সুহাসিনী মুলে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুহাসিনী মুলে
২০১০ সালের এপ্রিলে সুহাসিনী মুলে
জন্ম (1950-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৭৩)
কর্মজীবন১৯৬৯ - বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীঅতুল গুতরু (বি. ২০১১)[১]

সুহাসিনী মুলে (জন্ম ১৯শে নভেম্বর ১৯৫০) একজন ভারতীয় বলিউড এবং মারাঠি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনেও কাজ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে, সেরা সহ অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারর জেতেন। নির্দেশক গুলজারের হু তু তু ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।[২][৩][৪]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

সুহাসিনী মুলে পাটনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানে তিনি তাঁর শৈশবের প্রথম দিককার সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন তাঁর মা, বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং চলচ্চিত্রের ইতিহাসবিদ বিজয়া মুলে, তাঁকে প্রতিপালন করে বড় করেছিলেন। সুহসিনী তাঁকে দেখেই চলচ্চিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।[৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে পিয়ার্স সাবান নির্মাতা তাঁকে তাদের মডেল হিসাবে বেছে নিয়েছিল। এই বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্দেশক মৃণাল সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি তাঁর ভুবন সোম (১৯৬৯) ছবির জন্য সুহাসিনীকে নিয়েছিলেন।[৬]

যদিও ভুবন সোম ছবিটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি মাইলফলক হিসাবে প্রমাণিত, সুহাসিনী অভিনয়কে তাঁর কর্মজীবন হিসেবে বেছে নেননি। পরিবর্তে তিনি কানাডার মন্ট্রিয়ালের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি প্রযুক্তির একটি কোর্সে ভর্তি হন। তাঁর বিশেষ বিষয় ছিল মৃত্তিকা রসায়ন এবং মাইক্রোবায়োলজি। তিনি গণ যোগাযোগ (মাস কম্যুনিকেশন) বিষয় একটি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্র, রেডিও, টিভি, সাংবাদিকতা এবং মুদ্রণে মেজর হন।[৭]

সুহসিনী ১৯৭৫ সালে ভারতে ফিরে এসে সত্যজিৎ রায়ের বাংলা চলচ্চিত্র জন অরণ্য তে সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি মৃণাল সেন পরিচালিত মৃগয়া ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তিনি লিখ কে দো নামে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার উপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন, ইউনিসেফ সেটি কিনে নিয়েছিল। এর পরেই তিনি গত ২৬ বছর ধরে তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে কাজ করে গেছেন।[৮] তার পর থেকে, তিনি সক্রিয়ভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং ৬০ টিরও বেশি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। অনেকেই জানেন না, সুহাসিনী তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসাবে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তিনি এর মধ্যে চারটি তথ্যচিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন।[৭]

ভুবন সোম ছবির প্রায় ৩০ বছর পরে, তিনি গুলজারের হু তু তু ছবির মাধ্যমে মূলধারার বলিউড চলচ্চিত্রে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসেন। এই ছবির জন্য সেরা সহ অভিনেত্রী হিসাবে তিনি আরও একটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। তিনি দূরদর্শন ধারাবাহিক জানে ক্যায়া বাত হুই তে কাজ করেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্র হেমন্ত বর্মা পরিচালিত পীড়া, যেটি শেষ হয়েছে। পীড়া সম্প্রতি ইউএসএ-র এফওজি ফিল্ম ফেস্টিভালে সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কার পেয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সুহাসিনী মুলে একা থাকতেই অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটি দীর্ঘ লিভ ইন সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন। সেটি ভেঙে যাবার পর দীর্ঘ ২১ বছর তিনি একা ছিলেন। ২০১০ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক অতুল গুরতুর সাথে পরিচিত হন। এরপর ২০১১ সালের ৬ই জানুয়ারী আর্যসমাজে তিনি অধ্যাপকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[১][৯]

সুহাসিনীর অভিনীত চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

টেলিভিশন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Times of India (bollywood)"। ২০১২-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-১৮ 
  2. "Quest for creativity"। The Tribune। ২৪ নভেম্বর ২০০২। 
  3. Interview with actor Suhasini Mulay indiantelevision.com, 20 March 2003.
  4. SUHASINI MULAY ... just begun' South Asian, 20 February 2003.
  5. "Suhasini Mulay"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  6. "Suhasini Mulay"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  7. "Suhasini Mulay Age, Family, husband"। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  8. "The Pathbreaker: Acting, Directing & Finding Companionship At 60. How Suhasini Mulay Has Defied Stereotypes"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 
  9. Shah, Kunal M Shah (১১ মার্চ ২০১৪)। "Suhasini Mulay ties the knot at 60"। The Times of India। ১৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]