খাজা আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খাজা আহমেদ
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৫
পূর্বসূরীশুরু স্বাধীনতা লাভ
উত্তরসূরীরফিকুজ্জামান ভূঁইয়া
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯২০
ফেনী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৯ মে ১৯৭৬
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

খাজা আহমেদ (১৯২০-১৯৭৬) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য[১]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

খাজা আহমেদ ১৯২০ সালে ফেনীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফেনী হাইস্কুলে(বর্তমানে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) পড়ালেখা করেন।[২]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খাজা আহমেদ ১৯৩০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ঘোষিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৪০ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করে ফেনীর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি বৃটিশবিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে তার সম্পাদনায় ফেনী থেকে সাপ্তাহিক সংগ্রাম নামে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৪৬ সালে তিনি বারাহিপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান গণতন্ত্রী দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন।[২]

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমএনএ নির্বাচিত হন তিনি।[২] ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]

তিনি ১৯৬৩ সালে ফেনী মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৪-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ফেনী মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা গভর্নর।[২]

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক[সম্পাদনা]

১৯৭১-এর ২৬ মার্চ তার নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা ফেনীতে অবস্থানরত ১৪০০ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধ ফেনীতে শুরু হয়। ওই তারিখেই তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সচিন্দ্র লাল সিংয়ের সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালিদের পক্ষে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে ফেনী এলাকা সর্বপ্রথম ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্ত হয়। মরহুম খাজা আহমদ ভারত সরকার এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য ব্যতিরেকে ৪টি রিক্রুটিং মরহুম খাজা আহমদ পূর্বাঞ্চল মুক্তিফ্রন্টের সদস্য, আঞ্চলিক মুক্তিফ্রন্টের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান, মুক্তাঞ্চলের পরিচালক ছিলেন। [২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

খাজা আহমেদ ২৯ মে ১৯৭৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. হোসেন, মোস্তফা (২৯ মে ২০১৪)। "ফেনীর রাজা খাজা আহমদ নেই"দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০