ahmad"www.darulfatwa.org.au। সংগ্রহের তারিখ জুন ১০, ২০১৯ 
  4. "Religious Services Of Imam Tabarani"www.dawateislami.net। সংগ্রহের তারিখ জুন ১০, ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]