তনুজা চন্দ্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তনুজা চন্দ্র
২০০৭ সালে তনুজা চন্দ্র
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক

তনুজা চন্দ্র একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং লেখক। যশ চোপড়ার জনপ্রিয় দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) ছবির জন্য তিনি যুগ্ম চিত্রনাট্যকার ছিলেন। তিনি নারীকেন্দ্রিক অধিকাংশ চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য পরিচিত যেখানে নায়িকারা তাঁর চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র, এর মধ্যে আছে দুশমন (১৯৯৮) এবং সংঘর্ষ (১৯৯৯)।[১]

পরিবার[সম্পাদনা]

চন্দ্র দিল্লিতে জন্মে ছিলেন।[২] তিনি বিখ্যাত লেখক বিক্রম চন্দ্র এবং চলচ্চিত্র সমালোচক অনুপমা চোপড়ার বোন। তার মা হলেন চলচ্চিত্র লেখক কামনা চন্দ্র[৩][৪]

কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে চন্দ্র তার কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন এবং টিভি ধারাবাহিক জমিন আসমান দিয়ে তাঁর পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। এতে অভিনয় করেছিলেন তানবী আজমী। ১৯৯৬ সালে, তিনি শবনম সুখদেবকে নিয়ে আরও একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক পরিচালনা করেছিলেন, যার নাম ছিল মুমকিন। ১৯৯৭ সালে, তিনি যশ চোপড়ার দিল তো পাগল হ্যায়-এর জন্য চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন, যা বাণিজ্যিকভাবে যথেষ্ট সফল ছিল।

তিনি মহেশ ভাটের সাথে সহযোগিতা করে, জখম (১৯৯৯) এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন, এটি তার প্রশংসামূলক সমালোচিত ছবি ছিল। একই বছরে তিনি তার দুশমন চলচ্চিত্র পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পরিচালনার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। মুখ্য চরিত্রে কাজল অভিনীত চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল এবং বক্স অফিসে মাঝারি রকমের সাফল্য পেয়েছিল।

তার পরবর্তী সংঘর্ষ (১৯৯৯) ছবিটিও প্রযোজনা করেছিলেন মহেশ ভাট। এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার এবং প্রীতি জিনতা

তার পর থেকে চন্দ্র বেশ কয়েকটি ছবি পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে অনেকগুলিই বিশেষ নজরে আসেনি। তবুও সুর - দ্য মেলোডি অফ লাইফ (২০০২) এবং ফিল্ম স্টার (২০০৫) এর মতো ছবিগুলি, যেগুলি চন্দ্র লিখেছিলেন ও পরিচালনা করেছিলেন, সেগুলি সমালোচকদের কাছ থেকে অনুকূল পর্যালোচনা এবং পরিচালক ও লেখক হিসাবে তাঁর কাজের প্রশংসা পেয়েছিল।

এর পরের চলচ্চিত্র ছিল জিন্দেগি রকস (২০০৬), যাতে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন। এই ছবিটিরও গল্প ও চিত্রনাট্য দুটিই লিখেছিলেন চন্দ্র। তার এরপরের ছবি হোপ অ্যান্ড এ লিটল সুগার (২০০৮) এর পুরোটাই ইংরেজিতে ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ চিত্রগ্রহণ হয়েছিল। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে, জি টেলিফিল্মের জন্য তিনি একটি স্বল্প দৈর্ঘের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, যার নাম ছিল সিলওয়াত। এতে অভিনয় করেছিলেন কার্তিক আর্যন[৫][৬]

তনুজার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হলো করিব করিব সিঙ্গেল,[৭] এতে অভিনয় করেছেন ইরফান খান এবং পার্বতী। তিনি স্টারের জন্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান তৈরির কাজ করছেন যা শিগগিরই শুরু হবে। তার লেখা ছোট গল্প সমন্বিত বিজনিস উইমেন শীর্ষক একটি বই[৮] পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস প্রকাশ করেছে।

তনুজার চলচ্চিত্রগুলি[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা (গুলি)
১৯৯৭ তমান্না লেখক
১৯৯৭ দিল তো পাগল হ্যায় লেখক
১৯৯৮ জখম লেখক
১৯৯৮ দুশমন পরিচালক
১৯৯৯ সংঘর্ষ পরিচালক
২০০১ ইয়ে জিন্দেগি কা সফর পরিচালক
২০০২ সুর - দ্য মেলোডি অফ লাইফ পরিচালক, লেখক
২০০৫ ফিল্ম স্টার[৯] পরিচালক, লেখক
২০০৬ জিন্দেগি রকস পরিচালক, লেখক
২০০৮ হোপ অ্যান্ড এ লিটল সুগার পরিচালক, লেখক
২০১৭ করীব করীব সিঙ্গেল[১০] পরিচালক, লেখক

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jha, Subhash K. (৩ জানুয়ারি ২০০৭)। "Why Tanuja Chandra is an angry young woman"Indo-Asian News Service, Press Trust of India। Hindustan Times। ১৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  2. "I'm a migrant, this is my city"Times of India। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. http://www.business-standard.com/article/news-ians/i-ve-inherited-creative-genes-from-mom-tanuja-chandra-118021800424_1.html
  4. "Tanuja Chandra's film is stuck"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-৩০ 
  5. "Kartik Aaryan plays Muslim boy in Tanuja Chandra's film"The Indian Express। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২৭ 
  6. "Kartik Aaryan plays Muslim boy in Tanuja Chandra's film"। CNN-IBN 
  7. http://indianexpress.com/article/entertainment/bollywood/irrfan-khan-irfan-tanuja-chandra-qarib-qarib-single-bollywood-even-when-we-are-single-we-are-never-free-4931913/
  8. http://www.womensweb.in/2017/05/tanuja-chandra-writer-and-director-interview/
  9. https://www.hindustantimes.com/bollywood/tanuja-chandra-today-there-is-more-openness-towards-films-with-fresh-content/story-R610aDCCW4pJTH53KcjsRM.html
  10. https://www.ndtv.com/entertainment/qarib-qarib-singlle-movie-review-irrfan-khan-parvathy-star-in-freewheeling-tale-of-lonely-hearts-1773586

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]