এক্স-ও (XO) লিঙ্গ-নির্ধারণ পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিঙ্গ নির্ধারণে XO সেক্স ক্রোমোজোমের বংশগতি
  • মাইট বাদে বেশিরভাগ আরাকনিডস শ্রেণির[১] যেখানে অল্প সংখ্যক হ্যাপ্লোডিপ্লয়েড থাকে।[২]
  • প্রায় সমস্ত অ্যাপটেরিগোট এবং প্যালিওপটেরান পোকামাকড় (যেমন ফড়িং এবং সিলভারফিশ (lepisma saccharina))।
  • বেশিরভাগ এক্সোপটারিগোট কীটপতঙ্গ, (যেমন ঘাস ফড়িং, ঝিঁঝিঁ এবং তেলাপোকা)।
  • কিছু নেমোটোডস, ক্রাস্টেসিয়ানস, গ্যাস্ট্রোপড মল্লাস্ক[৩] এবং অস্থিযুক্ত মাছ,[৪] উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যানিসিসট্রাসের গণ এর প্রজাতিসমূহ।[৫]

এই পদ্ধতিতে কেবলমাত্র একটি সেক্স ক্রোমোজোম রয়েছে, যা X হিসাবে পরিচিত। পুরুষদের সবসময় একটি X ক্রোমোজোম থাকে (XO), যেখানে স্ত্রীদের থাকে দুটি (XX)। শূন্য (কখনও কখনও ইংরেজি O বর্ণ) আরেকটি সেক্স ক্রোমোজোমের অভাব প্রকাশ করে। প্রসবকালীন জননকোষ সবসময়ই একটি X ক্রোমোজোমকে ধারণ করে, তাই প্রাণির সন্তান কোন লিঙ্গের হবে তা পুংজননকোষে সেক্স ক্রোমোজোমের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। এর শুক্রাণুতে সাধারণত একটি X ক্রোমোজোম থাকে অথবা কোনও সেক্স ক্রোমোজোম থাকে না।[৬]

এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ প্রাণিরই দুটি সেক্স ক্রোমোজোম (XX) থাকে এবং এরা হারমাফ্রোডিটিক হয়। এরা ডিম এবং শুক্রাণু উভয়ই উৎপাদন করে যারা নিজেরাই নিষিক্ত করতে পারে, তবে বিরল ক্ষেত্রে পুরুষদের কেবল একটি সেক্স ক্রোমোজোম (XO) থাকে। জীববিজ্ঞানে গবেষণার ক্ষেত্রে প্রায়শই ব্যবহার করা হয় এমন একটি জীব হল - মডেল অর্গানিজম Caenorhabditis elegans - একটি নেমাটোড

কিছু ড্রসোফিলা প্রজাতির XO পুরুষ রয়েছে।[৭] এগুলি Y ক্রোমোসোমের অনুপস্থিতির কারণে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়।

অযৌন প্রজনন[সম্পাদনা]

পুরুষ বা মহিলা উভয় সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতিতে XO লিঙ্গ-নির্ধারণ ও পার্থেনোজেনেসিস যুগপৎ ঘটতে পারে।[৮]

মানুষের ক্ষেত্রে[সম্পাদনা]

মানব মহিলাদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একটি X ক্রোমোজোম থাকার বিষয়টি টার্নার সিনড্রোম নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. জেমস জে বুল; এভলুশন অব সেক্স ডিটারমাইনিং মেকানিজমস; পৃষ্ঠা ১৭ আইএসবিএন ০৮০৫৩০৪০০২
  2. ডরিস ব্যাকট্রগ; জুডিথ ই ম্যাঙ্ক; ক্যাথেরিন এল পেইচেল; মার্ক কিরকপ্যাট্রিক; সারাহ পি অটো; টিয়া লিন অ্যাশম্যান; ম্যাথিউ ডব্লিউ হ্যান; জুন কিটানো; ইটালি মেইরোজ; রেই মিং; নিকোলাস পারিন; লরা রোজ; নিকোল ভ্যালেনজুয়েলা; জানা সি ভামোসি এবং দ্য ট্রি অব সেক্স কর্টোসিয়াম ; ‘Sex Determination: Why So Many Ways of Doing It?’; PLoS Biol12(7): e1001899
  3. ক্যাথেরিন থাইরট-কুইভরিক্স; ‘অ্যাডভান্সেস ইন ক্রোমোজোমাল স্টাডিজ অব গ্যাস্ট্রোপডস মলাস্কস’; জার্নাল অব মলাস্কান স্টাডিজ, ভলিউম ৬৯, (২০০৩), পৃষ্ঠা ১৮৭-২০১
  4. আর. এইচ দেভ্লিন এবং ওয়াই. নাগাহামা, ২০০২. ‘সেক্স ডিটারমাইনেশন অ্যান্ড সেক্স ডিফারেন্সিয়েশন ইন ফিশস: অ্যান ওভারভিউ অব জেনেটিক, ফিজিওলজিক্যালঅ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ইনফ্লুয়েন্সেস’; অ্যাকুয়াকালচার ২০৮: ১৯১–৩৬৪।
  5. লুইস অ্যালভিস অ্যান্ডারসন; ক্লডিয়াও ওলিভেইরা; মরো নিরকিও; অ্যাঞ্জেল গ্রানাডো এবং ফস্টো ফরেস্টি; ‘ক্যারিওটিপিক রিলেশনশিপস অ্যামোং দ্য ট্রাইবস অব Hypostominae (Siluriformes: Loricariidae) উইথ ডেসক্রিপশন অব XO সেক্স ক্রোমোজোম সিস্টেম ইন এ নিওট্রপিক্যাল ফিশ স্পিসিস’; জেনেটিকা, ভলিউম ১২৮ (২০০৬); পৃষ্ঠা ১-৯
  6. "XX-XO সিস্টেম"নেচার। ৩০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. প্যাটারসন, জে. টি.; স্টোন, ডব্লিউ. এস. (১৯৫২)। এভলুশন ইন দ্য জেনাস ড্রসোফিলা। ম্যাকমিলান। 
  8. হেলস, দিনাহ এফ.; অ্যালেক্স সি. সি. উইলসন (২০০২)। "ল্যাক অব ডিটেক্টেবল জেনেটিক রিকম্বিনেশন অব দ্য X ক্রোমোজোম ডিউরিং দ্য পারথেনোজেনেটিক প্রোডাকশন অব ফিমেল অ্যান্ড মেল অ্যাফিডস"। জেনেটিক্সস রিসার্চস: ২০৩–২০৯। ডিওআই:10.1017/S0016672302005657