গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

স্থানাঙ্ক: ২২°৫৬′ উত্তর ৮৮°৪৪′ পূর্ব / ২২.৯৩° উত্তর ৮৮.৭৩° পূর্ব / 22.93; 88.73
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাইঘাটা
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
গাইঘাটা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
গাইঘাটা
গাইঘাটা
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৬′ উত্তর ৮৮°৪৪′ পূর্ব / ২২.৯৩° উত্তর ৮৮.৭৩° পূর্ব / 22.93; 88.73
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাউত্তর ২৪ পরগনা
সরকার
 • ধরনপ্রতিনিধিত্ত গণতন্ত্র
আয়তন
 • মোট২৪০.৩০ বর্গকিমি (৯২.৭৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা১১ মিটার (৩৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩,৩০,২৮৭
 • জনঘনত্ব১,৪০০/বর্গকিমি (৩,৬০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সাক্ষরতা (২০১১)
 • মোট সাক্ষরতা২৪৭,৮৩৮ (৮২.৩২%)
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৭৪৩২৪৯ (গাইঘাটা)
৭৪৩২৪৫ (চাঁদপাড়া বাজার)
৭৪৩২৮৭ (ঠাকুরনগর)
টেলিফোন/এসটিডি কোড০৩২১৬
আইএসও ৩১৬৬ কোডআইএন-ডব্লিউবি
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিউবি-২৩, ডব্লিউবি-২৪, ডব্লিউবি-২৫, ডব্লিউবি-২৬
লোকসভা কেন্দ্রবনগাঁ
বিধানসভা কেন্দ্রগাইঘাটা, বনগাঁ দক্ষিণ
ওয়েবসাইটnorth24parganas.nic.in

গাইঘাটা একটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অন্তর্গত বনগাঁ মহকুমার একটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠন করে।

ভূগোল[সম্পাদনা]

যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত, গাইঘাটা ২২°৫৬′ উত্তর ৮৮°৪৪′ পূর্ব / ২২.৯৩° উত্তর ৮৮.৭৩° পূর্ব / 22.93; 88.73 অবস্থিত।[১]

গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকটি উত্তরে বনগাঁ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, পূর্বে বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা উপজেলা, দক্ষিণে স্বরূপনগর ও হাবড়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পশ্চিমে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা দ্বারা সীমাবদ্ধ।[২]

গাইঘাটা ইছামতি-রায়মঙ্গল সমভূমির অন্তর্গত, যা নিম্ন গঙ্গা বদ্বীপ অবস্থিত জেলার তিনটি ভূ-তাত্ত্বিক (ফিজিওগ্রাফিক) অঞ্চলের মধ্যে একটি। একাহ্নে পরিপক্ব কালো বা বাদামী রঙের দোআঁশ থেকে সাম্প্রতিক পলিযুক্ত মাটি রয়েছে। ইছামতি নদী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্য ও পূর্ব অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।[২]

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিসংখ্যান পুস্তক অনুসারে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ২৪৩.৩০ কিমি। এই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি, ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২০১ গ্রাম সংসদ (গ্রাম পরিষদ), ১০১ টি মৌজা এবং ১০৫ টি জনবহুল গ্রাম রয়েছে। গাইঘাটা থানা এই ব্লকের প্রশাসনিক পরিবেশন করে। এই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সদর দফতর চাঁদপাড়া বাজারে অবস্থিত।[৩]

গাইঘাটা ব্লক/পঞ্চায়েত সমিতির গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হলেন: চাঁদপাড়া, ফুলসারা, জলেশ্বর ২, সুটিয়া, ধর্মপুর ১, ইছাপুর ১, ঝাউডাঙ্গা, ধর্মপুর ২, ইছাপুর ২, রামনগর, ডুমা, জলেশ্বর ১ ও শিমুলপুর।[৪]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে বনগাঁয়ের জনসংখ্যা ছিল ৩৩০,২৮৭ জন, যার মধ্যে ২৬৫,৫২৬ জন গ্রামীণ এবং ৬৪,৭৬১ জন শহুরে ছিল। এখানে ১৬৯,২১৬ (৫১%) পুরুষ এবং ১৬১,০৭১ (৪৯%) মহিলা ছিল। জনসংখ্যা ৬ বছরের নিচে ছিল ২৯,২২৮ জন। তফশিলী জাতির মানুষের সংখ্যা ছিল ১৬২,২৮১ (৪৯.১৩%) জন এবং তপশিলী উপজাতির মানুষের সংখ্যা ছিল ১৪,৪৩২ (১.৭৬%) জন।[৫]

২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বনগাঁ ব্লকের জনসংখ্যা ছিল ৩০০,৪১৮ জন, এর মধ্যে পুরুষ ১৭৭,৫১৫ জন এবং ১৬৬,৪৫৯ জন মহিলা ছিলেন।[৬]

গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনগণনা শহরগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের আদমশুমারি): চাঁদপাড়া, (৭,১১৩), ছেকাটি (৪,৯৯৫), সোনাটিকরি (৭, ৯৯৯), ধকুরিয়া (১০,১৬৫), চিকানপাড়া (৯,৯৯৪), শিমুলপুর (২০,৮০৩) এবং বড়া (৫,১৭২)।[৫]

গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বৃহত গ্রামগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ আদমশুমারি): হংসপুর (৪,১১৩), পাটাবুকা (৪,৮8৫), ধর্মপুর (৫,০৯০), জলেশ্বর (৫,৬০২), নারিকেলা (৫,২২২), রামপুর (৭,৯৩৬), ইছাপুর (৫,৯৯৯) করোলা (৪,১২৭), বকচারা (৫,৭৪৫), ফুলসারা (৮,৭১৬), মন্ডলপাড়া (৫,৬০৭), আঙরাইল (৭,৯৭৮), বর্নগড়িয়া (৪,৭৮৯), বিষ্ণুপুর (৪,১১৯), বারাসাত (৭,৪৪১), পাঁচপোতা (৮,৩১২) এবং রামনগর (৪,৩১২)। (২০১১ এর আদমশুমারিতে ঠাকুরনগর স্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি)।[৫]

গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্যান্য গ্রামগুলির মধ্যে রয়েছে (বন্ধনীতে ২০১১ আদমশুমারি): গাইঘাটা (৩,৮৭৮) এবং মণিখিরা (২,৯৮৮)।[৫]

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা'সহ গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ঘনবসতিপূর্ণ, মূলত পূর্ব পাকিস্তান (পরবর্তী বাংলাদেশ) থেকে আগত শরণার্থীদের আগমন ১৯৭১ সালে প্রতি কিলোমিটার ২,১৮২ জনসংখ্যার ঘনত্বের সাথে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ার পরে প্রতি বর্গ কিমি ঘনত্বের ক্ষেত্রে এটি তৃতীয় এবং ভারতে ২০ তম ছিল।[৭] [ উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুসারে, "জেলায় নগরায়নের দ্রুত বৃদ্ধি দ্বারা আংশিকভাবে উচ্চ ঘনত্বেরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালে জেলার নগর জনসংখ্যার হার ৫১.২৩ হয়েছে। "[৮]

দশকের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার (%)

২০০১-২০১১ সালে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনসংখ্যার দশকের বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮৮%।[৯] ১৯৯১-২০০১ সালে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে জনসংখ্যার দশকের বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৭.৭৯%।[১০]

স্বাক্ষরতা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সাক্ষরতার সম্পর্ণ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৭৭,৮৩৮ জন (৬ বছরের বেশি বয়স্ক জনসংখ্যা ৮৩.৩২%), যার মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা ১৩৪,১৮৩ (৬ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ জনসংখ্যা ৮৬.৮৯%) এবং মহিলাদের সংখ্যা ১১৩,৬৫৫ জন (৬ বছরের বেশি বয়সী মহিলা সংখ্যা ৭৭.৫১%)। লিঙ্গ বৈষম্য (মহিলা ও পুরুষ সাক্ষরতার হারের মধ্যে পার্থক্য) ছিল ৯.৩৯%।[৫]

আরও দেখুন - শিক্ষার হার অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ জেলাগুলির তালিকা

গ্রামীণ দারিদ্র্য[সম্পাদনা]

২০০১ সালে গাইঘাটা সিডি ব্লকের ২২.৭০% পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত, যেখানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গ্রামীণ দারিদ্র্যতার গড় ২৯.২৮% ছিল।[৮]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

জীবিকা[সম্পাদনা]

গাইঘাটা সিডি ব্লকে
জীবিকা

  কৃষক (১৭.৩৮%)
  কৃষি শ্রমিক (৩১.৭৯%)
  গৃহস্থালী শিল্প (৪.৮৬%)
  অন্যান্য কর্মী (৪৫.৯৬%)

২০১১ সালে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে, মোট শ্রমিকের মধ্যে কৃষকদের সংখ্যা ২১,১১৫ জন, যা মোট শ্রমিকের ১৭.৩৮% গঠন করে, কৃষি শ্রমিকদের সংখ্যা ৩৮,৭০০ জন, যা মোট শ্রমিকের ৩১.৭৯% গঠন করেছেন, গৃহশ্রমিদের সংখ্যা ৫,৯২০ জন, যা মোট শ্রমিকের ৪.৮৬% এবং অন্যান্য শ্রমিকদের সংখ্যা ৫৫,৯৪৪ জন, যা মোট শ্রমিকের ৪৫.৯৬% গঠন করে। মোট শ্রমিকদের সংখ্যা ১২১,৭১৯ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৩৬.৮৫% গঠন করে এবং অ-শ্রমিকদের সংখ্যা ২০৮,৫৬৮ জন , যা জনসংখ্যার ৬৩.১৫% গঠন করে।[১১]

উত্তর চব্বিশ পরগনার ৩০ শতাংশেরও বেশি গ্রামে, কৃষি বা গৃহশিল্প এখন আর সেখানকার প্রধান শ্রমিকদের জীবিকার মূল উৎস নয়। জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলি তিনটি বিভাগের অন্তর্গত হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে: সীমান্ত অঞ্চল, সুন্দরবন এলাকা এবং অন্যান্য গ্রামীণ অঞ্চল। অন্যান্য গ্রামীণ অঞ্চল বিভাগে অন্যান্য শ্রমিকের শতাংশ সীমান্ত অঞ্চল ও সুন্দরবন এলাকার তুলনায় যথেষ্ট বেশি।[১২] গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সীমান্ত অঞ্চলের অন্তর্গত।

পরিকাঠামো[সম্পাদনা]

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা শুমারী হ্যান্ডবুক অনুসারে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১০০ টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ১০০% গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পানীয় জলের সরবরাহ রয়েছে। ২৩ টি গ্রামে (২৩.০০%) পোস্ট অফিস রয়েছে। ৯১ টি গ্রামে (৯৭.০০%) টেলিফোন রয়েছে (ল্যান্ডলাইনগুলি, পাবলিক কল অফিস এবং মোবাইল ফোন সহ)। ৪৮ টি গ্রামে (৪৮.০০%) একটি পাকা অ্যাপ্রোচ রাস্তা রয়েছে এবং ৫০ টি গ্রামে (৫০.০০%) পরিবহন যোগাযোগ রয়েছে (বাস পরিষেবা, রেল সুবিধা এবং নাব্য নৌপথ অন্তর্ভুক্ত)। ২২ টি গ্রামে (২২.০০%) কৃষিঋণ সমিতি রয়েছে এবং ২০ টি গ্রামে (২০.০০%) ব্যাঙ্ক রয়েছে।[১৩]

কৃষি[সম্পাদনা]

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক'সহ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কৃষিক্ষেত্র সত্ত্বেও গ্রামীণ জনসংখ্যার ৮১.৮৮% খাদ্যের অভাবে ভুগেছে। ২০০১ সালে ৫৪.৩% উচ্চতর নগরায়নের সাথে, জেলায় জমি ব্যবহারের ধরনটি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং আবাদাধীন অঞ্চল হ্রাস পাচ্ছে। তবে এখনও জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিকাজই জীবিকার মূল উৎস।[১৪]

গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ২০১০-১১ সালে ১৪৪ টি সার ডিপো, ৩০ টি বীজের দোকান এবং ৬০ টি ন্যায্যমূল্যের দোকান ছিল।[১৫]

২০১০-১১ সালে, গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে প্রধান শীতকালীন ফসল হিসাবে ২১,৩৫১ টন আমন ধানের উৎপাদন করে। ওই বছরেই ৯,১০৬ হেক্টর থেকে বোরো ধান ৩২,০২৪ টন (বসন্তের ফসল), ১,১৭২ হেক্টর থেকে ৩,০৩০ টন আউশ ধান (গ্রীষ্মকালীন ফসল), ২৭৫ হেক্টর থেকে ৭৩৩ টন গম, ৪,১৫৮ হেক্টর থেকে ৮৪,৫৩২ টন পাট, ১,১১৬ হেক্টর থেকে ৪৮,৭১৮ টন আলু এবং ৫২৫ হেক্টর থেকে ৪২,৬২৫ টন আখ উৎপাদিত হয়েছে। এখানে ডাল এবং তেলবীজের উৎপাদনও হয়।[১৫]

২০১০-১১ সালের তথ্য অনুযায়ী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট ৩,৩২০ হেক্টর জমিতে সেচ ব্যবস্থা রয়েছে, এর মধ্যে ৬৮৭ হেক্টর জমিতে ট্যাঙ্কের জল দ্বারা, নদী উত্তোলন সেচ দ্বারা ৮৭০ হেক্টর, গভীর নলকূপের দ্বারা ৪৫৪ হেক্টর, অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ১২৫ হেক্টর এবং ৯৮৩ হেক্টর জমিতে অন্যান্য উপায়ে সেচ দেওয়া হয়েছিল।[১৫]

মৎস্য চাষ[সম্পাদনা]

২০১০-১১ সালে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের কার্যকর মৎস্য চাষের অধীনে নেট অঞ্চল ছিল ২,১৭৩.৭২ হেক্টর এবং এই পেশায় ১২,৯৭৭ জন নিযুক্ত ছিলেন। আনুমানিক বার্ষিক উৎপাদন ছিল ৬৫,২১১.৬ কুইন্টাল।[১৫]

ব্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

২০১০-১১ সালে গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নয়টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং পাঁচটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অফিস ছিল।[১৫]

পরিবহন[সম্পাদনা]

২০১০-১১ সালে, গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৩ টি শুরু/প্রান্তিক বাস রুট ছিল।[১৫]

এনএইচ ১১২ (পুরাতন নম্বর এনএইচ ৩৫) (যশোর রোড নামেও পরিচিত) এবং এসএইচ ৩ এই ব্লকের পরিবহনের ব্যবস্থার একটি সাধারণ রুট।[১৬][১৭]

শিয়ালদহ-বনগাঁ লাইনের অন্তর্গত চাঁদপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এবং ঠাকুরনগর রেলওয়ে স্টেশন হল গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান রেল স্টেশন।[১৮]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

২০১০-১১ সালে গাইঘাটা সিডি ব্লকের ১৬২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬,৩৬৮ জন শিক্ষার্থী, ১০ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪,২৪৩ জন শিক্ষার্থী এবং ২৭ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৩,৬৩২ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। গাইঘাটা সিডি ব্লকের ১৬,১৭৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশেষ ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য ৪৮৯ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।[১৫]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, গাইঘাটা সিডি ব্লকের ১০০ জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে সমস্ত গ্রামে একটি বিদ্যালয় ছিল, ৭০ টি গ্রামে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল, ৫২ টি গ্রামে কমপক্ষে ১ টি প্রাথমিক এবং ১ টি মধ্যম বিদ্যালয় ছিল এবং ৪২ টি গ্রামে কমপক্ষে ১ টি মধ্যম এবং ১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল।[১৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "North 24 Parganas District"Map Gallery – CD Blocks। North 24 Parganas district administration। ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৬ 
  2. "District Census Handbook North Twenty Four Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 13। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  3. "District Census Handbook North Twenty Four Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Map of North Twenty Four Parganas with CD Block HQs and Police Stations (on the fifth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. "Directory of District, Subdivision, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal"North Twentfour Parganas - Revised in March 2008। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  5. "C.D. Block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"West Bengal – District-wise CD Blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৬ 
  6. "Census of India 2001, Provisional Population Totals, West Bengal, Table - 4"North Twenty Four Parganas District (11)। Government of West Bengal। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-২৫ 
  7. "District Human Development Report: North 24 Parganas" (পিডিএফ)Intro P 6। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2010। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  8. "District Human Development Report: North 24 Parganas" (পিডিএফ)Page 259, Table 11.2.2। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2010। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  9. "District Census Handbook: North 24 Parganas, Series 20 Part XII A" (পিডিএফ)Brief Analysis of Inset Tables based on Primary Census Abstract 2011 (Inset Tables 1-35), Table I: Decadal change in population of Tahsils (Sub-district) by Residence, 2001-2011, Page 52। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  10. "District Statistical Handbook"North 24 Parganas 2010-2011; Table 2.4A: Distribution of Rural and Urban Population by Sex in the district of North 24 Parganas, 1991; Table 2.4B: Distribution of Rural and Urban Population by Sex in the district of North 24 Parganas, 2001। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  11. "District Census Handbook North 24 Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 93, Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories ofEconomic Activity in Sub-district 2011; Page 84, Table 30: Number and Percentage of Main Workers, Marginal Workers and Non-workers by sex in sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১১ 
  12. "District Human Development Report: North 24 Parganas" (পিডিএফ)Pages 27-28। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2010। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  13. "District Census Handbook, Nort 24 Parganas district, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Pages 103-104, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities,2011। Directorate of Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৮ 
  14. "District Human Development Report: North 24 Parganas" (পিডিএফ)Pages 66, 195। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2010। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮ 
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; handbook2010-2011 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. "District Census Handbook North Twenty Four Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Gaighata CD Block Map, Page 227। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  17. "List of State Highways in West Bengal"। West Bengal Traffic Police। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৮ 
  18. "33811 Sealdah-Bangaon local"Time Table। India Railinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৮ 
  19. "District Census Handbook, North Twentyfour Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 717, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]