কুমুদিনী লাখিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুমুদিনী লাখিয়া
জন্ম১৯৩০
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাপ্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কাদম্ব স্কুল অফ ডান্স অ্যান্ড মিউজিক
পরিচিতির কারণকত্থক নৃত্য ও নৃত্য পরিকল্পনা

কুমুদিনী লাখিয়া (জন্ম: ১লা মে ১৯৩০), ভারতের গুজরাতের আহমেদাবাদের একজন কত্থক নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিকল্পনাকার। তিনি গুজরাতে ১৯৬৭ সালে কদম্ব নৃত্য ও সংগীতের বিদ্যালয় নামে ভারতীয় নৃত্য ও সংগীতের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। [১]

সমসাময়িক কত্থক নৃত্যের একজন পথিকৃৎ হিসাবে, তিনি ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকেই কত্থকের একক রূপ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। একই সাথে তিনি একে দলীয় দৃশ্যে রূপান্তরিত করেছিলেন। অধিকন্তু তিনি প্রচলিত সমসাময়িক গল্পগুলিকে কত্থকে প্রবর্তন করার কৃতিত্বের দাবিদার। [২][৩][৪]

পেশা[সম্পাদনা]

তিনি পশ্চিমের দেশগুলি রাম গোপালের সাথে ভ্রমণ করে তাঁর নৃত্যজীবন শুরু করেছিলেন এবং প্রথমবারের মতো বিদেশি মানুষের চোখে ভারতীয় নৃত্যকে তুলে ধরেছিলেন। তারপরে তিনি নিজ যোগ্যতায় নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পনাকার হয়েছিলেন। তিনি প্রথমে জয়পুর ঘরানার বিভিন্ন গুরুর কাছ থেকে এবং পরে শম্ভু মহারাজের কাছ থেকে নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

তিনি বিশেষত তাঁর দলীয় নৃত্য পরিকল্পনার জন্য পরিচিত। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত নৃত্য পরিকল্পনার মধ্যে আছে ধাবকার (পালস), যুগল (ডুয়েট), এবং অতঃ কিম (হোয়ার নাও?), যা তিনি ১৯৮০ সালে দিল্লি বার্ষিক কত্থক মহোৎসবে পরিবেশন করেছিলেন। তিনি হিন্দি ছবি উমরাও জান (১৯৮১)-গোপী কৃষ্ণের সাথে কোরিওগ্রাফি করেছিলেন। [৫][৬]

তিনি অনেক শিষ্যের গুরু। তাঁর বিখ্যাত শিষ্যের মধ্যে আছেন- কত্থক নৃত্যশিল্পী অদিতি মঙ্গলদাস, বৈশালী ত্রিবেদী, সন্ধ্যা দেসাই, দক্ষা শেঠ, মৌলিক শাহ, ইশীরা পরীখ, প্রশান্ত শাহ, উর্জা ঠাকুর এবং পারুল শাহ প্রমুখ।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তিনি লিংকনস ইন-এ আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত রজনীকান্ত লখিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি রাম গোপাল কোম্পানির একজন বেহালাবিদ ছিলেন এবং ১৯৬০ সালে আহমেদাবাদে পাড়ি জমান। তাঁর এক পুত্র শ্রীরাজ ও এক কন্যা মৈত্রেয়ী।

তিনি সোর্থমোর কলেজের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের 'কর্নেল ভ্রাম্যমাণ অধ্যক্ষ' ছিলেন।

নৃত্য পরিকল্পনাগুলো[সম্পাদনা]

কুমুদিনী লাখিয়া যেসব নৃত্যের নৃত্য পরিকল্পনাকার ছিলেনঃ

- "ভেরিয়েশন ইন ঠুংরি" (১৯৬৯)

- "বেণু নাদ" (১৯৭০)

- "ভজন" (১৯৮৫)

- "হরি" (১৯৭০)

- "কোলাহল" (১৯৭১)

- "দুবিধ" (১৯৭১)

- "ধবকর" (১৯৭৩)

- "যুগল" (১৯৭৬)

- "উমরাও জান" (১৯৮১)

- "অতঃ কিম" (১৯৮২)

- "ওখা হারান" (১৯৯০)

- "হুন-নারি" (১৯৯৩)

- "গোল্ডেন চেইন" (লন্ডনের নীনা গুপ্তের জন্য)

- "সাম সমবেদন" (১৯৯৩)

- "ভাব ক্রীড়া" (১৯৯৯)

- "সমন্বয়" (২০০৩)

- "মুষ্টি" (২০০৫),[৪]

- "ফেদার্ড ক্লথ - হাগোরোমো (২০০৬)

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

- ১৯৮৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী
- ২০১০ সালে পদ্মভূষণ
- সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার ১৯৮২ সালে
- কালিদাস সম্মান ২০০২-০৩ সালে
- সংগীত নাটক অকাদেমি ঠাকুর রত্না ২০১১ সালে

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pathak, Rujul (১৭ জুলাই ২০০২)। "A dancers opinion"The Times of India। TNN। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. Rachel Howard (২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "When Many Feet Make Loud Work"The New York TimesThe New York Times Company। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  3. "Dance of the masters"The Hindu। Chennai, India। ২১ নভেম্বর ২০০৪। ৩১ মে ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  4. Leela Venkatraman (২৫ মে ২০০৮)। "New vocabulary for Kathak"। Chennai, India: The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  5. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে কুমুদিনী লাখিয়া (ইংরেজি)
  6. "Bollywood's new dancing queen"Rediff Movies। ২ আগস্ট ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৮ 

আরও পড়া[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]