উমর মারভি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উমর মারভি বা মারুই (সিন্ধি: عمر مارئي), (উর্দু: عُمَر ماروی ‎‎) হল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের একটি লোককাহিনী। কাহিনীটি গ্রামের মেয়ে মারভি ম্যারিইচ সর্ম্পকে, যে এক প্রতাপশালী রাজার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল এবং কীভাবে রাজপ্রাসাদের রানী হিসাবে বসবাস করার প্রলোভনকে জয় করে তার গ্রামের সরল মানুষদের সাথে সাধারণ গ্রামীণ পরিবেশে থেকে গিয়েছিল সে সর্ম্পকে।[১]

গল্পটি শাহ জো রিসালোতেও বর্নিত হয়েছে এবং পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের খ্যাতিমান সাতটি বিয়োগান্ত প্রেমের ঘটনার অংশ হয়ে রয়েছে। অন্য ছয়টি গল্প হলো সাসি পুনহুন, সোহনি মেহার, লিলান চানেসার, নূরী-জাম তামাচি, সোরাথ রায় দিয়াচ এবং মূমল রনো এগুলো সাধারণ ভাবে সিন্ধু প্রদেশের সিন্ধের সাত রানী কিংবা শাহ আবদুল লতিফ ভিট্টাইয়ের সাত নায়িকা হিসেবে পরিচিত।

লোকাচার[সম্পাদনা]

উমর মারভি গল্পে মারভি ছিল একজন থারি তরুনী যাকে অমরকোটের তদানীন্তন শাসক উমর অপহরন করেন এবং তার ‍রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চান। এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে তাকে (মারভিকে) ঐতিহাসিক উমারকোট দূর্গে কয়েক বছরের জন্য অন্তরীন করা হয়। সাহসিকতার জন্য মারভিকে তার মাটি ও স্বদেশের জন্য ভালবাসার প্রতীক হিসেবে গন্য করা হয়।

সাংস্কৃতিক জনপ্রিয়তা[সম্পাদনা]

  • ১৯৯৩ সালে পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশন মারভি নামে একটি ধারাবাহিক নাটিকা প্রচার করেছিল। ধারাবহিকটি ছিল উমর এবং মারভি উপ্যাখানটির আধুনিক মঞ্চায়ন। এখানে গজল সিদ্দিক প্রধান চরিত্রে আর হাসাম কাজী উমরের চরিত্রে অভিনয় করেন।
  • উমর মারভি হল এই লোককাহিনী থেকে তৈরী একটি পাকিস্তানি চলচ্চিত্র, যা প্রযোজনা করেছিলেন সৈয়দ হুসেন আলী শাহ ফজলানী এবং পরিচালনা করেছিলেন শায়খ হাসান। অভিনয়ে ছিলেন স্বয়ং ফজলানী, নিগাত সুলতানা এবং নূর মুহাম্মদ চার্লি।
  • ১৯৫৬ সালের ১২ই মার্চ মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি ছিল পাকিস্তানে তৈরী প্রথম সিন্ধি ভাষা ভিত্তিক ছবি

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ডাঃ এন এ বালোচ (১৯৭৬)। পপুলার ফোক স্টোরিসঃ উমর মারুই। হায়দ্রাবাদঃ সিন্ধি আদাবী বোর্ড। 
  2. দ্য হিষ্ট্রি অব ইন্ডিয়া, এ্যাজ টোল্ড বাই ইটস্‌ ওন হিষ্টোরিয়ানস্‌ এলিয়ট এবং ডওসন, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৬০

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]