বাংলাদেশ–লাতভিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাংলাদেশ-লাতভিয়া সম্পর্ক থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বাংলাদেশ–লাতভিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Bangladesh এবং Latvia অবস্থান নির্দেশ করছে

বাংলাদেশ

লাতভিয়া

বাংলাদেশ–লাতভিয়া সম্পর্ক বাংলাদেশ এবং লাটভিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে। ১৯৯১ সালে লাতভিয়াকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি বাংলাদেশ ছিল।[১] দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল।[২]

উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শন[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০১২ সালে রিগায় একটি সরকারী সফর করেছিলেন।[৩]

রাজনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০০৬ লাসে লাতভিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নরম্যানস পেনেক তথ্য প্রবাহকে উন্নত করতে এবং উভয় দেশের গণমাধ্যমের প্রচারের জন্য দু'দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন।[৪] দুই লাত্ভীয় পর্যবেক্ষক ২০০৮ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দলের অংশ নিয়েছিলেন।[৫]

শিক্ষাখাতে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে লাত্ভিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভাইরা ভাইক-ফ্রেইবার্গা শিক্ষা খাতকে বাংলাদেশের আগ্রহের প্রথম ক্ষেত্র হিসাবে অভিহিত করেছিলেন।[১] বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপরে জোর দিয়ে উচ্চতর শিক্ষায় সহযোগিতার জন্য লাটভিয়ার সাথে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, উভয় পক্ষ সম্মিলিত গবেষণা গ্রহণ, যৌথ ডিগ্রি কার্যক্রম শুরু করা, বিনিময় কর্মসূচী প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে অংশীদারত্ব গঠনে সম্মত হয়েছে।[৬]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, ওষুধজাতীয় পণ্য, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি লাত্ভিয়ান বাজারে বিপুল সম্ভাবনাযুক্ত পণ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। লাটভিয়া মূলত কৃষি-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলি অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল পাঠাতে সম্মত হয়েছে।[৭]

কৃষি ক্ষেত্রে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ও লাটভিয়া কৃষি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন, গবাদিপশু, ফসলের প্রজনন, অভ্যন্তরীণ এবং সামুদ্রিক মৎস্যজীবনের উপর বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "State President receives credentials from the Ambassador of Bangladesh"। Latvijas Valsts Prezidents। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  2. "State Secretary Teikmanis meets Foreign Minister of Bangladesh"। Ministry of Foreign Affairs of the republic of Latvia। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  3. "Latvia and Bangladesh discuss bilateral cooperation opportunities"The Baltic Course। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  4. "State Secretary of the Ministry of Foreign Affairs, Normans Penke, meets with the Ambassador Extraordinary and Plenipotentiary of the Republic of Bangladesh to Latvia"। Ministry of foreign affairs of the republic of LATVIA। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "H.E. Mohamed Mijarul Quayes to Become Bangladeshi Ambassador to Latvia"। Latvijas Valsts Prezidents। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. "Bangladesh to tap Latvia opportunities"New Age। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  7. "Dipu Moni meets Latvian leaders"Bangladesh Sangbad Sangstha। ২০১৪-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  8. "Foreign Minister Dr. Dipu Moni, met the Latvian leaders and discussed various forms of engagements between the two countries." (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। People's Republic of Bangladesh Ministry of Foreign Affairs। ২০১৪-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪